ঢাবিতে বাড়ছে যৌন নিপীড়নের ঘটনাঃ ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক উধাও
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে না কোন যথাযথ ব্যবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অন্তত ১৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এসেছে। তবে অভিযোগ করে ন্যায় বিচার পান না বলে জানিয়েছেন।
সর্বশেষ ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের কথা ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক এটিএম ফখরুদ্দিনের বিরুদ্ধে। এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের তৃতীয়বর্ষের এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ফখরুদ্দিনের ব্যক্তিগত কক্ষে ঐ ছাত্রীসহ বসেছিলেন। এমন সময় ঐ শিক্ষকের ছেলে-মেয়ে এসে ঐ ছাত্রীটিকে ইট দিয়ে মারধর করে। এতে ছাত্রীটি গুরুতর আহত হয়। কক্ষের সামনে মেঝেতে রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
তারপর থেকে ঐ শিক্ষক ও ছাত্রীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে এবং ঐ শিক্ষকের কক্ষে ভংচুর করে।
প্রক্টর জানায়, বুধবার বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঐ শিক্ষককে অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ শিক্ষক ও ছাত্রীকে কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি।
শুধু ফখরুদ্দিন নয় এই রকম একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি অভিযোগেরও বিচার করছেন না। এমনকি যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটি কোন ধরনের বৈঠকে বসতে পারে নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বাহালুলের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন, বিভাগের চেয়্যারম্যান ও প্রক্টরকে চিঠি দেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঐ শিক্ষককে সব ধরনের কোর্স থেকে প্রত্যাহার করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হাসানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন বিভাগের একাডেমিক কমিটি এ অধ্যাপকের জন্য বিভাগের ২০০৯-১০ ব্যাচের সকল কাস এবং বর্ষের কাস গ্রহন নিষিদ্ধ করেছে।
গত ৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নূরউদ্দিন আলোর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
এ বছরই নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ করেন এক ছাত্রী।
চলতি বছরের জুন মাসে পরিসংখ্যান, প্রাণ পরিসংখ্যান ও তথ্য পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জাফর আহমেদ খানের বিরুদ্ধে পরকীয়া, নিপীড়ন ও যৌতুকের অভিযোগ আনেন তারই স্ত্রী। তিনি জাফরের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
২০০৯ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে এক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনে। এরপর ঐ শিক্ষককে এক বছর একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
২০১০ সালে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তখনকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে।
২০১১ সালে উর্দু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইসরাফীল এর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন এক শিক্ষার্থী।
একই বছরের এপ্রিল মাসে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু মুসা আরিফ বিল্লাহর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়।
ঐ বছরেরই জুন মাসে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক মুহিত আল রশিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন এক ছাত্রী। এরপর তাকেও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
একই বছরে পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী লাঞ্চনার অভিযোগ ওঠে। পরে ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঐ শিক্ষককে সাময়িক বরখান্ত করা হয়।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী যৌন নিপিড়নের অভিযোগ তোলেন।
২০০৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক কামাল উদ্দিন এর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন এক শিক্ষার্থী।
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নের ঘটনা তদন্তে ২০০৯ সালে যৌন নিপীড়ন বিরোধী তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেয় আদালত। এ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির আহবায়ক হিসেবে এটর্নি জেনারেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবে আলমকে মনোনিত করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এ এফ এম মেজবাহউদ্দীন, সৈয়দ রেজাউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।
তবে গঠিত এই কমিটিকে মৃত বলে দাবি করে এ কমিটির সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম বলেন, নামেই এই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোন ধরনের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এই ধরনের নিকৃষ্ট কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, এই ধরনের ঘটনা লজ্জাস্কর। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ শুনতে খুব খারাপ লাগে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নেয়া উচিত।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ফখরুদ্দিনের ব্যক্তিগত কক্ষে ঐ ছাত্রীসহ বসেছিলেন। এমন সময় ঐ শিক্ষকের ছেলে-মেয়ে এসে ঐ ছাত্রীটিকে ইট দিয়ে মারধর করে। এতে ছাত্রীটি গুরুতর আহত হয়। কক্ষের সামনে মেঝেতে রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
তারপর থেকে ঐ শিক্ষক ও ছাত্রীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে এবং ঐ শিক্ষকের কক্ষে ভংচুর করে।
প্রক্টর জানায়, বুধবার বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঐ শিক্ষককে অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ শিক্ষক ও ছাত্রীকে কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি।
শুধু ফখরুদ্দিন নয় এই রকম একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি অভিযোগেরও বিচার করছেন না। এমনকি যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটি কোন ধরনের বৈঠকে বসতে পারে নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বাহালুলের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন, বিভাগের চেয়্যারম্যান ও প্রক্টরকে চিঠি দেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঐ শিক্ষককে সব ধরনের কোর্স থেকে প্রত্যাহার করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হাসানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন বিভাগের একাডেমিক কমিটি এ অধ্যাপকের জন্য বিভাগের ২০০৯-১০ ব্যাচের সকল কাস এবং বর্ষের কাস গ্রহন নিষিদ্ধ করেছে।
গত ৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নূরউদ্দিন আলোর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
এ বছরই নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ করেন এক ছাত্রী।
চলতি বছরের জুন মাসে পরিসংখ্যান, প্রাণ পরিসংখ্যান ও তথ্য পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জাফর আহমেদ খানের বিরুদ্ধে পরকীয়া, নিপীড়ন ও যৌতুকের অভিযোগ আনেন তারই স্ত্রী। তিনি জাফরের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
২০০৯ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে এক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনে। এরপর ঐ শিক্ষককে এক বছর একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
২০১০ সালে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তখনকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে।
২০১১ সালে উর্দু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইসরাফীল এর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন এক শিক্ষার্থী।
একই বছরের এপ্রিল মাসে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু মুসা আরিফ বিল্লাহর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়।
ঐ বছরেরই জুন মাসে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক মুহিত আল রশিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন এক ছাত্রী। এরপর তাকেও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
একই বছরে পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী লাঞ্চনার অভিযোগ ওঠে। পরে ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঐ শিক্ষককে সাময়িক বরখান্ত করা হয়।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী যৌন নিপিড়নের অভিযোগ তোলেন।
২০০৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক কামাল উদ্দিন এর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন এক শিক্ষার্থী।
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নের ঘটনা তদন্তে ২০০৯ সালে যৌন নিপীড়ন বিরোধী তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেয় আদালত। এ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির আহবায়ক হিসেবে এটর্নি জেনারেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবে আলমকে মনোনিত করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এ এফ এম মেজবাহউদ্দীন, সৈয়দ রেজাউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।
তবে গঠিত এই কমিটিকে মৃত বলে দাবি করে এ কমিটির সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম বলেন, নামেই এই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোন ধরনের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এই ধরনের নিকৃষ্ট কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, এই ধরনের ঘটনা লজ্জাস্কর। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ শুনতে খুব খারাপ লাগে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নেয়া উচিত।
No comments