জনগণ সংসদ বর্জন চায় না

চলতি সংসদ অধিবেশনে যোগদানের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে বিরোধী দল বিএনপি। দলীয় ফোরামে এ নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। বিএনপির সংসদে যোগ দেওয়া নিয়ে টেলিফোনে মতামত জানিয়েছেন পাঠকরা।
গ্রন্থনা একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
বিলম্বে হলেও বিরোধী দলের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তারা সংসদে যাচ্ছে। বিরোধী দলের আলোচনায় সরকার ভুল-ত্রুটি শুধরে নেবে। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্যই তাদের সংসদে যাওয়া উচিত; সদস্যপদ বাঁচানো আর বেতন-ভাতা পাওয়ার জন্য নয়। সংসদ বর্জন করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। জনগণ ভোট দিয়েছে সংসদে গিয়ে দেশের কল্যাণে আলোচনা করার জন্য।
মো. খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, নরসিংদী
বিএনপি সংসদে যাবে_ এটা ভালো খবর। জনগণ তো তাদের ভোট দিয়েছে এলাকার উন্নয়নের জন্য। সংসদে গিয়ে কথা বলা ছাড়া এ উন্নয়ন সম্ভব নয়। সংসদে গিয়ে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুসহ নানা বিষয়ে কথা বলতে পারে।
মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ
কাজী, বিজয়নগর, ঢাকা
বিএনপির সংসদে যাওয়া উচিত। তারা যেহেতু বেতন-ভাতা সব নিচ্ছে, তাদের দেশের বর্তমান সমস্যা নিয়ে সংসদে গিয়ে কথা বলা উচিত।
কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর
মানবাধিকার কর্মী, মুন্সীগঞ্জ
দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে চলতি অধিবেশনে যোগ দিয়ে আমাদের চাহিদা, সরকারের সমালোচনা ও জাতির উন্নয়নের রূপরেখা প্রকাশের জন্য বিএনপিকে স্বাগত জানাই। সরকারের প্রতি অনুরোধ, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে বিরোধী দলকে কথা বলার সমান সুযোগ দিতে হবে। টিভিতেও যেন সেটা সম্প্রচার হয়।
নিকেশ বৌদ্ধ
হকার, সুনামগঞ্জ
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া যেন সংসদে গিয়ে দেশের সব সমস্যার কথা বলেন। সংসদের বাইরে গিয়ে সমস্যার কথা বলে লাভ নেই। দেশে সংসদ কার্যকর আছে, আদালত আছে। সবকিছু তার নিয়মেই সমাধান হবে।
মো. কাউসার মেহেদী
পল্লী চিকিৎসক, মতলব, চাঁদপুর
বিএনপির সংসদে যাওয়া উচিত। সংসদ সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এখানে সব সদস্যের সমান অধিকার। মাননীয় স্পিকার যেন বিরোধী দলকে তাদের কথা বলার সুযোগ দেন।
এহসানুল হক সুমন
শিক্ষার্থী, সিলেট
সংসদেই তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুর সমাধান হওয়া দরকার। বিএনপি সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে এর একটা সুরাহা করুক। এ ইস্যুটা নির্বাচনের জন্য যেন কাল হয়ে না দাঁড়ায়!
আবদুর রহিম
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী
সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদই প্রাণকেন্দ্র। অথচ সংসদে যাচ্ছে না বিএনপি। জনগণ সংসদে যাওয়ার জন্যই তাদের ভোট দিয়েছে।
আশরাফ ফারুক মিলন
পল্লী চিকিৎসক, টাঙ্গাইল
সংসদে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলেই বিএনপি সংসদে যাচ্ছে। এ জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ। তবে বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি যেন ঠিকভাবে কথা বলতে পারে এবং সরকার যেন তাদের কথা শোনে।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল
বিএনপি সংসদে যাবে_ এটা বাংলাদেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের জন্য সুখবর। কারণ সংসদে বিরোধী দল উপস্থিত থাকলে সংসদ প্রাণবন্ত হয়। জনগণের সুখ-দুঃখের কথা, সরকারের কর্মকাণ্ডে ভুল হলে সেটা সংসদে বলা যায়। এতে গণতন্ত্র সুদৃঢ় হয়। সরকার, বিরোধী দল_ সবাই একসঙ্গে কাজ করলে বহির্বিশ্বের প্রেসক্রিপশন এড়ানো সম্ভব।
মো. আবদুর রহিম
শিক্ষক, পিরোজপুর
বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তারা যেন সংসদে যোগ দিয়ে কথা বলেন। কথা বলতে দেওয়া না হলে প্রয়োজনে ওয়াক আউট করে পরদিন হলেও যেন সংসদে যোগ দেন।
গোপাল চৌধুরী
ব্যবসায়ী, ঢাকা
বিরোধী দল সংসদে যাক। আমরা চাই, দেশ সবার সহযোগিতায় উন্নতির শিখরে উঠুক। হরতাল-অবরোধ ইত্যাদি কর্মসূচি না দিয়ে সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক।
মশিউর রহমান মজুমদার
শিক্ষার্থী, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
গণতন্ত্রের স্বার্থে বিরোধী দলকে সংসদে যাওয়া উচিত। তাদের দাবিগুলো সংসদেই তুলে ধরা হোক।
সিরাজুল ইসলাম মাহির
শিক্ষার্থী, মুন্সীগঞ্জ
ব্যারিস্টার মওদুদের সংসদে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাজনীতির জন্য ইতিবাচক। ১৮ দলীয় নেতাদের কাছে অনুরোধ, চলতি অধিবেশনে যোগ দিয়ে সব দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি সরকারের অর্জন ও ব্যর্থতাগুলো তুলে ধরুন।
মো. রোমেল খান
ব্যবসায়ী, নারায়ণগঞ্জ
সংসদের প্রতিটি সময় মূল্যবান। বিরোধী দলকে সংসদে যোগ দিয়ে কথা বলা দরকার। সরকারও যেন তাদের মূল্যায়ন করে।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
বিএনপির সংসদে যাওয়া উচিত। সরকার ভালো-খারাপ যা করছে, সেটা সংসদেই বলা উচিত। রাজপথে আন্দোলন, ভাংচুর করলে কোনো সমাধান হয় না। বিএনপির কোনো দাবি থাকলে সংসদে কথা বলে তা আদায় করতে হবে। তবে মিছিল-মিটিং নাগরিক অধিকার। এখানে সরকার বাধা দিতে পারে না।
মামুন হোসেন রোমান
ব্যবসায়ী, মুলাদী, বরিশাল
অনেক দিন পর সংসদে যাচ্ছে বিরোধী দল। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। তবে সংসদ বর্জনের প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
মো. পারভেজ আলম
ব্যবসায়ী, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা
বিরোধী দল ছাড়া সংসদ অকার্যকর। সংসদের আলোচনা এখন আর মানুষ দেখে না। বিরোধী দল সংসদে আলোচনা করুক। আমরা সে আলোচনা দেখার অপেক্ষায় আছি।
মেহেদী মাসুদ
ব্যবসায়ী, সাভার, ঢাকা
বিএনপির সংসদে যোগদান ইতিবাচক। বিরোধী দল বলে, তাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। তাদের সংসদে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হোক।
মোহাম্মদ আবদুুর রব
সমবায় সমিতির সভাপতি, হাতিয়া, নোয়াখালী
বিরোধী দলের সংসদে যাওয়া উচিত। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন অপকর্মের কথা সংসদে উপস্থাপন করা দরকার।
ডা. অফি আহমেদ
চিকিৎসক, কদমতলী, ঢাকা
দেশের মানুষ চায় বিরোধী দল সংসদে যাক। বর্তমানে সরকারের সফলতা বলতে কোনো কিছুই নেই। সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এটা প্রতিটি মানুষের কথা।
এমএম সাইফুল্লাহ খালেদ
মুক্ত সাংবাদিক, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার
বিরোধী দলের সংসদে যাওয়াকে আমরা স্বাগত জানাই। সরকারের উচিত দেশের উন্নয়নে শত্রু নয়; বন্ধু মনে করে তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করা ও তাদের যুক্তিসঙ্গত দাবিগুলো পূরণের চেষ্টা করা। বিরোধী দলের মতামত ও পরামর্শকে গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত।
মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিরোধী দলকে সংসদে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের অপকর্মের কথা উপস্থাপন করা উচিত।
মো. নাছির উদ্দিন
ব্যবসায়ী, টাঙ্গাইল
বিরোধী দল সংসদে যাক। দেশের ভালো-মন্দ সংসদে উপস্থাপিত হোক_ এটাই প্রত্যাশা।
মারুফ মোহাম্মদ
কৃষক, মানিকগঞ্জ
বিএনপির সংসদে যাওয়া উচিত নয়।
আমিনুল হক মতিন
অধ্যাপক, নাটোর
ক্ষমতা না পাওয়ার অভিমান, ক্ষোভ, লজ্জা, বিরোধী দলের লাগাতার সংসদ বর্জন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। যদি সংসদ বর্জন প্রয়োজন হয়, তাহলে পদত্যাগ করে করা উচিত। বিএনপি যদি আবার ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিতির আগে সংসদে যায়, তাহলে জাতির আশা করার মতো কিছুই থাকবে না। আর যদি সংসদ ও রাজপথে যুগপৎ আন্দোলনের মানসিকতায় সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়, তাহলে বিএনপিকে অভিনন্দন।
ড. দেবাশিষ
চিকিৎসক, টুঙ্গিপাড়া
বিরোধী দলের সংসদে যাওয়া উচিত।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, নেছারাবাদ, পিরোজপুর
এমপিরা সংসদে যাবেন, জনগণের কল্যাণে যা দরকার তা সংসদে বলবেন। অথচ দীর্ঘ দিন ধরে সংসদে বিরোধী দল যাচ্ছে না। এতে সরকারি দল এককভাবে জনসমর্থন না থাকলেও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তা দেখার জন্যই তো বিরোধী দল। বিরোধী দলে যারা থাকবেন তাদের সংসদ বর্জন আমরা সমর্থন করি না। দীর্ঘ দিন পর হলেও বিএনপির সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখি।
মফিজুল ইসলাম
চাকরিজীবী, সাভার, ঢাকা
এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।
নিত্যানন্দ সাহা
ব্যাংক কর্মকর্তা (অবসরপ্রাপ্ত), কিশোরগঞ্জ
আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে ভেবে সংসদে অংশ নিতে পারে বিএনপি।
আসাফুজ্জামান নুর
চাকরিজীবী, গোপালগঞ্জ
বিএনপি কীভাবে সংসদে যাবে? যেখানে কথার গ্রহণযোগ্যতা নেই, সেখানে গিয়ে কোনো লাভ নেই।
ইয়াহিয়া
দোকানদার, সিলেট
বিএনপির সংসদে যাওয়া উচিত।
বাবলু
ব্যবসায়ী, ঝিনাইদহ
সত্যি যদি বিরোধী দল সংসদে যায়, তাহলে এ দেশের দরিদ্র মেহনতি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে। সংসদই জনগণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের স্থান।
সোহেল
কৃষক, সিলেট
বিএনপির সংসদে যাওয়া উচিত।
সঞ্জয়
ব্যবসায়ী, কুমিল্লা
বিএনপির সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। তবে তারা যেন দেশের স্বার্থে যায়।
মহসিন জমাদ্দার
শিক্ষার্থী, কাঁঠালিয়া, ঝালকাঠি
বিএনপির সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে রাজপথে আন্দোলন নয়, বরং সংসদে আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টির নিষ্পত্তি করা উচিত। সংসদ অধিবেশন জনগণ দেখে। সুতরাং সংসদে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হলে জনগণ তা জানতে পারে।
মো. কাউসার চৌধুরী
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম
এটা ভালো উদ্যোগ। এই সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল।
মনির আহমেদ
এনজিও কর্মী, বাগেরহাট
বিএনপি সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবে, পাশাপাশি তারা আন্দোলনও করবে। সংসদেও তাদের আলোচনার প্রধান ইস্যু হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু। বিএনপির প্রধান উদ্দেশ্য আন্দোলন করে এই ইস্যু আদায় করা।
এহসানুল করিম
শিক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
গত ওয়ান-ইলেভেনের মতো যাতে না হয়, সে জন্য সংসদে গিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের আলোচনা করা উচিত। আমরা চাই না, দুটি রাজনৈতিক দলের কারণে আমাদের দেশের সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাক। সংঘাত বাদ দিয়ে মানুষের জন্য কীভাবে রাজনীতি করা যায়, তা নিয়ে ভাবুক রাজনৈতিক দলগুলো।
শাহ আলম
ব্যবসায়ী, সিরাজগঞ্জ
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সংসদে আসেন, কিন্তু তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর আর সংসদে থাকেন না।
আবদুল বারেক মিন্টু
চিকিৎসক, কুমিল্লা
বিএনপি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও করে, দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিরোধী দল বিএনপি অবশেষে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করায় জনগণ ভালো কিছু আশা করছে।
মো. সেরাজুল হক
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
তাদের সদস্যপদ টিকিয়ে রাখা এবং খালেদা জিয়ার ভারত সফরের পর তাদের খুশি করার জন্যই সংসদে যাচ্ছে। এটা তাদের ছলনা।
আজিজার রহমান
শিশু হাসপাতাল কো-অর্ডিনেটর, বগুড়া
আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি সংসদে যাবে_ এটি শুরু থেকেই যাওয়া উচিত ছিল। সংসদীয় গণতন্ত্রে ওয়াকআউটের ঘটনা থাকলেও বর্জনের ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। রাজপথে এখন যেসব ঘটনা ঘটছে সংসদে গিয়ে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান জরুরি। তাই শেষ সময়ে হলেও বিএনপির এ উদ্যোগ দলের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে। এ ব্যাপারে সরকারি দলকে সহযোগিতা করার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
সরকার নুরুল হুদা
ব্যবসায়ী, রায়পুরা, নরসিংদী
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়ে বিএনপি এযাবৎ যত উপনির্বাচন থেকে দূরে সরে আছে এবং সংসদ বর্জন করে চলেছে, তা বিএনপির সিদ্ধান্তের দেওলিয়াত্ব প্রকাশ করেছে। এখন উচিত সংসদে গিয়ে তাদের অবস্থান প্রকাশ করা।
নির্মলেন্দু দেব জাদু
ব্যবসায়ী, শ্রীমঙ্গল
বিএনপি সংসদে যাবে_ এই সংবাদ অন্ধকারে আশার আলো। এ সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন। শুধু বিএনপি নয়, সব সংসদ সদস্য সংসদে যাবেন। সংসদ কার্যকর হবে, গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে_ এটাই প্রত্যাশা।
আবদুস সালাম
শিক্ষার্থী, সাভার বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার
আমি মনে করি, এটি বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সংসদে গিয়ে জনগণের কথা বলা দরকার। জনগণ তাদের সংসদে পাঠিয়েছে তাদের পক্ষে কথা বলার জন্য।
মো. শাহেদ
ব্যবসায়ী, ফেনী
্তুবর্তমানে বিরোধী দল সংসদে গিয়ে আবার ওয়াকআউট করবে কিনা_ তার নিশ্চয়তা কী? যদি ওয়াকআউট না করে তাহলে এবারের সংসদ পূর্ণতা পাবে।
হারুনুর রশিদ শাহীন
এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা
বাংলাদেশ অনেক সম্ভাবনাময় দেশ। শুধু রাজনৈতিক হানাহানির কারণে আমরা এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারছি না। ইদানীং এ সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। গত মার্চের পর বিএনপি আর সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়নি। ফলে দুই দলের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়ছে, রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির পাশাপাশি ঝরে যাচ্ছে অনেক প্রাণ। সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারা শক্তিশালী করতে সংসদ অধিবেশনকে কার্যকর করা জরুরি। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব_ আর এর কেন্দ্রবিন্দু হলো সংসদ। তাই দেরিতে হলেও বিএনপির সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভালো উদ্যোগ। সরকারি দলেরও উচিত, সমস্যা সমাধানে বিরোধী দলকে সুযোগ দেওয়া।
জাহাঙ্গীর উদ্দিন মাহমুদ
সমাজকর্মী, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
বিরোধী দলের সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। বর্তমানে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিরোধী দল ও সরকারের মধ্যে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে সংসদে আলোচনা করা প্রয়োজন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়েও সংসদে আলোচনা সম্ভব। বিরোধী দলের দাবি যদি যৌক্তিক হয় এবং সরকারি দল যদি সেটা না মানে, তাহলে জনগণই তার বিচার করবে।
আবু রায়হান
শিক্ষার্থী, মিঠাপুকুর, রংপুর
এটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো লক্ষণ। কিন্তু সময় অনেক গড়িয়ে গেছে। তাদের আরও আগেই সংসদে যোগদান করা উচিত ছিল। যদিও তারা এর আগে সংসদে গেছে, কিন্তু সরকারি দলের কিছু নেতার কটূক্তি এবং খারাপ আচরণের কারণে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সংসদবিমুখ হয়েছে। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
নাজমুল হক চৌধুরী
রাজনৈতিক কর্মী, কক্সবাজার
প্রতিবাদে সংসদে যাওয়া উচিত নয়।
মো. শাহাদাত হোসেন খান
ব্যবসায়ী, কালিয়াকৈর, গাজীপুর
বিরোধী দলের সংসদে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা_ সেটাই প্রশ্ন। সেই পরিবেশ তৈরি করেই সংসদে যোগদান করা উচিত। এ ক্ষেত্রে সরকারি দলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
দেলোয়ার হোসেন
প্রভাষক, শাজাহানপুর, বগুড়া
নানা সমস্যা সমাধানের জায়গা হলো জাতীয় সংসদ। সেখানে নব্বই-পরবর্তী আমরা দেখছি, বিরোধী দল মানে সংসদ বর্জন। দীর্ঘদিন থেকেই দেশের নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তি বন্ধ হয়ে আছে। যদি সংসদ অধিবেশন চলত তাহলে এমনটি হতো না। অতীতে সংসদ বর্জনের মাধ্যমে কোনো দাবিই কেউ আদায় করতে পারেনি। তাই বিএনপির সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়া দেরিতে হলেও শুভবুদ্ধির পরিচায়ক। এটি আরও আগে হলে বেশি ভালো হতো।
মো. রুকনুল ইসলাম সোহাগ
ব্যবসায়ী, কক্সবাজার
বিএনপির সংসদে যাওয়া উচিত। সংসদে যাওয়ার জন্যই জনগণ তাদের ভোট দিয়েছে। সরকার যদি তাদের সংসদে কথা বলতে না দেয়, সেটার মূল্যায়ন আমরা করব আগামী নির্বাচনে।
ফরিদ আহমেদ
শিক্ষক, শেরপুর
বিএনপি যদি সদস্যপদ রক্ষার জন্য সংসদে যায়, তাহলে তাদের সংসদে যাওয়ার দরকার নেই। আর যদি মানুষের কথা বলার জন্য যায়, সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য যায়, তাহলে তারা অবশ্যই অভিনন্দন পাবে।
শেখ মো. আলী
ব্যবসায়ী, মুন্সীগঞ্জ
বিএনপি সংসদে গিয়ে যেন নির্বিঘ্নে কথা বলতে পারে, সংসদ সদস্যরা যেন সংসদে উত্তেজিত হয়ে মারমুখী আচরণ না করেন_ এ প্রত্যাশা উভয় পক্ষের কাছেই।
কামরুল হাসান
চাকরিজীবী, ফেনী
বিএনপি সংসদে গেলে তাদের কথা বলার অধিকার দেওয়া হোক।

No comments

Powered by Blogger.