এডিপির এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি ১৭ মন্ত্রণালয়- জুলাই মাসে বরাদ্দের ৩ শতাংশ ব্যয় by হামিদ-উজ-জামান মামুন
চলতি অর্থবছরের শুরুতেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) বাস্তবায়নে ধীরগতি বিরাজ করছে। তাছাড়া ১৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে।
ওই মাসে উন্নয়ন খাতে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা সরকারের উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের মাত্র তিন শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে এডিপি বরাদ্দের চার শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছিল। এ হিসাবে চলতি বছর এডিপি বাস্তবায়ন এক শতাংশ কমেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হিসাব অনুযায়ী, ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ১৭টি জুলাই মাসে উন্নয়ন খাতে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। ৩৫টির বাস্তবায়ন হার এক শতাংশের নিচে। বছরের শুরুতেই বাস্তবায়ন হোঁচট খাওয়ায় গত অর্থবছরের মতো এবারেও শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন হবে না বলে অর্থনীতিবিদরা মত প্রকাশ করেছেন। বছরের শেষের দিকে তাড়াহুড়ার মধ্যে বেহিসেবি কাজ করে দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে শুরুতেই এডিপি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
জুলাই মাসে শতকরা হিসাবে এডিপি বাস্তবায়নে এগিয়ে আছে বিদ্যুত বিভাগ। বরাদ্দের ১২ ভাগ ব্যয় হয়েছে তারা। মোট ৫২টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ৭ হাজার ৮৪৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৯১৫ কোটি ৯১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মোট ১৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এক মাসে উন্নয়ন বাজেটের বরাদ্দ থেকে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। ফলে স্থবির হয়ে আছে এসব মন্ত্রণালয় বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক প্রকল্প।
৪৬ প্রকল্পের বিপরীতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এডিপির বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ১০৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। গত এক মাসে এ বিশাল বরাদ্দ থেকে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি এ মন্ত্রণালয়। ৭১০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি সেতু বিভাগ। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, আইএমইডি, আইন ও বিচার বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন ও সংসদ বিভাগ, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন সচিবালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এডিপি’র কোন টাকা ব্যয় করতে পারেনি।
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙ্গে পড়লেও জুলাই মাসে সড়ক বিভাগ ১ কোটি ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয় করতে পেরেছে। অথচ এ খাতে ১৪৫ প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ রয়েছে ২ হাজার ৫৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা। উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ব্যয় করেছে সড়ক বিভাগ। এডিপি বাস্তবায়নে রেল বিভাগের দশা আরও করুণ। ৩ হাজার ২৯৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার বিপরীতে রেল বিভাগে ব্যয় হয়েছে মাত্র ১৭ লাখ টাকা। শতকরা হিসাবে বাস্তবায়ন হার দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
শুরুতেই এডিপি বাস্তবায়নে তৎপর না হলে অর্থবছরের শেষে উন্নয়ন প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, বছরের শুরুতে উন্নয়ন কাজ ঠিকমতো না হলে শেষের দিকে তাড়াহুড়া করে কাজ করতে হয়। এর ফলে নির্মাণ কাজের সঠিক মান নিশ্চিত করা যায় না। এতে করে অপচয় ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হয়।
এ ব্যাপারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের জন্য অর্থবছরের শুরুতেই প্রস্তুতি নিতে হবে। মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) ফলে কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রকল্পে আগামী চার বছরে বরাদ্দের পরিমাণ জানতে পারেন। এর ফলে দরপত্র ডাকা ছাড়া সবকিছু বছরের শুরুতেই করা যায়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বাংলাদেশে এ প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হিসাব অনুযায়ী, ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ১৭টি জুলাই মাসে উন্নয়ন খাতে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। ৩৫টির বাস্তবায়ন হার এক শতাংশের নিচে। বছরের শুরুতেই বাস্তবায়ন হোঁচট খাওয়ায় গত অর্থবছরের মতো এবারেও শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন হবে না বলে অর্থনীতিবিদরা মত প্রকাশ করেছেন। বছরের শেষের দিকে তাড়াহুড়ার মধ্যে বেহিসেবি কাজ করে দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে শুরুতেই এডিপি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
জুলাই মাসে শতকরা হিসাবে এডিপি বাস্তবায়নে এগিয়ে আছে বিদ্যুত বিভাগ। বরাদ্দের ১২ ভাগ ব্যয় হয়েছে তারা। মোট ৫২টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ৭ হাজার ৮৪৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৯১৫ কোটি ৯১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মোট ১৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এক মাসে উন্নয়ন বাজেটের বরাদ্দ থেকে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। ফলে স্থবির হয়ে আছে এসব মন্ত্রণালয় বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক প্রকল্প।
৪৬ প্রকল্পের বিপরীতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এডিপির বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ১০৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। গত এক মাসে এ বিশাল বরাদ্দ থেকে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি এ মন্ত্রণালয়। ৭১০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি সেতু বিভাগ। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, আইএমইডি, আইন ও বিচার বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন ও সংসদ বিভাগ, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন সচিবালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এডিপি’র কোন টাকা ব্যয় করতে পারেনি।
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙ্গে পড়লেও জুলাই মাসে সড়ক বিভাগ ১ কোটি ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয় করতে পেরেছে। অথচ এ খাতে ১৪৫ প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ রয়েছে ২ হাজার ৫৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা। উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ব্যয় করেছে সড়ক বিভাগ। এডিপি বাস্তবায়নে রেল বিভাগের দশা আরও করুণ। ৩ হাজার ২৯৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার বিপরীতে রেল বিভাগে ব্যয় হয়েছে মাত্র ১৭ লাখ টাকা। শতকরা হিসাবে বাস্তবায়ন হার দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
শুরুতেই এডিপি বাস্তবায়নে তৎপর না হলে অর্থবছরের শেষে উন্নয়ন প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, বছরের শুরুতে উন্নয়ন কাজ ঠিকমতো না হলে শেষের দিকে তাড়াহুড়া করে কাজ করতে হয়। এর ফলে নির্মাণ কাজের সঠিক মান নিশ্চিত করা যায় না। এতে করে অপচয় ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হয়।
এ ব্যাপারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের জন্য অর্থবছরের শুরুতেই প্রস্তুতি নিতে হবে। মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) ফলে কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রকল্পে আগামী চার বছরে বরাদ্দের পরিমাণ জানতে পারেন। এর ফলে দরপত্র ডাকা ছাড়া সবকিছু বছরের শুরুতেই করা যায়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বাংলাদেশে এ প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
No comments