মিয়ানমার-গণতান্ত্রিক সংস্কার সফল হবে কি? by বিল রিচার্ডসন ও মিকি বার্গম্যান
ইয়াংগুনের হোটেল লবিতে সন্ধ্যাবেলায় ব্যবসায়ীদের গিজগিজ করতে দেখা যায়। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য! লবিতে যাদের দেখা যায় তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক চীনা, জাপানি, ইউরোপীয় ও আমেরিকান রয়েছেন। তাদের দেখে মনে হবে, মিয়ানমারে এখনই বুঝিবা অর্থনৈতিক রমরমা অবস্থা দেখা দেবে, আর তারা সেটা দেখার জন্যই এখানে ভিড় করছেন।
মিয়ানমার সরকারের গৃহীত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের ফলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে না নিলেও অনেকটাই স্থগিত করেছে। ইতিমধ্যে বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি তার বিজয়দৃপ্ত যুক্তরাষ্ট্র সফর সেরে এসেছেন। সামরিক শাসক থেইন সেইন মিয়ানমারে যে নতুন সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেন সেটাও প্রশংসিত হয়েছে।
সেই ১৯৮৯ সাল থেকে বারবার গৃহে অন্তরীণ অবস্থায় কাটাতে বাধ্য হওয়ায় অং সান সু চিকে নেলসন ম্যান্ডেলার অবস্থার সঙ্গে তুলনা করা হয়, আর সেটা অযৌক্তিকও নয়। ম্যান্ডেলার প্রয়োজন ছিল সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক আফ্রিকান শ্বেতাঙ্গ রাজনৈতিক নেতা ডি ক্লার্কের মতো একজন মানুষ। তবে, তখন বর্ণবাদী শাসনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভেতর থেকে যেমন, বাইরে থেকেও তেমনি সোচ্চার প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছিল। এভাবে মানুষের ইচ্ছা এবং শাসকদের ইচ্ছা কদাচিত একই বিন্দুতে মিলতে দেখা যায়।
মিয়ানমারের অনেক নেতার সঙ্গে আলাপ করে আমাদের মনে হয়েছে, থেইন সেইন সত্যি সত্যিই গণতন্ত্রে উত্তরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ সংস্কার আদৌ কতটুকু সফল হবে সে সম্পর্কে রায় দেওয়ার সময় এখনও আসেনি। আমরা গত দুই বছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেমনটা দেখেছি, তেমন ধরনের বিপ্লব এটা নয়। এটা একটা পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া_ ভেতর থেকেই একটি সংস্কার আন্দোলন। তবে, এ সংস্কার প্রক্রিয়া ধীরলয়ে চলবে। কারণ, একদিকে এটি পরিচালনায় সরকারের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য সময় দিতে হবে। অন্যদিকে, সংস্কার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা প্রতিহত করা এবং অলিগার্করা যাতে নিয়ন্ত্রণকারী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে না পারে ও মিয়ানমারের অঢেল প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট না করতে পারে, সে জন্যও ধীরগতির সংস্কার প্রয়োজন। তবে, সরকারকে এ ব্যাপারে ঢিলেমি করলে চলবে না। কারণ, জনগণকে সংস্কারের অপরিহার্যতা উপলব্ধি করানোর জন্য এর সুফলও তাদের কাছে পেঁৗছানোর ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকেই। এ ক্ষেত্রে সাফল্য নির্ভর করছে ব্যাপকভাবে বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসা ও 'ফুল এনগেজমেন্ট'-এর ওপর।
মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ যদি গণতন্ত্র ও সংস্কারের সুফল অনুভব না করতে পারে তাহলে এই পরিবর্তন ব্যর্থ হয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। সু চি অকপটেই স্বীকার করেছেন, অগ্রগতি যে ঘটবেই তা অবধারিত নয় এবং অনেক চ্যালেঞ্জ এখনও সামনে রয়েছে।
প্রথমত উল্লেখ করা যায়, মিয়ানমারের জনগণের বিরাট অংশ অত্যন্ত গরিব। জনগণের জীবনমানে উন্নতি ঘটানোর দায়িত্ব এখন নির্বাচিত সরকারের এবং এতে সবার স্বার্থ জড়িত রয়েছে। নির্বাচিত সরকার, অং সান সু চির লীগ ফর ডেমোক্রেসিসহ বিরোধী দলগুলো, এই সম্ভাবনাময়ী বাজার সম্পর্কে যারা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন সে ব্যবসায়ীরা কেউ দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ও অর্থনীতির বিকাশ ঘটানোর জন্য বার্মিজ সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টা লাগবে।
অং সান সু চি বলেছেন, ক্ষুদ্র ফার্মিং ও শ্রমঘন ব্যবসার মতো জনবান্ধব বিনিয়োগ তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। মৌলিক জলাধার ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ দরকার। অধিকন্তু, সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিও প্রয়োজনীয়। দেশের সংখ্যালঘুরা যতক্ষণ পর্যন্ত না ভাবতে পারবে যে তারাও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশীদার ততক্ষণ পর্যন্ত সংস্কার আন্দোলন পুরোপুরি সফল হবে না।
সরকারের যথার্থ শাসনের সামর্থ্য ও ধ্যানধারণাও কম। দশকের পর দশক একনায়কত্ববাদী শাসন চলার কারণে নির্বাহী বিভাগ, আইন প্রণয়নকারী সংসদ ও বিচার বিভাগের সদস্যদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে খুব কমই সন্তোষজনক পর্যায়ের কার্যক্ষমতা প্রদর্শন ও সেবা প্রদানের সামর্থ্য রয়েছে। তবে, ভালো দিক হলো, এ ক্ষেত্রে ঘাটতিগুলো পুষিয়ে সুশাসন উপহার দেওয়ার ব্যাপারে এসব বিভাগের আগ্রহ রয়েছে। আইন তৈরি করা, বাজেট প্রস্তুত করা বা পার্টিগুলোর মধ্যে দরকষাকষি বা সম্পর্ক কীভাবে বজায় রাখা যায়, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কীভাবে বোঝাপড়া করা হবে ইত্যাদি মৌলিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য চেষ্টা চালাতে হবে এ সময়ের মধ্যে।
আমেরিকার যেসব সংস্থা গণতন্ত্র বিনির্মাণের জন্য কাজ করে তারা এখনও প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজেই সীমাবদ্ধ। তাদের মিয়ানমারের সংস্কার ও গণতন্ত্রকে কার্যকর করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র এখনও মিয়ানমারকে কৌশলগত গুরুত্ব প্রদান করেনি। এর অর্থ দাঁড়ায়, মিয়ানমারের সংস্কার প্রক্রিয়াকে সফল করার জন্য তারা তাদের সামর্থ্যকে পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছে না। কেবল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, তাও আবার পুরোপুরি নয়। মিসর ও তিউনিসিয়ার জন্য যেমনটা করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে মিয়ানমারকে সেই একই ধরনের 'এন্টারপ্রাইজ ফান্ড' ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। এতে মিয়ানমারের মার্কিন বাণিজ্যমানের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং একই সঙ্গে মার্কিন বেসরকারি খাতকে এখানে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে চীন মার্কিন স্বার্থকে মাড়িয়ে যাবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রকে সম্ভাব্য সুযোগ ও প্রভাব বিস্তার দুটি ক্ষেত্রেই নিরাশ হতে হবে। মিয়ানমারে এখন একটা অভাবনীয় মুহূর্ত যাচ্ছে। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পৃথক হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘকালের প্রতিদ্বন্দ্বীরা এখন মুক্তি ও গণতন্ত্রকে বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সুযোগ করে দিতে আগ্রহী। যারা দীর্ঘকাল কারাভোগ করেছেন তারাও তাদের এককালের আটককারীদের ওপর আস্থা স্থাপন এবং তাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চায়। আমাদের তাদের কথা শোনা উচিত।
আমরা মিয়ানমারের পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবেই দেখতে পারি।
বিল রিচার্ডসন : জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত; মিকি বার্গম্যান :রিচার্ডসন ইনস্টিটিউটের সিনিয়র উপদেষ্টা। খালিজ টাইমস থেকে ভাষান্তর, সুভাষ সাহা
সেই ১৯৮৯ সাল থেকে বারবার গৃহে অন্তরীণ অবস্থায় কাটাতে বাধ্য হওয়ায় অং সান সু চিকে নেলসন ম্যান্ডেলার অবস্থার সঙ্গে তুলনা করা হয়, আর সেটা অযৌক্তিকও নয়। ম্যান্ডেলার প্রয়োজন ছিল সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক আফ্রিকান শ্বেতাঙ্গ রাজনৈতিক নেতা ডি ক্লার্কের মতো একজন মানুষ। তবে, তখন বর্ণবাদী শাসনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভেতর থেকে যেমন, বাইরে থেকেও তেমনি সোচ্চার প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছিল। এভাবে মানুষের ইচ্ছা এবং শাসকদের ইচ্ছা কদাচিত একই বিন্দুতে মিলতে দেখা যায়।
মিয়ানমারের অনেক নেতার সঙ্গে আলাপ করে আমাদের মনে হয়েছে, থেইন সেইন সত্যি সত্যিই গণতন্ত্রে উত্তরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ সংস্কার আদৌ কতটুকু সফল হবে সে সম্পর্কে রায় দেওয়ার সময় এখনও আসেনি। আমরা গত দুই বছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেমনটা দেখেছি, তেমন ধরনের বিপ্লব এটা নয়। এটা একটা পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া_ ভেতর থেকেই একটি সংস্কার আন্দোলন। তবে, এ সংস্কার প্রক্রিয়া ধীরলয়ে চলবে। কারণ, একদিকে এটি পরিচালনায় সরকারের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য সময় দিতে হবে। অন্যদিকে, সংস্কার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা প্রতিহত করা এবং অলিগার্করা যাতে নিয়ন্ত্রণকারী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে না পারে ও মিয়ানমারের অঢেল প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট না করতে পারে, সে জন্যও ধীরগতির সংস্কার প্রয়োজন। তবে, সরকারকে এ ব্যাপারে ঢিলেমি করলে চলবে না। কারণ, জনগণকে সংস্কারের অপরিহার্যতা উপলব্ধি করানোর জন্য এর সুফলও তাদের কাছে পেঁৗছানোর ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকেই। এ ক্ষেত্রে সাফল্য নির্ভর করছে ব্যাপকভাবে বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসা ও 'ফুল এনগেজমেন্ট'-এর ওপর।
মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ যদি গণতন্ত্র ও সংস্কারের সুফল অনুভব না করতে পারে তাহলে এই পরিবর্তন ব্যর্থ হয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। সু চি অকপটেই স্বীকার করেছেন, অগ্রগতি যে ঘটবেই তা অবধারিত নয় এবং অনেক চ্যালেঞ্জ এখনও সামনে রয়েছে।
প্রথমত উল্লেখ করা যায়, মিয়ানমারের জনগণের বিরাট অংশ অত্যন্ত গরিব। জনগণের জীবনমানে উন্নতি ঘটানোর দায়িত্ব এখন নির্বাচিত সরকারের এবং এতে সবার স্বার্থ জড়িত রয়েছে। নির্বাচিত সরকার, অং সান সু চির লীগ ফর ডেমোক্রেসিসহ বিরোধী দলগুলো, এই সম্ভাবনাময়ী বাজার সম্পর্কে যারা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন সে ব্যবসায়ীরা কেউ দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ও অর্থনীতির বিকাশ ঘটানোর জন্য বার্মিজ সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টা লাগবে।
অং সান সু চি বলেছেন, ক্ষুদ্র ফার্মিং ও শ্রমঘন ব্যবসার মতো জনবান্ধব বিনিয়োগ তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। মৌলিক জলাধার ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ দরকার। অধিকন্তু, সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিও প্রয়োজনীয়। দেশের সংখ্যালঘুরা যতক্ষণ পর্যন্ত না ভাবতে পারবে যে তারাও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশীদার ততক্ষণ পর্যন্ত সংস্কার আন্দোলন পুরোপুরি সফল হবে না।
সরকারের যথার্থ শাসনের সামর্থ্য ও ধ্যানধারণাও কম। দশকের পর দশক একনায়কত্ববাদী শাসন চলার কারণে নির্বাহী বিভাগ, আইন প্রণয়নকারী সংসদ ও বিচার বিভাগের সদস্যদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে খুব কমই সন্তোষজনক পর্যায়ের কার্যক্ষমতা প্রদর্শন ও সেবা প্রদানের সামর্থ্য রয়েছে। তবে, ভালো দিক হলো, এ ক্ষেত্রে ঘাটতিগুলো পুষিয়ে সুশাসন উপহার দেওয়ার ব্যাপারে এসব বিভাগের আগ্রহ রয়েছে। আইন তৈরি করা, বাজেট প্রস্তুত করা বা পার্টিগুলোর মধ্যে দরকষাকষি বা সম্পর্ক কীভাবে বজায় রাখা যায়, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কীভাবে বোঝাপড়া করা হবে ইত্যাদি মৌলিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য চেষ্টা চালাতে হবে এ সময়ের মধ্যে।
আমেরিকার যেসব সংস্থা গণতন্ত্র বিনির্মাণের জন্য কাজ করে তারা এখনও প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজেই সীমাবদ্ধ। তাদের মিয়ানমারের সংস্কার ও গণতন্ত্রকে কার্যকর করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র এখনও মিয়ানমারকে কৌশলগত গুরুত্ব প্রদান করেনি। এর অর্থ দাঁড়ায়, মিয়ানমারের সংস্কার প্রক্রিয়াকে সফল করার জন্য তারা তাদের সামর্থ্যকে পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছে না। কেবল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, তাও আবার পুরোপুরি নয়। মিসর ও তিউনিসিয়ার জন্য যেমনটা করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে মিয়ানমারকে সেই একই ধরনের 'এন্টারপ্রাইজ ফান্ড' ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। এতে মিয়ানমারের মার্কিন বাণিজ্যমানের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং একই সঙ্গে মার্কিন বেসরকারি খাতকে এখানে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে চীন মার্কিন স্বার্থকে মাড়িয়ে যাবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রকে সম্ভাব্য সুযোগ ও প্রভাব বিস্তার দুটি ক্ষেত্রেই নিরাশ হতে হবে। মিয়ানমারে এখন একটা অভাবনীয় মুহূর্ত যাচ্ছে। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পৃথক হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘকালের প্রতিদ্বন্দ্বীরা এখন মুক্তি ও গণতন্ত্রকে বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সুযোগ করে দিতে আগ্রহী। যারা দীর্ঘকাল কারাভোগ করেছেন তারাও তাদের এককালের আটককারীদের ওপর আস্থা স্থাপন এবং তাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চায়। আমাদের তাদের কথা শোনা উচিত।
আমরা মিয়ানমারের পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবেই দেখতে পারি।
বিল রিচার্ডসন : জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত; মিকি বার্গম্যান :রিচার্ডসন ইনস্টিটিউটের সিনিয়র উপদেষ্টা। খালিজ টাইমস থেকে ভাষান্তর, সুভাষ সাহা
No comments