গণধর্ষণের পর ছাত্রীর নগ্ন ছবি মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে- লাখ টাকা চাঁদা না দিলে ধর্ষণচিত্র ইন্টারনেটে দেয়ার হুমকি ॥ মামলা নিতে সাতক্ষীরা পুলিশের গড়িমসির অভিযোগ
অপহরণের পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণধর্ষণের পর ধর্ষণের চিত্রসংবলিত নগ্ন ছবি মোবাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইন্টারনেটে ধর্ষণচিত্র ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষকরা ধর্ষিতার বাবার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি
করার পর অসহায় মেয়েটি রবিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করলেও পুলিশ সোমবার রাতে মামলা রেকর্ড করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ধর্ষকদের প্রধান রসুলপুরের আইয়ুব আলীকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে। দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের এই কলেজছাত্রীটি মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঘটনার জবানবন্দী দিয়েছে। অপর ধর্ষক রসুলপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে সবুজের কম্পিউটার জব্দ করে কম্পিউটারে থ্কাা ধর্ষণের ভিডিও চিত্র জব্দ করলেও সবুজ ও তার সহযোগী ধর্ষক আরিফুল পালিয়ে গেছে। এরা সকলেই রসুলপুরসংলগ্ন কদমতলা বাজারের স্টুডিও ও কম্পিউটার ব্যবসায়ী।
ধর্ষণের শিকার সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক্স টেকোনলোজির চতুর্থ সেমিস্টার সদ্যসমাপ্ত এক পরীক্ষার্থী। তার বাড়ি দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামে। সে শহরের একটি ছাত্রীনিবাসে থেকে পড়াশুনা করতো। ২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় সে ছাত্রীনিবাস থেকে সবজি কেনার জন্য কদমতলা বাজারে যাওয়ার পথে রসুলপুরের রজনীগন্ধা নামক একটি বাড়ির পাশে তার গতিরোধ করে সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম (২২), একই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে সবুজ (২০) ও রসুলপুরের আইয়ুব আলী (৩২) । পরে তার মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানের মধ্যে আইয়ুব আলীর ঘরে নিয়ে যায় তারা। এ সময় তারা মেয়েটির বাবার মোবাইল নম্বর জেনে নেয়। পরে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তারা তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়। তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে রেখে ধর্ষকরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় এক মহিলার সহযোগিতায় সে বাসায় ফিরে এসে বাবা ও মাকে ঘটনা জানায়।
নির্যাতিত ঐ ছাত্রীর অভিযোগ, পরিবার ও নিজের সম্মানের ভয়ে তিনি বিষয়টি চেপে গেলেও কয়েকদিন পর ধর্ষক আইয়ুব আলী তার বাবার কাছে মোবাইল করে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তারা মেয়ের ধর্ষণের নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে গত শনিবার কদমতলা ব্রিজের ওপর ডেকে নিয়ে ধর্ষকরা মেয়েটির বাবার হাতে মেয়েটির একটি আপত্তিকর ছবি তুলে দেয়। নিরুপায় হয়ে ধর্ষকদের ঠিকানা যোগাড় করে রবিবার ঐ ছাত্রীটি বাবাকে নিয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরীর কাছে যান। এডিশনাল এসপির পরামর্শে রবিবার থানায় অভিযোগ দিলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী ইব্রাহীম দু’জনকে বাদ দিয়ে একজনের নামে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দিতে বলেন। বিষয়টি সাংবাদিকদের মাঝে জানাজানি হলে ওসি সোমবার রাত ১০টার পরে মামলা রেকর্ড করেন। এদিকে সন্ধ্যায় জবানবন্দী দেয়ার পর মেয়েটিকে তার বাবা মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক্স টেকোনলোজির চতুর্থ সেমিস্টার সদ্যসমাপ্ত এক পরীক্ষার্থী। তার বাড়ি দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামে। সে শহরের একটি ছাত্রীনিবাসে থেকে পড়াশুনা করতো। ২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় সে ছাত্রীনিবাস থেকে সবজি কেনার জন্য কদমতলা বাজারে যাওয়ার পথে রসুলপুরের রজনীগন্ধা নামক একটি বাড়ির পাশে তার গতিরোধ করে সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম (২২), একই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে সবুজ (২০) ও রসুলপুরের আইয়ুব আলী (৩২) । পরে তার মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানের মধ্যে আইয়ুব আলীর ঘরে নিয়ে যায় তারা। এ সময় তারা মেয়েটির বাবার মোবাইল নম্বর জেনে নেয়। পরে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তারা তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়। তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে রেখে ধর্ষকরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় এক মহিলার সহযোগিতায় সে বাসায় ফিরে এসে বাবা ও মাকে ঘটনা জানায়।
নির্যাতিত ঐ ছাত্রীর অভিযোগ, পরিবার ও নিজের সম্মানের ভয়ে তিনি বিষয়টি চেপে গেলেও কয়েকদিন পর ধর্ষক আইয়ুব আলী তার বাবার কাছে মোবাইল করে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তারা মেয়ের ধর্ষণের নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে গত শনিবার কদমতলা ব্রিজের ওপর ডেকে নিয়ে ধর্ষকরা মেয়েটির বাবার হাতে মেয়েটির একটি আপত্তিকর ছবি তুলে দেয়। নিরুপায় হয়ে ধর্ষকদের ঠিকানা যোগাড় করে রবিবার ঐ ছাত্রীটি বাবাকে নিয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরীর কাছে যান। এডিশনাল এসপির পরামর্শে রবিবার থানায় অভিযোগ দিলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী ইব্রাহীম দু’জনকে বাদ দিয়ে একজনের নামে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দিতে বলেন। বিষয়টি সাংবাদিকদের মাঝে জানাজানি হলে ওসি সোমবার রাত ১০টার পরে মামলা রেকর্ড করেন। এদিকে সন্ধ্যায় জবানবন্দী দেয়ার পর মেয়েটিকে তার বাবা মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
No comments