জমি বেদখল-ওয়াসা চুপ কেন
ঢাকা ওয়াসার সেবা ও স্বচ্ছতা নিয়ে সমালোচনা এবং জবাবে রাজধানীর বর্ধিত জনসংখ্যা, জনবল সংকট প্রভৃতির দোহাইয়ের চাপান-উতোর দীর্ঘদিনের। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটির মূল সংকট যে অব্যবস্থাপনা_ রোববার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির মধ্য দিয়ে তা আরেকবার প্রমাণ হলো।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওয়াসা নির্মিত ৩৮টি পরিত্যক্ত পানির ট্যাঙ্ক সংলগ্ন বেশির ভাগ জায়গা এখন সংস্থাটিরই এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর দখলে। তারা সেখানে টিনশেড ঘর বানিয়ে রীতিমতো 'বাড়িওয়ালা' সেজে সেগুলো ভাড়া দিচ্ছেন। কেবল ট্যাঙ্কের জায়গা নয়; পাম্প ও নালা সংলগ্ন অনেক জায়গাও এভাবে দখলের কবলে পড়েছে। কিছুদিন আগে ওয়াসারই এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সংস্থাটির ২৫০ একর জমি এখন বেদখল। এর উল্লেখযোগ্য অংশ আবার খোদ ওয়াসা কর্মচারীদেরই মৌরসি-পাট্টা। আমরা মনে করি, নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীর দখল থেকে জমি মুক্ত করতে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সংস্থাটির দাফতরিক আদেশই যথেষ্ট। সে ক্ষেত্রে অন্যদের দখলে থাকা জমি উদ্ধারেরও নৈতিক দৃঢ়তা ফিরে পাবে ওয়াসা। তবে সংকটের মূল নিছক দখলদারিত্বে গ্রথিত কি-না, তাও বিবেচ্য। কারণ পানির ট্যাঙ্ক, পাম্প বা নালাগুলো পরিত্যক্ত হওয়ার পরই কি দখলদাররা উৎসাহী হয়নি? ট্যাঙ্কগুলো পরিত্যক্ত হওয়ার মূলে আবার রয়েছে অব্যবস্থাপনা। যতদূর জানা যাচ্ছে, অবৈজ্ঞানিকভাবে নির্মাণের কারণে এগুলো পানি সরবরাহে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য দেখাতে পারেনি। ট্যাঙ্ক ভরতে যে সময় লাগত, খালি হতো তার চেয়ে অনেক কম সময়ে। ফলে চাহিদার সময় গ্রাহকরা একদিকে পাইপে পানি পেত না, অন্যদিকে অল্প সময়ে অতিরিক্ত পানির চাপে সরবরাহ পাইপ ফেটে যেত। পরে যখন বাড়ি বাড়ি ভূগর্ভস্থ মজুদ ট্যাঙ্ক নির্মাণ শুরু হয়, তখন ওয়াসার পানির ট্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তাই শেষ হয়ে যায়। একইভাবে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে কিছু নালা। সেগুলোর জমিই পড়েছে দখলদারের কবলে। তার মানে, নালা ও ট্যাঙ্ক নির্মাণে দূরদর্শিতার পরিচয় দিলে এই সংকট দেখা দিত না। স্থান ও অর্থেরও সাশ্রয় হতো। এরপরও ওয়াসার উচিত ছিল যত দ্রুত সম্ভব অব্যবহৃত স্থান ও স্থাপনাগুলো কাজে লাগানো। বিলম্বে হলেও দখলমুক্ত করে সেই কাজটি করা উচিত।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওয়াসা নির্মিত ৩৮টি পরিত্যক্ত পানির ট্যাঙ্ক সংলগ্ন বেশির ভাগ জায়গা এখন সংস্থাটিরই এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর দখলে। তারা সেখানে টিনশেড ঘর বানিয়ে রীতিমতো 'বাড়িওয়ালা' সেজে সেগুলো ভাড়া দিচ্ছেন। কেবল ট্যাঙ্কের জায়গা নয়; পাম্প ও নালা সংলগ্ন অনেক জায়গাও এভাবে দখলের কবলে পড়েছে। কিছুদিন আগে ওয়াসারই এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সংস্থাটির ২৫০ একর জমি এখন বেদখল। এর উল্লেখযোগ্য অংশ আবার খোদ ওয়াসা কর্মচারীদেরই মৌরসি-পাট্টা। আমরা মনে করি, নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীর দখল থেকে জমি মুক্ত করতে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সংস্থাটির দাফতরিক আদেশই যথেষ্ট। সে ক্ষেত্রে অন্যদের দখলে থাকা জমি উদ্ধারেরও নৈতিক দৃঢ়তা ফিরে পাবে ওয়াসা। তবে সংকটের মূল নিছক দখলদারিত্বে গ্রথিত কি-না, তাও বিবেচ্য। কারণ পানির ট্যাঙ্ক, পাম্প বা নালাগুলো পরিত্যক্ত হওয়ার পরই কি দখলদাররা উৎসাহী হয়নি? ট্যাঙ্কগুলো পরিত্যক্ত হওয়ার মূলে আবার রয়েছে অব্যবস্থাপনা। যতদূর জানা যাচ্ছে, অবৈজ্ঞানিকভাবে নির্মাণের কারণে এগুলো পানি সরবরাহে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য দেখাতে পারেনি। ট্যাঙ্ক ভরতে যে সময় লাগত, খালি হতো তার চেয়ে অনেক কম সময়ে। ফলে চাহিদার সময় গ্রাহকরা একদিকে পাইপে পানি পেত না, অন্যদিকে অল্প সময়ে অতিরিক্ত পানির চাপে সরবরাহ পাইপ ফেটে যেত। পরে যখন বাড়ি বাড়ি ভূগর্ভস্থ মজুদ ট্যাঙ্ক নির্মাণ শুরু হয়, তখন ওয়াসার পানির ট্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তাই শেষ হয়ে যায়। একইভাবে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে কিছু নালা। সেগুলোর জমিই পড়েছে দখলদারের কবলে। তার মানে, নালা ও ট্যাঙ্ক নির্মাণে দূরদর্শিতার পরিচয় দিলে এই সংকট দেখা দিত না। স্থান ও অর্থেরও সাশ্রয় হতো। এরপরও ওয়াসার উচিত ছিল যত দ্রুত সম্ভব অব্যবহৃত স্থান ও স্থাপনাগুলো কাজে লাগানো। বিলম্বে হলেও দখলমুক্ত করে সেই কাজটি করা উচিত।
No comments