সংসদে প্রশ্নোত্তর- হল-মার্ক গ্রুপের সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই: অর্থমন্ত্রী
আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হল-মার্ক গ্রুপের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বা অধিগ্রহণের পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। জাতীয় সংসদে গতকাল রোববার প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী সাংসদ সাধনা হালদারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা জানান।
জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম ও বিএনপির অনুপস্থিত সাংসদ এ এম মাহাবুব উদ্দিনের পৃথক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, হল-মার্ক গ্রুপসহ অন্যান্য গ্রুপের সোনালী ব্যাংকসহ ব্যাংকিং খাতের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি জানান, হল-মার্কসহ ছয়টি গ্রুপের নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান নিজেদের মধ্যে স্থানীয় এলসি স্থাপন, অভ্যন্তরীণ বিল ক্রয়, ভুয়া রপ্তানি বিল ক্রয়, অ্যাকোমোডেশন বিল সৃষ্টি এবং প্যাকিং ক্রেডিট-সুবিধার মাধ্যমে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জালিয়াতি করে তিন হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
মন্ত্রী জানান, একইভাবে সোনালী ব্যাংকের গুলশান শাখায় ১০৬ কোটি ৮১ লাখ এবং আগারগাঁও শাখায় ১৪১ কোটি টাকা জালিয়াতি হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের লোকাল অফিস থেকে মেসার্স মাদার টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ২১৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়েছে। এ ছাড়া অগ্রণী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের কতিপয় গ্রাহকের হিসাবে কিছু জাল-জালিয়াতি ও অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে, যার পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারণামূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম যাতে সংঘটিত না হতে পারে, সে জন্য শাখা পর্যায়ের ইনল্যান্ড বিল ক্রয় (আইবিপি) করার ক্ষমতা খর্ব করে প্রধান কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের এডি শাখাগুলোর কার্যক্রম তদারকির জন্য এডি ব্রাঞ্চেস ইন্সপেকশন অ্যান্ড মনিটরিং ডিভিশন নামে পৃথক ডিভিশন খোলা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, একইভাবে সোনালী ব্যাংকের গুলশান শাখায় ১০৬ কোটি ৮১ লাখ এবং আগারগাঁও শাখায় ১৪১ কোটি টাকা জালিয়াতি হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের লোকাল অফিস থেকে মেসার্স মাদার টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ২১৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়েছে। এ ছাড়া অগ্রণী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের কতিপয় গ্রাহকের হিসাবে কিছু জাল-জালিয়াতি ও অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে, যার পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারণামূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম যাতে সংঘটিত না হতে পারে, সে জন্য শাখা পর্যায়ের ইনল্যান্ড বিল ক্রয় (আইবিপি) করার ক্ষমতা খর্ব করে প্রধান কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের এডি শাখাগুলোর কার্যক্রম তদারকির জন্য এডি ব্রাঞ্চেস ইন্সপেকশন অ্যান্ড মনিটরিং ডিভিশন নামে পৃথক ডিভিশন খোলা হয়েছে।
No comments