ধানের দাম কম, খরচই উঠছে না by আনোয়ার পারভেজ
ধানের অন্যতম উৎপাদন এলাকা বগুড়ার পাইকারি আড়ত-মোকাম ও হাটবাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমন ধানের দাম প্রতি মণে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পড়ে গেছে। ধানের দাম নিম্নমুখী হওয়ায় উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না কৃষকেরা। বর্তমান দরে ধান বিক্রি করে মণপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে কৃষকদের।
ধান ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা আশঙ্কা করছেন, আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে আমন ধানের আমদানি আরও বাড়বে। এ কারণে বাজারদর আরেক দফা পড়ে যেতে পারে। এদিকে বাজারে ধানের দাম কমে গেলেও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে।
গত শনিবার বগুড়ার পাইকারি মোকামগুলোয় প্রতি মণ চিকন চাল ৯২০ থেকে ৯৩০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ খুচরা বাজারে গতকাল রোববার প্রতি কেজি চিকন চাল ৩২ টাকার (মণ এক হাজার ২৮০ টাকা) কমে কিনতে পারেননি ক্রেতারা। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপ সুলতানগঞ্জ ও তালোড়া; নন্দীগ্রামের রনবাঘা ও হাটকড়ই; সোনাতলার বালুয়াহাটসহ কয়েকটি পাইকারি মোকাম ও হাটবাজার ঘুরে ধান-চালের বাজারমূল্যের এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
মৌসুমজুড়ে ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটে প্রতিদিন সকালে ধানের বড় হাট বসে। দুপুর পর্যন্ত চলে কেনাবেচা। আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে তা বিভিন্ন মোকামে পাঠান। স্থানীয় চালকলের মালিকদের সিংহভাগ ধান সরবরাহ করা হয় এ হাট থেকে।
শনিবার সরেজমিনে এ হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভালো মানের নতুন চিকন আমন ধান প্রতি মণ ৫৮৫ থেকে ৫৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা দরে।
ধান কিনতে আসা দুপচাঁচিয়া সদরের চাতাল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর এ সময় ৭২০ টাকার কমে কোনো আমন ধান কেনা যায়নি। সেই ধানই এবার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হচ্ছে। আড়তদার রমেন বসাক জানান, আমদানি কম থাকায় এখনো বাজারে ধান কেনাবেচা পুরোদমে শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাজারে ধানের আমদানি আরও বাড়বে। সরবরাহ বাড়লে দামও পড়ে যাবে। গত সপ্তাহে যে ধান ৬৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে, সেই ধানের দাম শনিবারের মধ্যে নেমে এসেছে ৫৯০ টাকায়।
ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটে ধান বিক্রি করতে আসা জামরুল গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতি মণ আমন ধানে উৎপাদন খরচ পড়েছে গড়ে ৬০০ টাকা। অথচ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৫২০ টাকায়। মণপ্রতি গড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দুপচাঁচিয়ার খোলাশ গ্রামের কৃষক খয়বর আলী বলেন, ‘গতবারের চাইতে ধানের দাম মণপ্রতি দেড় শ টেকা কমিছে। অথচ সার-কীটনাশকসহ সব জিনিসেরই দাম উল্টা বাড়িচে। ধান আবাদ করবার য্যায়া এবার লোকসান দিচ্চি।’
একই চিত্র পাওয়া গেল নন্দীগ্রামের রনবাঘা ও হাটকড়ই হাটে। হাটকড়ই হাটে ১০ মণ ধান বিক্রি করতে এসেছিলেন নাগরা গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত বছরত এ ধান বেচিচি ৭৮০ টেকা মণ দরে। এবার ব্যাচনো ৬০০ টেকা দরে। এ দামে ধান বেচে খরচ উটপি না।’
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের বাজার পড়ে গেলেও প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে। উল্টো খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি গড়ে তিন টাকা বেড়েছে। দুপচাঁচিয়া ও পাশের তালোড়াবাজারের চালের মোকামে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রতি মণ নতুন আমন চাল ৯২০ থেকে ৯৩০ টাকা ও নতুন মোটা চাল ৮২০ থেকে ৮৩০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। পারিজা জাতের পুরোনো চিকন চাল কেনাবেচা হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯২০ টাকা দরে। সেই হিসাবে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ছিল গড়ে ২৩ টাকা। অথচ পাশের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিকন চাল সর্বনিম্ন ৩২ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। একই বাজারে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে চালের বাজারদরের পার্থক্য ছিল কেজিপ্রতি নয় টাকা।
বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারের চাল ব্যবসায়ী আশরাফ আলী জানান, ভালো মানের চিকন চাল ৪০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত মৌসুমের পুরোনো চালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। আগামী সপ্তাহে চালের দাম আরও বাড়তে পারে।
গত শনিবার বগুড়ার পাইকারি মোকামগুলোয় প্রতি মণ চিকন চাল ৯২০ থেকে ৯৩০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ খুচরা বাজারে গতকাল রোববার প্রতি কেজি চিকন চাল ৩২ টাকার (মণ এক হাজার ২৮০ টাকা) কমে কিনতে পারেননি ক্রেতারা। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপ সুলতানগঞ্জ ও তালোড়া; নন্দীগ্রামের রনবাঘা ও হাটকড়ই; সোনাতলার বালুয়াহাটসহ কয়েকটি পাইকারি মোকাম ও হাটবাজার ঘুরে ধান-চালের বাজারমূল্যের এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
মৌসুমজুড়ে ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটে প্রতিদিন সকালে ধানের বড় হাট বসে। দুপুর পর্যন্ত চলে কেনাবেচা। আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে তা বিভিন্ন মোকামে পাঠান। স্থানীয় চালকলের মালিকদের সিংহভাগ ধান সরবরাহ করা হয় এ হাট থেকে।
শনিবার সরেজমিনে এ হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভালো মানের নতুন চিকন আমন ধান প্রতি মণ ৫৮৫ থেকে ৫৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা দরে।
ধান কিনতে আসা দুপচাঁচিয়া সদরের চাতাল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর এ সময় ৭২০ টাকার কমে কোনো আমন ধান কেনা যায়নি। সেই ধানই এবার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হচ্ছে। আড়তদার রমেন বসাক জানান, আমদানি কম থাকায় এখনো বাজারে ধান কেনাবেচা পুরোদমে শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাজারে ধানের আমদানি আরও বাড়বে। সরবরাহ বাড়লে দামও পড়ে যাবে। গত সপ্তাহে যে ধান ৬৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে, সেই ধানের দাম শনিবারের মধ্যে নেমে এসেছে ৫৯০ টাকায়।
ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটে ধান বিক্রি করতে আসা জামরুল গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতি মণ আমন ধানে উৎপাদন খরচ পড়েছে গড়ে ৬০০ টাকা। অথচ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৫২০ টাকায়। মণপ্রতি গড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দুপচাঁচিয়ার খোলাশ গ্রামের কৃষক খয়বর আলী বলেন, ‘গতবারের চাইতে ধানের দাম মণপ্রতি দেড় শ টেকা কমিছে। অথচ সার-কীটনাশকসহ সব জিনিসেরই দাম উল্টা বাড়িচে। ধান আবাদ করবার য্যায়া এবার লোকসান দিচ্চি।’
একই চিত্র পাওয়া গেল নন্দীগ্রামের রনবাঘা ও হাটকড়ই হাটে। হাটকড়ই হাটে ১০ মণ ধান বিক্রি করতে এসেছিলেন নাগরা গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত বছরত এ ধান বেচিচি ৭৮০ টেকা মণ দরে। এবার ব্যাচনো ৬০০ টেকা দরে। এ দামে ধান বেচে খরচ উটপি না।’
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের বাজার পড়ে গেলেও প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে। উল্টো খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি গড়ে তিন টাকা বেড়েছে। দুপচাঁচিয়া ও পাশের তালোড়াবাজারের চালের মোকামে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রতি মণ নতুন আমন চাল ৯২০ থেকে ৯৩০ টাকা ও নতুন মোটা চাল ৮২০ থেকে ৮৩০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। পারিজা জাতের পুরোনো চিকন চাল কেনাবেচা হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯২০ টাকা দরে। সেই হিসাবে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ছিল গড়ে ২৩ টাকা। অথচ পাশের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিকন চাল সর্বনিম্ন ৩২ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। একই বাজারে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে চালের বাজারদরের পার্থক্য ছিল কেজিপ্রতি নয় টাকা।
বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারের চাল ব্যবসায়ী আশরাফ আলী জানান, ভালো মানের চিকন চাল ৪০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত মৌসুমের পুরোনো চালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। আগামী সপ্তাহে চালের দাম আরও বাড়তে পারে।
No comments