মর্মান্তিক!-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে সতর্ক হোন
নিমতলীর হৃদয়বিদারক অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ক্ষত এখনো শুকায়নি, শুকায়নি আশুলিয়ার বহুতল গার্মেন্ট ভবনের অগ্নিকাণ্ডে ২৯ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ক্ষত। এ ছাড়া অহরহ ঘটছে নানা মাত্রার অগ্নিকাণ্ড, যাতে এক-দুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার মালামাল-সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকায় আবারও বড় ধরনের আগুনের বীভৎসতা প্রত্যক্ষ করতে হলো। শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় রাজধানীর হাজারীবাগের বৌবাজার বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১টি প্রাণ পুড়ে মরল। পুড়ে গেল বস্তির পাঁচ শতাধিক ঘর। কয়েক কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই। আগুনের ভয়াবহতা এতটাই তীব্র ছিল যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৭টি ইউনিট চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার জানিয়েছেন, বস্তির এক কোনায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ইটের তৈরি একটি দোতলা দালান ও কয়েকটি ঘর নিয়ে দেয়ালঘেরা একটি কম্পাউন্ড রয়েছে। এলাকাবাসী একে শামসু প্রফেসরের বস্তি বলে চেনে। ওই দেয়ালঘেরা ঘরগুলোতেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছয় নারী ও এক শিশু রয়েছে। দোতলা দালানের নিচতলার বাথরুমের ভেতরই পাওয়া গেছে আটটি লাশ। পুলিশ ও এলাকাবাসী ধারণা করছে, বাথরুমে ঢুকে শরীরে পানি ঢেলে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছিল হতভাগ্য এই মানুষগুলো। এ সম্পাদকীয় লেখার সময় পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের উৎস সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উৎস যা-ই হোক, যদি নাশকতা না হয়ে থাকে, তাহলে এই অপূরণীয় ক্ষতি হওয়া অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নির্ঘাত কোনো না কোনো অবহেলা বা অনিয়ম রয়েছে। শনি সমাগত। চারদিকের পরিবেশ শুষ্ক হয়ে উঠেছে। এ সময় অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কাও বেড়ে থাকে। ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর। স্বভাবতই এখানে বস্তিগুলোও ঘিঞ্জি। গায়ে গা লাগিয়ে গড়ে উঠেছে। তাই সতর্ক হওয়া উচিত শহর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত বিভাগগুলোর, সচেতন হওয়া প্রয়োজন সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে যারা ব্যবসায়িক কারণে জানমালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় না রেখে গাদাগাদি করে ঘর তোলে, ব্যবসায়িক কারণে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ করে অথবা নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করে। আমরা মনে করি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাজ শুধু অগ্নি নির্বাপণ নয়, দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তা প্রতিরোধে সারা বছর তৎপর থাকা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি সিটিজেন চার্টার রয়েছে। সেখানে অগ্নি প্রতিরোধমূলক মহড়া, পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ সেবা বিষয়ে জনগণকে এমন শর্তাবলি দেওয়া রয়েছে, যা চাকরির আবেদনের মতো। আবেদন করে অনুমোদন নিয়ে প্রশিক্ষণ সেবা নিতে হয়। এটা সঠিক বলে আমরা মনে করি না। এই সেবা নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে। প্রয়োজনে মানুষকে বিরক্ত করে অগ্নি নির্বাপণসহ যাবতীয় সচেতনতা কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। পাশাপাশি নাগরিক দায়িত্বগুলো যেন শহরবাসী সঠিকভাবে পালন করে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের মর্মান্তিক মৃত্যু ও জানমালের ক্ষতি আমাদের কষ্ট দেয়, আহত করে। আগুনের লেলিহান শিখায় উইপোকার মতো নিরীহ মানুষের জীবন দেওয়া আমরা আর দেখতে চাই না।
এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকায় আবারও বড় ধরনের আগুনের বীভৎসতা প্রত্যক্ষ করতে হলো। শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় রাজধানীর হাজারীবাগের বৌবাজার বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১টি প্রাণ পুড়ে মরল। পুড়ে গেল বস্তির পাঁচ শতাধিক ঘর। কয়েক কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই। আগুনের ভয়াবহতা এতটাই তীব্র ছিল যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৭টি ইউনিট চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার জানিয়েছেন, বস্তির এক কোনায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ইটের তৈরি একটি দোতলা দালান ও কয়েকটি ঘর নিয়ে দেয়ালঘেরা একটি কম্পাউন্ড রয়েছে। এলাকাবাসী একে শামসু প্রফেসরের বস্তি বলে চেনে। ওই দেয়ালঘেরা ঘরগুলোতেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছয় নারী ও এক শিশু রয়েছে। দোতলা দালানের নিচতলার বাথরুমের ভেতরই পাওয়া গেছে আটটি লাশ। পুলিশ ও এলাকাবাসী ধারণা করছে, বাথরুমে ঢুকে শরীরে পানি ঢেলে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছিল হতভাগ্য এই মানুষগুলো। এ সম্পাদকীয় লেখার সময় পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের উৎস সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উৎস যা-ই হোক, যদি নাশকতা না হয়ে থাকে, তাহলে এই অপূরণীয় ক্ষতি হওয়া অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নির্ঘাত কোনো না কোনো অবহেলা বা অনিয়ম রয়েছে। শনি সমাগত। চারদিকের পরিবেশ শুষ্ক হয়ে উঠেছে। এ সময় অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কাও বেড়ে থাকে। ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর। স্বভাবতই এখানে বস্তিগুলোও ঘিঞ্জি। গায়ে গা লাগিয়ে গড়ে উঠেছে। তাই সতর্ক হওয়া উচিত শহর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত বিভাগগুলোর, সচেতন হওয়া প্রয়োজন সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে যারা ব্যবসায়িক কারণে জানমালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় না রেখে গাদাগাদি করে ঘর তোলে, ব্যবসায়িক কারণে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ করে অথবা নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করে। আমরা মনে করি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাজ শুধু অগ্নি নির্বাপণ নয়, দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তা প্রতিরোধে সারা বছর তৎপর থাকা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি সিটিজেন চার্টার রয়েছে। সেখানে অগ্নি প্রতিরোধমূলক মহড়া, পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ সেবা বিষয়ে জনগণকে এমন শর্তাবলি দেওয়া রয়েছে, যা চাকরির আবেদনের মতো। আবেদন করে অনুমোদন নিয়ে প্রশিক্ষণ সেবা নিতে হয়। এটা সঠিক বলে আমরা মনে করি না। এই সেবা নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে। প্রয়োজনে মানুষকে বিরক্ত করে অগ্নি নির্বাপণসহ যাবতীয় সচেতনতা কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। পাশাপাশি নাগরিক দায়িত্বগুলো যেন শহরবাসী সঠিকভাবে পালন করে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের মর্মান্তিক মৃত্যু ও জানমালের ক্ষতি আমাদের কষ্ট দেয়, আহত করে। আগুনের লেলিহান শিখায় উইপোকার মতো নিরীহ মানুষের জীবন দেওয়া আমরা আর দেখতে চাই না।
No comments