ইউনাইটেড এয়ারের শেয়ারের দাম বাড়াতে কারসাজি by সুজয় মহাজন
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারের শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনা ঘটেছে। কারসাজি করে অতি অল্প সময়ে অস্বাভাবিক দ্রুততায় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়। গত আগস্ট থেকে অক্টোবর —এই তিন মাসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৪ টাকা থেকে বেড়ে সর্বোচ্চ ৩২ টাকা ৭০ পয়সায় উঠেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য থেকে কারসাজির এ ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়। কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশ করে একদল বিনিয়োগকারী এ ঘটনা ঘটান। মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগে জেনে নিয়ে একদল বিনিয়োগকারী কোম্পানির বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনাবেচা করেছেন। এ ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছেন সৈয়দ সিরাজ উদ দৌলা নামের একজন বিনিয়োগকারী। নামে-বেনামে ছয়টি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের মাধ্যমে তিনি ধারাবাহিক (সিরিজ) লেনদেনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। যদিও কোম্পানির পক্ষ থেকে এসব কারসাজির বিষয় অস্বীকার করা হয়েছে।
এ ছাড়া আগস্ট মাস থেকে কোম্পানিটির বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শেয়ারবাজারের বড় সব বিনিয়োগকারী; যাঁদের বেশির ভাগেরই নাম রয়েছে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের পুঁজিবাজার তদন্ত প্রতিবেদনে। তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে কারসাজিও বন্ধ হয়নি।
কোম্পানিটি গত ২৩ সেপ্টেম্বর লভ্যাংশ ঘোষণা করে, আর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ৪ নভেম্বর। এই দুটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্যকে ঘিরেই কারসাজির ঘটনা ঘটানো হয়। এর মধ্যে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় দেখিয়েছে ৮১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। এই আয় বাড়িয়ে দেখানোর ক্ষেত্রেও কোম্পানির হিসাব কারসাজির তথ্য পেয়েছে ডিএসই।
ডিএসইর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ও কর-সংক্রান্ত নথিতে একই সম্পদের বিপরীতে ভিন্ন ভিন্ন অবচয় ব্যয় দেখানো হয়েছে। এক জায়গায় মূল সম্পদ উড়োজাহাজের অবচয়জনিত ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩০ শতাংশ হারে। আরেক জায়গায় সেটি দেখানো হয় ৫ শতাংশ হারে।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক হিসাবমান অনুযায়ী, অবচয়জনিত ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান বেশি হলে তার বিপরীতে দায় সৃষ্টি করতে হয়। কিন্তু সেটি করা হয়নি। ডিএসই বলছে, সেটি করা হলে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হওয়ার কথা ঋণাত্মক—২ টাকা ১৯ পয়সা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিসাববিদ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি আল মারুফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি যদি তার আর্থিক প্রতিবেদনে অবচয়জনিত ব্যয়ের বিপরীতে বিলম্বিত কর বা দায় উল্লেখ না করে, তাহলে সেটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক হিসাবমানের পরিপন্থী। সেই সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জ ও এসইসির আইনেরও লঙ্ঘন।’
জানা গেছে, এরই মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানির বক্তব্য: তদন্তে উত্থাপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউনাইটেড এয়ারের কোম্পানি সচিব এ টি এম নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কোম্পানির জন্মলগ্ন থেকেই আর্থিক প্রতিবেদনে বিলম্বিত কর বা দায় সৃষ্টি করা হয়নি। বিষয়টি প্রতিটি আর্থিক প্রতিবেদনে শেয়ারধারীদের অবগতির জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ডিএসই যে পন্থায় ইপিএসের হিসাব দেখিয়েছে, সেই পন্থা নিয়েও আমাদের বক্তব্য রয়েছে, যা আমরা ইতিমধ্যে সংস্থাটিকে জানিয়েছি।’
সিরাজ উদ দৌলার কারসাজি: সৈয়দ সিরাজ উদ দৌলা পিএফআই, লংকাবাংলা ও ফারইস্ট স্টক অ্যান্ড বন্ড নামের তিনটি ব্রোকারেজ হাউসে ছয়টি বিও হিসাব পরিচালনা করেন; যার তিনটি হিসাব তাঁর নিজের নামে, একটি হিসাব স্ত্রী রাশেদা আকতারের নামে, একটি তাঁর ভাই এস এম জিল্লুর রহমান এবং অপরটি তাঁর বন্ধু এ বি এম মোশাররফ হোসেনের নামে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১২ আগস্ট থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে এই ছয়টি হিসাবে এক কোটি ৪৬ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি শেয়ার কেনাবেচা করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৯০ লাখ শেয়ার কিনেছেন আর বিক্রি করেছেন প্রায় ৫৭ লাখ শেয়ার। ১৬ টাকা ১৪ পয়সা থেকে শুরু করে প্রায় ৩৩ টাকার মধ্যে এসব শেয়ার কেনাবেচা করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এসব বিও হিসাবের কোনোটিতে এক দিনে তিনি ইউনাইটেড এয়ারের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন, আবার একই দিনে অন্য বিও হিসাব থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করেছেন। এভাবে কেনাবেচার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়িয়েছেন; যেটি শেয়ারবাজারে সিরিজ লেনদেন বা ট্রেডিং হিসেবে পরিচিত। এ ধরনের লেনদেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর ১৭(ই)(৫)-এর লঙ্ঘন; যে ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দামের উত্থান-পতন ঘটানো অপরাধ।
জানতে চাইলে সৈয়দ সিরাজ উদ দৌলা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কোনো ধরনের আইন লঙ্ঘন বা কারসাজির ঘটনার সঙ্গে মোটেই সম্পৃক্ত নই। আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কেও আমি অবগত নই।’ তিনি বলেন, ‘এর আগে এসইসি যখন একটি বিও হিসাবে ১০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন করার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে, তখন একাধিক বিও হিসাব খুলেছিলাম। সেগুলোকে এখনো গুছিয়ে আনতে পারিনি।’
এসইসির মুখপাত্র সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আর্থিক সুশাসন (করপোরেট গভর্নেন্স) বিভাগ চালুর পর তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের অসংগতিজনিত বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদনও আমাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। পরে কমিশন সেগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’
এ ছাড়া আগস্ট মাস থেকে কোম্পানিটির বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শেয়ারবাজারের বড় সব বিনিয়োগকারী; যাঁদের বেশির ভাগেরই নাম রয়েছে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের পুঁজিবাজার তদন্ত প্রতিবেদনে। তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে কারসাজিও বন্ধ হয়নি।
কোম্পানিটি গত ২৩ সেপ্টেম্বর লভ্যাংশ ঘোষণা করে, আর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ৪ নভেম্বর। এই দুটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্যকে ঘিরেই কারসাজির ঘটনা ঘটানো হয়। এর মধ্যে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় দেখিয়েছে ৮১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। এই আয় বাড়িয়ে দেখানোর ক্ষেত্রেও কোম্পানির হিসাব কারসাজির তথ্য পেয়েছে ডিএসই।
ডিএসইর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ও কর-সংক্রান্ত নথিতে একই সম্পদের বিপরীতে ভিন্ন ভিন্ন অবচয় ব্যয় দেখানো হয়েছে। এক জায়গায় মূল সম্পদ উড়োজাহাজের অবচয়জনিত ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩০ শতাংশ হারে। আরেক জায়গায় সেটি দেখানো হয় ৫ শতাংশ হারে।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক হিসাবমান অনুযায়ী, অবচয়জনিত ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান বেশি হলে তার বিপরীতে দায় সৃষ্টি করতে হয়। কিন্তু সেটি করা হয়নি। ডিএসই বলছে, সেটি করা হলে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হওয়ার কথা ঋণাত্মক—২ টাকা ১৯ পয়সা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিসাববিদ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি আল মারুফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি যদি তার আর্থিক প্রতিবেদনে অবচয়জনিত ব্যয়ের বিপরীতে বিলম্বিত কর বা দায় উল্লেখ না করে, তাহলে সেটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক হিসাবমানের পরিপন্থী। সেই সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জ ও এসইসির আইনেরও লঙ্ঘন।’
জানা গেছে, এরই মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানির বক্তব্য: তদন্তে উত্থাপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউনাইটেড এয়ারের কোম্পানি সচিব এ টি এম নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কোম্পানির জন্মলগ্ন থেকেই আর্থিক প্রতিবেদনে বিলম্বিত কর বা দায় সৃষ্টি করা হয়নি। বিষয়টি প্রতিটি আর্থিক প্রতিবেদনে শেয়ারধারীদের অবগতির জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ডিএসই যে পন্থায় ইপিএসের হিসাব দেখিয়েছে, সেই পন্থা নিয়েও আমাদের বক্তব্য রয়েছে, যা আমরা ইতিমধ্যে সংস্থাটিকে জানিয়েছি।’
সিরাজ উদ দৌলার কারসাজি: সৈয়দ সিরাজ উদ দৌলা পিএফআই, লংকাবাংলা ও ফারইস্ট স্টক অ্যান্ড বন্ড নামের তিনটি ব্রোকারেজ হাউসে ছয়টি বিও হিসাব পরিচালনা করেন; যার তিনটি হিসাব তাঁর নিজের নামে, একটি হিসাব স্ত্রী রাশেদা আকতারের নামে, একটি তাঁর ভাই এস এম জিল্লুর রহমান এবং অপরটি তাঁর বন্ধু এ বি এম মোশাররফ হোসেনের নামে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১২ আগস্ট থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে এই ছয়টি হিসাবে এক কোটি ৪৬ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি শেয়ার কেনাবেচা করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৯০ লাখ শেয়ার কিনেছেন আর বিক্রি করেছেন প্রায় ৫৭ লাখ শেয়ার। ১৬ টাকা ১৪ পয়সা থেকে শুরু করে প্রায় ৩৩ টাকার মধ্যে এসব শেয়ার কেনাবেচা করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এসব বিও হিসাবের কোনোটিতে এক দিনে তিনি ইউনাইটেড এয়ারের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন, আবার একই দিনে অন্য বিও হিসাব থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করেছেন। এভাবে কেনাবেচার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়িয়েছেন; যেটি শেয়ারবাজারে সিরিজ লেনদেন বা ট্রেডিং হিসেবে পরিচিত। এ ধরনের লেনদেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর ১৭(ই)(৫)-এর লঙ্ঘন; যে ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দামের উত্থান-পতন ঘটানো অপরাধ।
জানতে চাইলে সৈয়দ সিরাজ উদ দৌলা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কোনো ধরনের আইন লঙ্ঘন বা কারসাজির ঘটনার সঙ্গে মোটেই সম্পৃক্ত নই। আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কেও আমি অবগত নই।’ তিনি বলেন, ‘এর আগে এসইসি যখন একটি বিও হিসাবে ১০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন করার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে, তখন একাধিক বিও হিসাব খুলেছিলাম। সেগুলোকে এখনো গুছিয়ে আনতে পারিনি।’
এসইসির মুখপাত্র সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আর্থিক সুশাসন (করপোরেট গভর্নেন্স) বিভাগ চালুর পর তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের অসংগতিজনিত বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদনও আমাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। পরে কমিশন সেগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’
No comments