রাজধানীতেও পুলিশের ওপর হামলা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা গতকাল রবিবার বিকেলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। ওই সময় তারা তিন পুলিশ সদস্যসহ ৮-১০ জনকে জখম করেছে। মারাত্মক আহত পুলিশের নায়েক সাইদুর রহমানকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে একই সময়ে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় হামলার চেষ্টাকালে পুলিশ চার শিবিরকর্মীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।সকালে চট্টগ্রামে এবং বিকেলে রাজধানীতে শিবিরের হামলা ও মহড়ার মুখে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্পটে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল কাশেম জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় মিছিল বের করে শিবির। সে সময় পুলিশের একটি গাড়ি সেখানে ছিল। আশপাশে মোতায়েন ছিল এক প্লাটুন পুলিশ সদস্য। মিছিল থেকে হঠাৎ করেই পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে শিবিরকর্মীরা। সে সময় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। এদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার পর পুলিশ শিবিরকর্মীদের ধাওয়া করে এবং ছয়জনকে আটক করে। অন্যরা বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শিবিরের হামলার মুখে পুলিশ লাঠিপেটার পাশাপাশি টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে কয়েকজন শিবিরকর্মী আহত হয়। তবে তারা ভয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।
এদিকে কাফরুল থানার ওসি আবদুল লতিফ জানান, ১০ নম্বর গোলচত্বর আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের সামনে শিবিরকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিল থেকে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে পুলিশের ধাওয়ায় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সেখান থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও হামলা চেষ্টার সংবাদে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিবর্তন করা হয়েছে।
গত ৫ নভেম্বর মতিঝিলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে জামায়াত-শিবির। গত সপ্তাহে জয়পুরহাট শহরের অদূরে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা এক পুলিশ সদস্যের গায়ে আগুন দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের গাড়িবহরও ইসলামী ছাত্রশিবিরের হামলার মুখে পড়ে।
No comments