প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই
বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্প্রতি সপ্তাহব্যাপী ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। তিনি সর্বশেষ ২০০৬ সালে ভারত সফরে যান। সেবার গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।
বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে প্রতিবেশী দেশটিতে এটাই তার প্রথম সফর। এ নিয়ে টেলিফোনে মন্তব্য জানিয়েছেন পাঠকরা।
গ্রন্থনা : একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক
মো. আনিছুর রহমান
ব্যবসায়ী, ঢাকা
এ সফর একটা সুন্দর উদ্যোগ। বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া ভারতে গেছেন এটা ভালো খবর। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক দরকার।
কামরুজ্জামান শেখ
চাকরিজীবী, ভালুকা, ময়মনিসংহ
বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য এটা বেশ ভালো খবর। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক দরকার। সেদিক থেকে এ সময়টা গুরুত্বপূর্ণ।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, নরসিংদী
খালেদা জিয়া অতীতে ভারতবিরোধী ছিলেন বলে শুনেছি। কিছুদিন আগেও তিনি টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ভারতের বিরোধিতা করেছেন। এখন তিনি আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে ভারতে গেছেন।
মঈন উদ্দিন
ব্যবসায়ী, নড়াইল
খালেদা জিয়ার সফর ঠিক আছে। এটা দরকার ছিল।
মো. মোজাফফর হোসেন
চাকরিজীবী, জয়পুরহাট
এতদিন খালেদা ভারতবিদ্বেষী ছিলেন। এখন তিনি অক্টোপাসের মতো নিজের রঙ বদলাতে চাচ্ছেন।
ডা. ইব্রাহীম হোসেন
যুগ্ম মহাসচিব, শহীদ জিয়া গ্রাম ডাক্তার পরিষদ
খালেদা জিয়া সফরে গিয়ে ভারতের সঙ্গে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ কথা বলেছেন, সেটা প্রয়োজন ছিল।
মো. হেদায়াত হোসেন
ব্যবসায়ী, ময়মনসিংহ
এ সফরে বাংলাদেশের সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ ভারতের সদ্ভাব বজায় থাকবে বলে মনে করি। গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য বিরোধী দলকে ধন্যবাদ।
ইন্দ্রজিৎ সাহা
ব্যবসায়ী, মুন্সীগঞ্জ
বিএনপি জন্ম থেকেই ভারতবিরোধী ছিল। এখন এ সফর করে তারা যে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন তার দায়ভার কে নেবে?
শেখ আবদুর শুকুর মানিক
শিক্ষার্থী, ফেনী
কূটনৈতিক কারণে তিনি ভারতে গেছেন। আসলে তিনি যদি জনগণের রাজনীতি করতেন তাহলে ভারত না গিয়ে রামুতে যেতেন।
শেখ মো. সাইদুজ্জামান মৃদুল
ব্যবসায়ী, লালবাগ, ঢাকা
এতদিন পর খালেদা জিয়ার শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। খালেদা জিয়া ভারতে যে জঙ্গিবাদবিরোধী কথা বলেছেন, তা যেন বাস্তবে দেখান। গ্রামের জনগণকে যেন তিনি বিভ্রান্ত না করেন।
পলাশ কান্তি দে
মুখপাত্র, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, ঢাকা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর ভারতের মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ দেশে একটা অংশ ভোট রয়েছে হিন্দুদের। তাদের একটা অংশের ভোট এ সফরের মধ্য দিয়ে বিএনপি পাবে।
আবু রায়হান
শিক্ষার্থী, ধানমণ্ডি, ঢাকা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর নিয়ে সরকারি দল কানাঘুষা করছে যে, তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য গেছেন। আসলে তিনি ভারতে যেসব বিষয়ে কথা বলেছেন সেটা দেশের মঙ্গলের জন্যই বলেছেন। তিনি তো দেশের স্বার্থেই কথা বলেছেন। তবে খালেদা জিয়া বলছেন, এটা সফল সফর। আমাদের দাবি, তিনি যেন তার সফলতার বিষয়গুলো খোলসা করেন।
মো. পারভেজ আলম
ব্যবসায়ী, ময়মনসিংহ
দেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী ভারত সফরে গেছেন এটা ভালো খবর। আমরা একে স্বাগত জানাই। কারণ ভারতের সঙ্গে সবার সুসম্পর্ক প্রয়োজন রয়েছে।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
খালেদা জিয়ার ভারত সফর একটা ব্যক্তিগত সফর হিসেবেই মনে হচ্ছে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে এটা সফল সফর বলা যেত। এটি রাজনৈতিক সুফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ, ঢাকা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ। তিনি সেদেশের রাষ্ট্রপতি হতে শুরু করে সবার সঙ্গে আমাদের দেশ নিয়ে কথা বলেছেন। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দরকার। তবে ভারত যেন আমাদের ন্যায্য অধিকার দেয় সে বিষয়ে নিশ্চয়তার প্রয়োজন রয়েছে।
আমিরুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
বর্তমান সরকারের দুর্নীতি, স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডে জনগণ অতিষ্ঠ; এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার সফর সফল হয়েছে।
বাছির উদ্দিন
ব্যবসায়ী, কিশোরগঞ্জ
খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত যাননি। এখন কেন গেলেন জনগণ জানতে চায়।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল
খালেদা জিয়া ভারত সফরে বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসবাদ কার্যক্রম হবে না। অথচ গত আমলে তারা সন্ত্রাসবাদ কায়েম করেছে।
মো. সেলিম
গাড়িচালক, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ সফরের মাধ্যমে বিএনপি ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। এ সফর বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।
এসএম বাহার
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
সফর সফল হয়েছে_ এটা ঠিক আছে। কিন্তু এসব সফর না করে দেশে থেকেই অনেক কিছু করা সম্ভব।
নির্মলেন্দু দেব যাদু
ব্যবসায়ী, শ্রীমঙ্গল
বিরোধীদলীয় নেতা ভারত সফরে গিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন, সেগুলো যদি তার মনের কথা হয়, তাহলে দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক।
গোলাম মোস্তফা
ইউনানি চিকিৎসক, পাবনা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর আমার দৃষ্টিতে দেশের জন্য মঙ্গলজনক। খালেদা জিয়ার সফরের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের দেশের ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে_ এটাই আমার আশা।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, নেছারাবাদ, পিরোজপুর
বিরোধীদলীয় নেতার ভারত সফর আমাদের কাছে চারটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এক. বিএনপির কারণে-অকারণে ভারতবিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য কমে যাবে, যা বন্ধুত্ব সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে মনে করি। দুই. আওয়ামী লীগই শুধু ভারত তোষণ করে_ এ অভিযোগ থেকে মুক্ত হবে। তিন. দেশ বিক্রির অভিযোগে বিএনপির আন্দোলন আর জোরালো হবে না। চার. দুটি দেশের মধ্যে সহাবস্থান বিষয়ে এ দেশের বড় দুটি দল একমত হতে পারলে অবশ্যই বিশ্বায়নের যুগে ইতিবাচক ফল দেখা যাবে, যা এ মুহূর্তে ভীষণ প্রয়োজন।
মো. আমির হোসেন
শিক্ষক, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা
বিরোধী দলের নেতা হিসেবে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সুসম্পর্ক, কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকতেই পারে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের এত মাথাব্যথা কেন? তাছাড়া বিশ্ব রাজনীতিকে কোনো একটি দলের সঙ্গে কোনো একটি রাষ্ট্রের সম্পর্ক রেখে পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করা মোটেই উচিত নয়। বিএনপিকে যে বদনাম দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিবাদ বিষয়ে, তা বিএনপির নিজস্ব কোনো সমস্যা নয়। এ সমস্যা সারাবিশ্বেই আছে। আমি মনে করি, সামনের দিনগুলোয় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য খালেদা জিয়ার ভারত সফর সফল হয়েছে।
ডা. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস
চিকিৎসক, জকিগঞ্জ, সিলেট
খালেদা জিয়া ভারতে গিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে মৌলবাদী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু তার অতীত কার্যক্রম এই কথার প্রতিফলন করে না। তিনি ১৯৯৬ সালে বলেছিলেন, যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তাহলে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে। এখন আবার তিনি বলছেন, ভারতের রাজনীতি সঠিক। তাহলে তো তার কথার মধ্যে বিপরীতমুখী দুই ধরনের বিষয় রয়েছে।
শফিকুল ইসলাম
চাকরিজীবী, নরসিংদী
খালেদা জিয়ার ভারত সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি আশাবাদী, আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে।
হুমায়ুন কবীর
শিক্ষক, মতিঝিল, ঢাকা
তিনি যে কথাগুলো দিয়ে এসেছেন, সে কথা তিনি রক্ষা করতে পারবেন না।
রনি ইসলাম
ব্যবসায়ী, সিরাজগঞ্জ
আশা করছি, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হবে বন্ধুত্বপূর্ণ।
ইকরামুল হাসান তানজিল
ব্যবসায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সফর অবশ্যই ভালো হয়েছে। দেশের ভালোর জন্যই, জনগণের ভালোর জন্যই তিনি সফরে গিয়েছিলেন।
গোলাম কিবরিয়া
চাকরিজীবী, কুমিল্লা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে হয়েছে; দেশের প্রয়োজনে হয়নি। তিনি ভারত সফর করেছেন আগামী নির্বাচনে ভারতের সমর্থন আদায় করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য।
মো. ওমর ফারুক
সাংবাদিক, সাভার
খালেদা জিয়ার ভারত সফর সফল হয়েছে। কারণ হলো, এত দিন ভারত মনে করত, আওয়ামী লীগই শুধু ভারতের বন্ধু। কিন্তু খালেদা জিয়া ভারত সফরের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে সবাই প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতকে বন্ধু মনে করে। তবে স্বাধীন দেশ হিসেবে যেসব চুক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করবে_ বাংলাদেশের জনগণ তা কোনো দিনই মানবে না। এ ক্ষেত্রে ভারতকেও বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে বোঝাতে হবে_ ভারত বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু।
মাহফুজুর রহমান
ব্যবসায়ী, চাঁদপুর
খালেদা জিয়া ভারত সফর করে বোঝাতে চাচ্ছেন যে, আগামীতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু আমার মনে হয়, এটা ভুল পদক্ষেপ। তিনি যেটা চাচ্ছেন তা আসলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার। ভারত সফর করে এসে তিনি যে প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছেন, তা সম্ভব হবে না।
রুহুল আমীন
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
সফর খারাপ হয়নি। এতে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া সম্প্রতি ভারত সফরে অনেকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন। কিন্তু কী বিষয় নিয়ে সেসব আলোচনা, তা দেশের মানুষকে বিএনপি জানায়নি। আলোচনাগুলো দেশের মঙ্গলের জন্য হয়েছে কিনা, তা জনগণ জানতে পারেনি। জনগণ আশা করছে, তার এই সফর বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়ক হবে। কিন্তু বিরোধী দল এ দেশের জনগণের জন্য কী করেছে, তা এখনও বোধগম্য নয়।
রণজিৎ কর্মকার
চাকরিজীবী, শরীয়তপুর
খালেদা জিয়ার এ সফরকে আমি ভালোভাবে দেখতে চাই। বিরোধীদলীয় নেতা ভারতকে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে তাকে অনেক কাজ করতে হবে।
নূর নবী
ব্যবসায়ী, তিতাস, কুমিল্লা
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে শক্তিশালী দেশ_ এটা বিরোধীদলীয় নেতা বুঝতে পেরেছেন। এটা আরও আগে বোঝা উচিত ছিল।
মোস্তফা কামাল
সমাজসেবী, কুমিল্লা
এ সফরকে ইতিবাচক বলে মনে করছি। ভারতবিদ্বেষ নীতি কাম্য নয়। ভারত উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি ও বাংলাদেশের প্রতিবেশী। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা আবশ্যক। খালেদা জিয়ার সফর উপমহাদেশের নিরাপত্তাসহ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছি।
রুবেল মাহমুদ
শিক্ষার্থী, গোপালগঞ্জ
খালেদা জিয়ার ভারত সফর নির্বাচনের ওপর প্রভাব পড়বে। তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তার এ সফর বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর কতটা সমাধান হবে?
হারুনুর রশীদ শোভন
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তিনি বর্তমান যে সমস্যার কথা বলেছেন তার সমাধান করেননি। তবে বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে তিনি ভারতে যেতেই পারেন এবং যাওয়া উচিত। এর জন্য রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি কাম্য নয়।
মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী
চাকরিজীবী, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর ইতিবাচক। তিনি ভারতে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা যেন দেশবাসীকে জানান। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশ থেকে নির্মূল করা দরকার।
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ
ব্যবসায়ী, কিশোরগঞ্জ
আমরা ছোটবেলায় নাটকে দেখতাম বলা হতো, দিলি্ল গিয়ে ভদ্র হও। এখন দিলি্ল খালেদা জিয়াকে ভদ্র হওয়ার জন্য ডেকেছে।
মো. মাহবুবুর রহমান
ব্যবসায়ী, মুন্সীগঞ্জ
খালেদা জিয়ার ভারত সফর দেশের জন্য ভালো হবে। আমরা একে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। এটি দেশকে সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেবে।
মহসিন জমাদ্দার
শিক্ষার্থী, ঝালকাঠি
ভারতে খালেদা জিয়ার সফর সফল হয়েছে। এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে এটি বেশ ভূমিকা রাখবে।
মেহেদী মাসুুদ
ব্যবসায়ী, সাভার
এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। দেশের মানুষের জন্য এ সফর কল্যাণ বয়ে আনবে।
আবদুল হাই লিটন
কৃষক, নওগাঁ
এ সফর আমাদের গণতন্ত্রের জন্য ভালো ফল নিয়ে আসবে। অথচ সরকার এর বিরোধিতা করছে। সরকার কেন দিলি্লমুখী হবে? কে দেশের
রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে, দেশের জনগণ না দিলি্ল?
শেখ মোহাম্মদ আলী
ব্যবসায়ী, মুন্সীগঞ্জ
খালেদা জিয়াকে ভারত সফরের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এ সফরের মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হবে। অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মীমাংসা হবে বলে মনে করি।
উজ্জ্বল
শিক্ষার্থী, বানারীপাড়া, বরিশাল
বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ভারত সফর নিয়ে মাতামাতি করার মতো কোনো কিছুই দেখি না।
শেখ আবদুল কাদের
সংস্কৃতিকর্মী, ডেমরা, ঢাকা
বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে ভারতবিরোধী, যারা জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে ১৮ দলীয় জোট করেছে। খালেদা জিয়া বলেছেন, তিনি ভারত সফর সফল করেছেন। আমার মতে, তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন।
শাহেদ আহমেদ
শিক্ষক, বিশ্বনাথ, সিলেট
খালেদা জিয়ার ভারত সফর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তার কিছুটা নিরসন হবে।
গ্রন্থনা : একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক
মো. আনিছুর রহমান
ব্যবসায়ী, ঢাকা
এ সফর একটা সুন্দর উদ্যোগ। বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া ভারতে গেছেন এটা ভালো খবর। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক দরকার।
কামরুজ্জামান শেখ
চাকরিজীবী, ভালুকা, ময়মনিসংহ
বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য এটা বেশ ভালো খবর। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক দরকার। সেদিক থেকে এ সময়টা গুরুত্বপূর্ণ।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, নরসিংদী
খালেদা জিয়া অতীতে ভারতবিরোধী ছিলেন বলে শুনেছি। কিছুদিন আগেও তিনি টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ভারতের বিরোধিতা করেছেন। এখন তিনি আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে ভারতে গেছেন।
মঈন উদ্দিন
ব্যবসায়ী, নড়াইল
খালেদা জিয়ার সফর ঠিক আছে। এটা দরকার ছিল।
মো. মোজাফফর হোসেন
চাকরিজীবী, জয়পুরহাট
এতদিন খালেদা ভারতবিদ্বেষী ছিলেন। এখন তিনি অক্টোপাসের মতো নিজের রঙ বদলাতে চাচ্ছেন।
ডা. ইব্রাহীম হোসেন
যুগ্ম মহাসচিব, শহীদ জিয়া গ্রাম ডাক্তার পরিষদ
খালেদা জিয়া সফরে গিয়ে ভারতের সঙ্গে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ কথা বলেছেন, সেটা প্রয়োজন ছিল।
মো. হেদায়াত হোসেন
ব্যবসায়ী, ময়মনসিংহ
এ সফরে বাংলাদেশের সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ ভারতের সদ্ভাব বজায় থাকবে বলে মনে করি। গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য বিরোধী দলকে ধন্যবাদ।
ইন্দ্রজিৎ সাহা
ব্যবসায়ী, মুন্সীগঞ্জ
বিএনপি জন্ম থেকেই ভারতবিরোধী ছিল। এখন এ সফর করে তারা যে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন তার দায়ভার কে নেবে?
শেখ আবদুর শুকুর মানিক
শিক্ষার্থী, ফেনী
কূটনৈতিক কারণে তিনি ভারতে গেছেন। আসলে তিনি যদি জনগণের রাজনীতি করতেন তাহলে ভারত না গিয়ে রামুতে যেতেন।
শেখ মো. সাইদুজ্জামান মৃদুল
ব্যবসায়ী, লালবাগ, ঢাকা
এতদিন পর খালেদা জিয়ার শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। খালেদা জিয়া ভারতে যে জঙ্গিবাদবিরোধী কথা বলেছেন, তা যেন বাস্তবে দেখান। গ্রামের জনগণকে যেন তিনি বিভ্রান্ত না করেন।
পলাশ কান্তি দে
মুখপাত্র, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, ঢাকা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর ভারতের মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ দেশে একটা অংশ ভোট রয়েছে হিন্দুদের। তাদের একটা অংশের ভোট এ সফরের মধ্য দিয়ে বিএনপি পাবে।
আবু রায়হান
শিক্ষার্থী, ধানমণ্ডি, ঢাকা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর নিয়ে সরকারি দল কানাঘুষা করছে যে, তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য গেছেন। আসলে তিনি ভারতে যেসব বিষয়ে কথা বলেছেন সেটা দেশের মঙ্গলের জন্যই বলেছেন। তিনি তো দেশের স্বার্থেই কথা বলেছেন। তবে খালেদা জিয়া বলছেন, এটা সফল সফর। আমাদের দাবি, তিনি যেন তার সফলতার বিষয়গুলো খোলসা করেন।
মো. পারভেজ আলম
ব্যবসায়ী, ময়মনসিংহ
দেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী ভারত সফরে গেছেন এটা ভালো খবর। আমরা একে স্বাগত জানাই। কারণ ভারতের সঙ্গে সবার সুসম্পর্ক প্রয়োজন রয়েছে।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
খালেদা জিয়ার ভারত সফর একটা ব্যক্তিগত সফর হিসেবেই মনে হচ্ছে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে এটা সফল সফর বলা যেত। এটি রাজনৈতিক সুফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ, ঢাকা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ। তিনি সেদেশের রাষ্ট্রপতি হতে শুরু করে সবার সঙ্গে আমাদের দেশ নিয়ে কথা বলেছেন। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দরকার। তবে ভারত যেন আমাদের ন্যায্য অধিকার দেয় সে বিষয়ে নিশ্চয়তার প্রয়োজন রয়েছে।
আমিরুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
বর্তমান সরকারের দুর্নীতি, স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডে জনগণ অতিষ্ঠ; এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার সফর সফল হয়েছে।
বাছির উদ্দিন
ব্যবসায়ী, কিশোরগঞ্জ
খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত যাননি। এখন কেন গেলেন জনগণ জানতে চায়।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল
খালেদা জিয়া ভারত সফরে বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসবাদ কার্যক্রম হবে না। অথচ গত আমলে তারা সন্ত্রাসবাদ কায়েম করেছে।
মো. সেলিম
গাড়িচালক, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ সফরের মাধ্যমে বিএনপি ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। এ সফর বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।
এসএম বাহার
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
সফর সফল হয়েছে_ এটা ঠিক আছে। কিন্তু এসব সফর না করে দেশে থেকেই অনেক কিছু করা সম্ভব।
নির্মলেন্দু দেব যাদু
ব্যবসায়ী, শ্রীমঙ্গল
বিরোধীদলীয় নেতা ভারত সফরে গিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন, সেগুলো যদি তার মনের কথা হয়, তাহলে দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক।
গোলাম মোস্তফা
ইউনানি চিকিৎসক, পাবনা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর আমার দৃষ্টিতে দেশের জন্য মঙ্গলজনক। খালেদা জিয়ার সফরের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের দেশের ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে_ এটাই আমার আশা।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, নেছারাবাদ, পিরোজপুর
বিরোধীদলীয় নেতার ভারত সফর আমাদের কাছে চারটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এক. বিএনপির কারণে-অকারণে ভারতবিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য কমে যাবে, যা বন্ধুত্ব সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে মনে করি। দুই. আওয়ামী লীগই শুধু ভারত তোষণ করে_ এ অভিযোগ থেকে মুক্ত হবে। তিন. দেশ বিক্রির অভিযোগে বিএনপির আন্দোলন আর জোরালো হবে না। চার. দুটি দেশের মধ্যে সহাবস্থান বিষয়ে এ দেশের বড় দুটি দল একমত হতে পারলে অবশ্যই বিশ্বায়নের যুগে ইতিবাচক ফল দেখা যাবে, যা এ মুহূর্তে ভীষণ প্রয়োজন।
মো. আমির হোসেন
শিক্ষক, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা
বিরোধী দলের নেতা হিসেবে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সুসম্পর্ক, কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকতেই পারে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের এত মাথাব্যথা কেন? তাছাড়া বিশ্ব রাজনীতিকে কোনো একটি দলের সঙ্গে কোনো একটি রাষ্ট্রের সম্পর্ক রেখে পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করা মোটেই উচিত নয়। বিএনপিকে যে বদনাম দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিবাদ বিষয়ে, তা বিএনপির নিজস্ব কোনো সমস্যা নয়। এ সমস্যা সারাবিশ্বেই আছে। আমি মনে করি, সামনের দিনগুলোয় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য খালেদা জিয়ার ভারত সফর সফল হয়েছে।
ডা. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস
চিকিৎসক, জকিগঞ্জ, সিলেট
খালেদা জিয়া ভারতে গিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে মৌলবাদী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু তার অতীত কার্যক্রম এই কথার প্রতিফলন করে না। তিনি ১৯৯৬ সালে বলেছিলেন, যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তাহলে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে। এখন আবার তিনি বলছেন, ভারতের রাজনীতি সঠিক। তাহলে তো তার কথার মধ্যে বিপরীতমুখী দুই ধরনের বিষয় রয়েছে।
শফিকুল ইসলাম
চাকরিজীবী, নরসিংদী
খালেদা জিয়ার ভারত সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি আশাবাদী, আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে।
হুমায়ুন কবীর
শিক্ষক, মতিঝিল, ঢাকা
তিনি যে কথাগুলো দিয়ে এসেছেন, সে কথা তিনি রক্ষা করতে পারবেন না।
রনি ইসলাম
ব্যবসায়ী, সিরাজগঞ্জ
আশা করছি, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হবে বন্ধুত্বপূর্ণ।
ইকরামুল হাসান তানজিল
ব্যবসায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সফর অবশ্যই ভালো হয়েছে। দেশের ভালোর জন্যই, জনগণের ভালোর জন্যই তিনি সফরে গিয়েছিলেন।
গোলাম কিবরিয়া
চাকরিজীবী, কুমিল্লা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে হয়েছে; দেশের প্রয়োজনে হয়নি। তিনি ভারত সফর করেছেন আগামী নির্বাচনে ভারতের সমর্থন আদায় করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য।
মো. ওমর ফারুক
সাংবাদিক, সাভার
খালেদা জিয়ার ভারত সফর সফল হয়েছে। কারণ হলো, এত দিন ভারত মনে করত, আওয়ামী লীগই শুধু ভারতের বন্ধু। কিন্তু খালেদা জিয়া ভারত সফরের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে সবাই প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতকে বন্ধু মনে করে। তবে স্বাধীন দেশ হিসেবে যেসব চুক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করবে_ বাংলাদেশের জনগণ তা কোনো দিনই মানবে না। এ ক্ষেত্রে ভারতকেও বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে বোঝাতে হবে_ ভারত বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু।
মাহফুজুর রহমান
ব্যবসায়ী, চাঁদপুর
খালেদা জিয়া ভারত সফর করে বোঝাতে চাচ্ছেন যে, আগামীতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু আমার মনে হয়, এটা ভুল পদক্ষেপ। তিনি যেটা চাচ্ছেন তা আসলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার। ভারত সফর করে এসে তিনি যে প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছেন, তা সম্ভব হবে না।
রুহুল আমীন
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
সফর খারাপ হয়নি। এতে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া সম্প্রতি ভারত সফরে অনেকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন। কিন্তু কী বিষয় নিয়ে সেসব আলোচনা, তা দেশের মানুষকে বিএনপি জানায়নি। আলোচনাগুলো দেশের মঙ্গলের জন্য হয়েছে কিনা, তা জনগণ জানতে পারেনি। জনগণ আশা করছে, তার এই সফর বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়ক হবে। কিন্তু বিরোধী দল এ দেশের জনগণের জন্য কী করেছে, তা এখনও বোধগম্য নয়।
রণজিৎ কর্মকার
চাকরিজীবী, শরীয়তপুর
খালেদা জিয়ার এ সফরকে আমি ভালোভাবে দেখতে চাই। বিরোধীদলীয় নেতা ভারতকে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে তাকে অনেক কাজ করতে হবে।
নূর নবী
ব্যবসায়ী, তিতাস, কুমিল্লা
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে শক্তিশালী দেশ_ এটা বিরোধীদলীয় নেতা বুঝতে পেরেছেন। এটা আরও আগে বোঝা উচিত ছিল।
মোস্তফা কামাল
সমাজসেবী, কুমিল্লা
এ সফরকে ইতিবাচক বলে মনে করছি। ভারতবিদ্বেষ নীতি কাম্য নয়। ভারত উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি ও বাংলাদেশের প্রতিবেশী। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা আবশ্যক। খালেদা জিয়ার সফর উপমহাদেশের নিরাপত্তাসহ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছি।
রুবেল মাহমুদ
শিক্ষার্থী, গোপালগঞ্জ
খালেদা জিয়ার ভারত সফর নির্বাচনের ওপর প্রভাব পড়বে। তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তার এ সফর বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর কতটা সমাধান হবে?
হারুনুর রশীদ শোভন
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তিনি বর্তমান যে সমস্যার কথা বলেছেন তার সমাধান করেননি। তবে বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে তিনি ভারতে যেতেই পারেন এবং যাওয়া উচিত। এর জন্য রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি কাম্য নয়।
মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী
চাকরিজীবী, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
খালেদা জিয়ার ভারত সফর ইতিবাচক। তিনি ভারতে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা যেন দেশবাসীকে জানান। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশ থেকে নির্মূল করা দরকার।
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ
ব্যবসায়ী, কিশোরগঞ্জ
আমরা ছোটবেলায় নাটকে দেখতাম বলা হতো, দিলি্ল গিয়ে ভদ্র হও। এখন দিলি্ল খালেদা জিয়াকে ভদ্র হওয়ার জন্য ডেকেছে।
মো. মাহবুবুর রহমান
ব্যবসায়ী, মুন্সীগঞ্জ
খালেদা জিয়ার ভারত সফর দেশের জন্য ভালো হবে। আমরা একে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। এটি দেশকে সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেবে।
মহসিন জমাদ্দার
শিক্ষার্থী, ঝালকাঠি
ভারতে খালেদা জিয়ার সফর সফল হয়েছে। এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে এটি বেশ ভূমিকা রাখবে।
মেহেদী মাসুুদ
ব্যবসায়ী, সাভার
এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। দেশের মানুষের জন্য এ সফর কল্যাণ বয়ে আনবে।
আবদুল হাই লিটন
কৃষক, নওগাঁ
এ সফর আমাদের গণতন্ত্রের জন্য ভালো ফল নিয়ে আসবে। অথচ সরকার এর বিরোধিতা করছে। সরকার কেন দিলি্লমুখী হবে? কে দেশের
রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে, দেশের জনগণ না দিলি্ল?
শেখ মোহাম্মদ আলী
ব্যবসায়ী, মুন্সীগঞ্জ
খালেদা জিয়াকে ভারত সফরের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এ সফরের মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হবে। অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মীমাংসা হবে বলে মনে করি।
উজ্জ্বল
শিক্ষার্থী, বানারীপাড়া, বরিশাল
বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ভারত সফর নিয়ে মাতামাতি করার মতো কোনো কিছুই দেখি না।
শেখ আবদুল কাদের
সংস্কৃতিকর্মী, ডেমরা, ঢাকা
বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে ভারতবিরোধী, যারা জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে ১৮ দলীয় জোট করেছে। খালেদা জিয়া বলেছেন, তিনি ভারত সফর সফল করেছেন। আমার মতে, তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন।
শাহেদ আহমেদ
শিক্ষক, বিশ্বনাথ, সিলেট
খালেদা জিয়ার ভারত সফর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তার কিছুটা নিরসন হবে।
No comments