প্রয়োজনীয় শিক্ষক ছাড়া স্নাতক সম্মান কোর্স চালু নয়- সরকারি কলেজে শিক্ষক-সংকট
গাজীপুরের টঙ্গী সরকারি কলেজে প্রয়োজনীয় শিক্ষক ছাড়াই স্নাতক সম্মান কোর্স চালু করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিপদে আছেন সন্দেহ নেই। এই সংকট কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নয়, দেশের প্রায় সব সরকারি কলেজেই।
বিষয়টি শিক্ষাব্রতীদের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হলেও কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।
প্রথম আলোর টঙ্গী প্রতিনিধির পাঠানো সংবাদ থেকে জানা যায়, টঙ্গী সরকারি কলেজে বর্তমানে ১২ হাজার ৬৬৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র ৫৭ জন। এর মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে আছেন মাত্র তিনজন শিক্ষক। এটি কি শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া, না শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিহাস করা? ইতিমধ্যে কলেজটিতে বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামি শিক্ষা, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক সম্মান ও মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। আরও কয়েকটি বিভাগে সম্মান কোর্স চালুর দাবি আছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। কিন্তু শিক্ষকস্বল্পতার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। কলেজের অধ্যক্ষ গত মে মাসে প্রতিকারের আবেদন জানালেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
দেশের উচ্চশিক্ষা, বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর লেখাপড়ার অবস্থা শোচনীয়। সেখানে শিক্ষার্থী আছে তো শিক্ষক নেই, পাঠ্যসূচি আছে তো ঠিকমতো ক্লাস হয় না। চার বছরের স্নাতক সম্মান কোর্স শেষ করতে শিক্ষার্থীদের সাত বছর লেগে যায়। এ অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পাসের পর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য তাঁদের হাতে সময় খুবই কম থাকে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই।
আমরা টঙ্গী সরকারি কলেজসহ সব সরকারি কলেজে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাই। যেকোনো বিভাগ খোলার আগে শিক্ষক নিয়োগ ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া এবং ফল প্রকাশেও একাডেমিক ক্যালেন্ডার কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। কোনো পর্যায়েই সেশনজট করা যাবে না।
প্রথম আলোর টঙ্গী প্রতিনিধির পাঠানো সংবাদ থেকে জানা যায়, টঙ্গী সরকারি কলেজে বর্তমানে ১২ হাজার ৬৬৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র ৫৭ জন। এর মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে আছেন মাত্র তিনজন শিক্ষক। এটি কি শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া, না শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিহাস করা? ইতিমধ্যে কলেজটিতে বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামি শিক্ষা, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক সম্মান ও মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। আরও কয়েকটি বিভাগে সম্মান কোর্স চালুর দাবি আছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। কিন্তু শিক্ষকস্বল্পতার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। কলেজের অধ্যক্ষ গত মে মাসে প্রতিকারের আবেদন জানালেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
দেশের উচ্চশিক্ষা, বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর লেখাপড়ার অবস্থা শোচনীয়। সেখানে শিক্ষার্থী আছে তো শিক্ষক নেই, পাঠ্যসূচি আছে তো ঠিকমতো ক্লাস হয় না। চার বছরের স্নাতক সম্মান কোর্স শেষ করতে শিক্ষার্থীদের সাত বছর লেগে যায়। এ অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পাসের পর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য তাঁদের হাতে সময় খুবই কম থাকে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই।
আমরা টঙ্গী সরকারি কলেজসহ সব সরকারি কলেজে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাই। যেকোনো বিভাগ খোলার আগে শিক্ষক নিয়োগ ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া এবং ফল প্রকাশেও একাডেমিক ক্যালেন্ডার কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। কোনো পর্যায়েই সেশনজট করা যাবে না।
No comments