গাজা-সংকট নিয়ে বিভক্ত বিশ্বনেতারা
একদিকে মিসরের মধ্যস্থতায় রকেট হামলা বন্ধে ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের রাজি করানোর চেষ্টা, অন্যদিকে আত্মরক্ষার বুলি তুলে ইসরায়েলি হামলার প্রতি সমর্থন জানানো—পশ্চিমাদের পরস্পরবিরোধী এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকটের সৃষ্টি করেছে।
গাজা ভূখণ্ডে গত বুধবার থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত সামরিক হামলায় বহু বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে। পশ্চিমারা এ ঘটনায় নিন্দা জানালেও তারা এর জন্য মূলত হামাসকেই দায়ী করেছে।ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথারিন অ্যাস্টন বলেন, ‘এ ধরনের হামলা থেকে জনগণকে রক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। আমি ইসরায়েলের প্রতি এই হামলার সমুচিত জবাব দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, মিসরের প্রধানমন্ত্রী হিশাম কান্দিল পরিস্থিতি শান্ত করতে সমর্থ হবেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারও ইসরায়েলের হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড জানান, আত্মরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। তবে মিসরের প্রধানমন্ত্রী গাজা পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলি আগ্রাসনকে দায়ী করেছেন। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিও গাজা পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে জানান, এ ঘটনা মানবতার বিরুদ্ধে হামলা।
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান অভিযোগ করেন, আগামী জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের খুশি করতে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গাজায় বিমান হামলার অনুমতি দিয়েছেন। ওই নির্বাচনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারো লড়াই করবেন।
পাকিস্তানও ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ গাজা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে জানান, মিসর এই উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখতে পারবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও একই রকম আশা প্রকাশ করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মিসরের ভূমিকার প্রতি সমর্থন রয়েছে মস্কোর।
সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ আশা করছেন, পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসবে। এএফপি।
No comments