বিশ্লেষণ- তৃণমূল সরলে ছোট দলই ভরসা ইউপিএ জোটের
ভারতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বের হয়ে গেলে সরকার বাঁচাতে এখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে অপেক্ষাকৃত ছোট দলের ওপর নির্ভর করতে হবে।
আর যদি তা-ই হয়, তাহলে মনমোহনের সংস্কার কর্মসূচির গতি দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনার বিষয়টি আলোচনায় আসছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতি, খুচরা ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া এবং জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত মঙ্গলবার ইউপিএ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কাল শুক্রবার তাঁর দলের একজন মন্ত্রী ও পাঁচজন প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন বলেও জানান।
বিরোধী দল ও বিশ্লেষকদের ধারণা, ইউপিএ জোট থেকে মমতার সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে নির্ধারিত সময়ের আগেই সরকারের পতন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগাম নির্বাচন হবে। ২০১৪ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধীসহ দলে শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে গতকাল বুধবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকার সংস্কার কর্মসূচি চালিয়ে যাবে এবং এই কর্মসূচি এগিয়ে নেবে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত সংস্কার প্রস্তাবে খুচরা ব্যবসায় ওয়ালমার্ট ও টেসকোর মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ব্যবসার অনুমতি দেওয়া, বিদেশি বিমান সংস্থাকে ব্যবসার সুযোগ দেওয়া এবং ডিজেলের দাম ১২ শতাংশ বাড়ানোর কথা জানানো হয়। এ ছাড়া সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বাড়িতে ব্যবহারের জন্য গ্যাসের ভর্তুকি অর্ধেক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই সংস্কার কর্মসূচিতে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলগুলো মনে করছে, মনমোহন সরকারের বিদায়ের দিন ঘনিয়ে আসছে। ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পতন শুরু হয়ে গেছে।’
এখন পর্যন্ত কংগ্রেসসহ ইউপিএ জোটে থাকা নেতারা মনে করছেন, ছোট দলগুলোর সমর্থন নিয়ে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম হবে ইউপিএ সরকার।
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সরকারের সংস্কার কর্মসূচির কারণে জোট আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং এই সরকারের মেয়াদ কমে যেতে পারে। নয়াদিল্লিভিত্তিক সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের বিশ্লেষক বিজি ভারগেস বলেন, ইউপিএ থেকে মমতার সমর্থন প্রত্যাহারের ফলে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচনে বিরোধীরা কতটা সুবিধা করতে পারে সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ।
নয়াদিল্লিভিত্তিক স্বাধীন রাজনৈতিক বিশ্লেষক নির্জা চৌধুরী বলেন, মমতা সমর্থন প্রত্যাহার করায় সরকার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে চলে গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূল চলে যাওয়ায় সরকারকে এখন আস্থাভাজন নয়—এমন ছোট দলের সমর্থন নিয়ে টিকে থাকতে হবে। এ জন্য সমাজবাদী পার্টি (এসপি), বহুজন সমাজ পার্টিসহ (বিএসপি) ছোট দলগুলোর ওপর সরকারের নির্ভরতা বাড়বে।
এই পরিস্থিতিতেও মনমোহনের অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সংস্কার কর্মসূচি পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আনার প্রয়োজনে এসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এএফপি।
কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতি, খুচরা ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া এবং জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত মঙ্গলবার ইউপিএ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কাল শুক্রবার তাঁর দলের একজন মন্ত্রী ও পাঁচজন প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন বলেও জানান।
বিরোধী দল ও বিশ্লেষকদের ধারণা, ইউপিএ জোট থেকে মমতার সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে নির্ধারিত সময়ের আগেই সরকারের পতন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগাম নির্বাচন হবে। ২০১৪ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধীসহ দলে শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে গতকাল বুধবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকার সংস্কার কর্মসূচি চালিয়ে যাবে এবং এই কর্মসূচি এগিয়ে নেবে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত সংস্কার প্রস্তাবে খুচরা ব্যবসায় ওয়ালমার্ট ও টেসকোর মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ব্যবসার অনুমতি দেওয়া, বিদেশি বিমান সংস্থাকে ব্যবসার সুযোগ দেওয়া এবং ডিজেলের দাম ১২ শতাংশ বাড়ানোর কথা জানানো হয়। এ ছাড়া সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বাড়িতে ব্যবহারের জন্য গ্যাসের ভর্তুকি অর্ধেক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই সংস্কার কর্মসূচিতে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলগুলো মনে করছে, মনমোহন সরকারের বিদায়ের দিন ঘনিয়ে আসছে। ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পতন শুরু হয়ে গেছে।’
এখন পর্যন্ত কংগ্রেসসহ ইউপিএ জোটে থাকা নেতারা মনে করছেন, ছোট দলগুলোর সমর্থন নিয়ে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম হবে ইউপিএ সরকার।
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সরকারের সংস্কার কর্মসূচির কারণে জোট আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং এই সরকারের মেয়াদ কমে যেতে পারে। নয়াদিল্লিভিত্তিক সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের বিশ্লেষক বিজি ভারগেস বলেন, ইউপিএ থেকে মমতার সমর্থন প্রত্যাহারের ফলে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচনে বিরোধীরা কতটা সুবিধা করতে পারে সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ।
নয়াদিল্লিভিত্তিক স্বাধীন রাজনৈতিক বিশ্লেষক নির্জা চৌধুরী বলেন, মমতা সমর্থন প্রত্যাহার করায় সরকার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে চলে গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূল চলে যাওয়ায় সরকারকে এখন আস্থাভাজন নয়—এমন ছোট দলের সমর্থন নিয়ে টিকে থাকতে হবে। এ জন্য সমাজবাদী পার্টি (এসপি), বহুজন সমাজ পার্টিসহ (বিএসপি) ছোট দলগুলোর ওপর সরকারের নির্ভরতা বাড়বে।
এই পরিস্থিতিতেও মনমোহনের অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সংস্কার কর্মসূচি পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আনার প্রয়োজনে এসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এএফপি।
No comments