সরকারি হাসপাতালে রোগীর খাবার-সিন্ডিকেটমুক্ত ও মানসম্পন্ন হোক
সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরো অসুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার পরিস্থিতি বিরাজ করছে সরকারি হাসপাতালগুলোতে। আর এর জন্য দায়ী রোগীকে সরবরাহ করা নিম্নমানের এবং খাওয়ার অনুপযোগী খাদ্য। রাজধানীর শেরে বাংলানগরের একাধিক সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা খাবার পর্যবেক্ষণের পর এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
খাদ্য সরবরাহের জন্য প্রচলিত ক্রয় নীতিমালার দুর্বলতা, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও দুর্নীতির কারণে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এই ক্ষতিকর কাজটি করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। কোনো জবাবদিহির বালাই নেই সেখানে। সেই সুবাদে সংঘবদ্ধ একটি চক্র এই কাজ করার সুযোগ গ্রহণ করতে পারছে। এই উদ্বেগজনক অবস্থা শেরে বাংলানগরে অবস্থিত সরকারি হাসপাতালগুলোতেই বহাল রয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারি খরচে খাবার সরবরাহ করা হয়, সবখানেই কমবেশি এমন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তাদের পরিচয় তারা সরকার সমর্থক একটি চক্র। সরকার বদল হলে তারাও বদলে যায়। কিন্তু এই বদল মাত্র পরিচয়ের; খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন করা হয় না। শেরে বাংলানগরের হাসপাতালগুলোতে যে ব্যক্তি খাবার সরবরাহ করেন, তাঁর পেশাগত অধিকার নিয়েও প্রশ্ন আসে। একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার পরও বর্তমান খাদ্য সরবরাহকারীকে খাদ্য সরবরাহের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এতে প্রমাণিত হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এর সঙ্গে জড়িত। এ ক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেনের বিষয়টিও উপেক্ষা করার মতো নয়।
জানা যায়, রোগীর খাবারের জন্য হাসপাতালগুলোতে যে দামে পণ্য কেনা হয়, তা বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। একজন রোগীর নাশতাসহ দৈনিক খাবারের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৭৫ টাকা। সেই টাকাও খরচ করা হয় না দরপত্রে উলি্লখিত দরের সূত্র ধরে। পুরো টাকা খরচ করলেও কি এই বাজারে একজনের সারা দিনের খাবার সরবরাহ করা সম্ভব? এই অসম্ভব কাজটি করার জন্য যখন একজন ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন তাঁকে দুর্নীতির আশ্রয় নিতেই হবে। তাই বলে নোংরা কাপড়ে খাবার ঢেকে রোগীদের বিছানায় পরিবেশন করা, রান্নাঘরকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখার পক্ষে কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটা হয়েছে ঠিকাদারের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকার কারণে। দাপটের কাছে যদি নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ মার খায়, তাহলেই এমন অস্বাভাবিক কাজ করা কারো পক্ষে সম্ভব হয়। আর সেই পথেই এগিয়ে চলেছে হাসপাতালগুলোতে খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
যেখানে মানুষের করের টাকা দিয়ে সরকারি হাসপাতাল পরিচালিত হয়, সেখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসহ সমুদয় সেবা নিশ্চিত করা সরকারেরই দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সরকারকে। সরকারি হাসপাতালগুলোকে সঠিকভাবে সেবায় নিয়োজিত করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে হাসপাতাল প্রশাসনকে। তা না হলে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও অনিয়মে বেপরোয়া হয়ে ওঠা সিন্ডিকেট আরো সম্প্রসারিত হতে থাকবে। রোগীদের সেবার মান ক্রমেই হ্রাস পেতে থাকবে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে হাসপাতালের রোগীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
খাদ্য সরবরাহের জন্য প্রচলিত ক্রয় নীতিমালার দুর্বলতা, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও দুর্নীতির কারণে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এই ক্ষতিকর কাজটি করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। কোনো জবাবদিহির বালাই নেই সেখানে। সেই সুবাদে সংঘবদ্ধ একটি চক্র এই কাজ করার সুযোগ গ্রহণ করতে পারছে। এই উদ্বেগজনক অবস্থা শেরে বাংলানগরে অবস্থিত সরকারি হাসপাতালগুলোতেই বহাল রয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারি খরচে খাবার সরবরাহ করা হয়, সবখানেই কমবেশি এমন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তাদের পরিচয় তারা সরকার সমর্থক একটি চক্র। সরকার বদল হলে তারাও বদলে যায়। কিন্তু এই বদল মাত্র পরিচয়ের; খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন করা হয় না। শেরে বাংলানগরের হাসপাতালগুলোতে যে ব্যক্তি খাবার সরবরাহ করেন, তাঁর পেশাগত অধিকার নিয়েও প্রশ্ন আসে। একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার পরও বর্তমান খাদ্য সরবরাহকারীকে খাদ্য সরবরাহের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এতে প্রমাণিত হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এর সঙ্গে জড়িত। এ ক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেনের বিষয়টিও উপেক্ষা করার মতো নয়।
জানা যায়, রোগীর খাবারের জন্য হাসপাতালগুলোতে যে দামে পণ্য কেনা হয়, তা বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। একজন রোগীর নাশতাসহ দৈনিক খাবারের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৭৫ টাকা। সেই টাকাও খরচ করা হয় না দরপত্রে উলি্লখিত দরের সূত্র ধরে। পুরো টাকা খরচ করলেও কি এই বাজারে একজনের সারা দিনের খাবার সরবরাহ করা সম্ভব? এই অসম্ভব কাজটি করার জন্য যখন একজন ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন তাঁকে দুর্নীতির আশ্রয় নিতেই হবে। তাই বলে নোংরা কাপড়ে খাবার ঢেকে রোগীদের বিছানায় পরিবেশন করা, রান্নাঘরকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখার পক্ষে কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটা হয়েছে ঠিকাদারের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকার কারণে। দাপটের কাছে যদি নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ মার খায়, তাহলেই এমন অস্বাভাবিক কাজ করা কারো পক্ষে সম্ভব হয়। আর সেই পথেই এগিয়ে চলেছে হাসপাতালগুলোতে খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
যেখানে মানুষের করের টাকা দিয়ে সরকারি হাসপাতাল পরিচালিত হয়, সেখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসহ সমুদয় সেবা নিশ্চিত করা সরকারেরই দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সরকারকে। সরকারি হাসপাতালগুলোকে সঠিকভাবে সেবায় নিয়োজিত করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে হাসপাতাল প্রশাসনকে। তা না হলে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও অনিয়মে বেপরোয়া হয়ে ওঠা সিন্ডিকেট আরো সম্প্রসারিত হতে থাকবে। রোগীদের সেবার মান ক্রমেই হ্রাস পেতে থাকবে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে হাসপাতালের রোগীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
No comments