রাদামেল ফ্যালকাও ‘দ্য টাইগার’ by ফারজানা আক্তার সাথী
হতে পারতেন সাংবাদিক। বুয়েন্স আয়ার্সের পালের্মো বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু করেছিলেন সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যয়ন। তবে পারেননি। রক্তে যার মিশে আছে ফুটবল, ক্লাস-পড়াশোনা-শিক্ষকদের গুরুবাক্য মনে ধরবে না, এটাই নিয়ম। বাবার দেখানো পথেই তাই হেঁটেছেন।
বাবা ছিলেন ডিফেন্ডার, তিনি হয়েছেন দুর্দান্ত স্ট্রাইকার। বাবার দেয়া নাম ‘গার্সিয়া’ও আড়ালে। মায়ের দেয়া নাম ‘জারাতে’ও অগোচরে। পুরো নামে সবই আছে, তবে আধুনিক ফুটবল বিশ্বে পরিচিত-রাদামেল ফ্যালকাও নামেই। কেউ ডাকে এল টাইগার (দি টাইগার)। কেউ বলে কিং অব ইউরোপা।
খ্যাতির ঢেউ এখন শুধু ইউরোপা লীগে নয়, আছড়ে পড়ছে পুরো ইউরোপেও। মেসি-রোনাল্ডোর আলোচিত দ্বৈরথ যখন চরমে, ফ্যালকাও তখন আপন মহিমায় ভাস্বর। দুর্দান্ত পারফরমেন্সে সবার দৃষ্টি তার দিকে নিতে বাধ্য করেছেন কলম্বিয়ান এই তারকা ফুটবলার। পোর্তোতে যখন ছিলেন, আলোচনা ছিল সামান্যই। তবে খ্যাতি-নাম-যশ বেড়েছে স্পেনে আসার পর। এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমানোর পর হয়ে গেছেন অঘোষিত মেসি-রোনাল্ডোর প্রতিদ্বন্দ্বী। বার্সা-রিয়ালের কাছে লা লীগায় অন্য দলগুলো নস্যিই, এতদিন নিয়মটি ছিল বেশ দৃঢ় ও পরীক্ষিত। চলতি মৌসুমে সেই নিয়ম পাল্টাতে যেন ধনুক ভাঙ্গা পন করেছেন ফ্যালকাও। অগাছালো ছন্দে রিয়াল যখন বার্সার চেয়ে অনেক দূরে, তখন নিভৃতে ধারাবাহিক জয়ে আলোয় উঠে এসেছে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। লা লীগার লড়াইটা এখন যেন দুই ঘোড়ার নয়, ত্রিমূর্তির যুদ্ধও। লা লীগায় বার্সিলোনা শীর্ষে রয়েছে ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে। সেখানে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদদের পয়েন্টও তাই, ১৯। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় এ্যাটলেটিকো রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। অথচ সেখানে রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ ৭ ম্যাচে মাত্র ১১। অবস্থান পঞ্চম। স্প্যানিশ লীগে এমন চিত্র সে তো ফ্যালকাওয়ের কারণে। ধারাবাহিক গোল করে দলকে জিতিয়ে চলেছেন অবিরাম। শুধু কি তাই। তিনি আলোচিত, মেসি-রোনাল্ডোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গোল করার জন্যও। গত দুই মৌসুম গোল প্রতিযোগিতায় মেসি-রোনাল্ডো ছিলেন আলোচিত। এবার শুরতেই মেসি-রোনাল্ডোর নামের পাশে ফ্যালকাওয়ের নাম। কারণ একটাই, তিনজনের গোল আপাতত সমান, ৮। লীগে মৌসুমের প্রথম হ্যাটট্রিকও ফ্যালকাওয়ের। পরে করেছেন রোনাল্ডো। তবে লীগে এখনও হ্যাটট্রিকের মুখ দেখেননি লিওনেল মেসি। লীগে তিনজনের গোল সমান হলেও সব ধরনের প্রতিযোগিতায় রয়েছে ভিন্নতা। ১১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৪ গোল রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১২ গোল বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির। আর ফ্যালকাওয়ের গোল ১১টি, তবে মাত্র ৭টি ম্যাচে। মেসি-রোনাল্ডোদের চেয়ে চারটি ম্যাচ কম খেলেছেন কলম্বিয়ান এই টাইগার। শুধু ক্লাব ফুটবল নয় আলোচিত মেসির সঙ্গে সম্প্রতি লড়াইটা জাতীয় দলেও গিয়ে ঠেকেছে তার। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে মেসি যেমন আর্জেন্টিনার মূল ভরসা, ফ্যালকাও তেমন কলম্বিয়ার। লাতিন আমেরিকার বাছাই পর্বে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬টি গোল লিওনেল মেসির। সঙ্গে আছেন আরও দুজন, স্বদেশী গঞ্জালো হিগুয়াইন আর উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ। সেখানে ৫টি গোল করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রাদামেল ফ্যালকাও। কি ক্লাব, কি জাতীয় দল, সব জায়গাতেই যেন ফ্যালকাও দুরন্ত দুর্বার।
দেশ কলম্বিয়া হলেও পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ার আর্জেন্টিনার রিভারপ্লেট দিয়ে। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই যোগ দেন রিভার প্লেটের যুব প্রকল্পে। ১৯ বছর বয়সে অভিষেক মূল দলে (২০০৫ সালে)। প্রথম ম্যাচেই ফ্যালকাও করেছিলেন জোড়া গোল। প্রথম সাত ম্যাচে সাত গোল। তবে দুরন্ত উত্থান বাদ সাধে চোট। লিগামেন্ট সমস্যা ২০০৬ সালটা মাঠের বাইরে কাটাতে হয় তাকে। লম্বা বিরতির পর মাঠে ফেরা ফ্যালকাও ছিলেন কিছুটা ছন্দহীন। ২৫ ম্যাচে মাত্র ৩ গোল; হতাশাই বাড়াচ্ছিল তাকে। তবে ফিরতে জাত স্ট্রাইকার হিসাবে ফিরতে বেশি দেরি করেননি। ২০০৭ সালে কোপা সুদামেরিকানায় বোটাফোগোর বিরুদ্ধে করেন হ্যাটট্রিক। দক্ষিণ আমেরিকান বর্ষসেরা খেলোয়াড়দের তালিকায় এক লাফে উঠে আসেন পঞ্চমে। এর পরই থেকেই তাঁর ওপর চোখ পড়ে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর। মাত্র ৩.৯৩ মিলিয়ন পাউন্ডে যোগ দেন পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তো। ২০০৯ সালে তাঁকে দলে টানে ক্লাবটি। প্রথম মৌসুমেই বাজিমাত, ২৫ গোল নিয়ে হন পর্তুগিজ লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় করেন ৩৪ গোল। এর পর থেকেই শুরু হয় ফ্যালকাও অধ্যায়।
পোর্তোতে পূর্ণ দুই মৌসুম খেলেছিলেন ফ্যালকাও। ২০১১-১২ মৌসুমে খেলেছিলেন মাত্র দুটি ম্যাচ। সব মিলিয়ে পোর্তোতে ৮৭ ম্যাচে ৭১ গোল করেছিলেন ফ্যালকাও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পোর্তোকে লীগ ও ইউরোপা লীগ জেতানো। যাতে ফ্যালকাওয়ের অবদানই ছিল সবচেয়ে বেশি। ইউরোপা লীগে তাঁর ১৭ গোল যেকোনো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। তুমুল ফর্মে থাকা এমন স্ট্রাইকারকে বেশ চড়া দামে কিনে নেয় স্প্যানিশ ক্লাব এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২০১১ সালে। খরচ করতে হয়ে প্রায় ৪৭ মিলিয়ন ইউরো। অনেকেই বলে থাকেন এই চুক্তি ছিল একবিংশ শতাব্দীতে লা লীগার সেরা চুক্তি। অনেকেই সন্দিহান ছিলেন ফ্যালকাওকে নিয়ে। তবে নিজের প্রতিভা ক্রমশ তুলে ধরেন ধারাবাহিক নৈপুণ্যে। লীগ শিরোপা প্রথম মৌসুমে জেতাতে পারেননি। তবে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে দুই ক্লাবের হয়ে জেতেন ইউরোপা লীগ। চেলসির বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে এ্যাটলেটিকোকে জেতান উয়েফা সুপার কাপের শিরোপাও। বর্তমানে ফ্যালকাও চমক দেখা যাচ্ছে লা লীগায়। এ্যাটলেটিকোর হয়ে এ পর্যন্ত সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৫৭ ম্যাচে ৫৭ গোল করেছেন ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার। বক্সের মধ্যে ভয়ঙ্কর এক স্ট্রাইকার তিনি। ক্ষিপ্রগতি আর বাতাসে ভাসানো বলে দুর্দান্ত কারিকুরিতে জুড়ি নেই ফ্যালকাওয়ের। তারকা এই ফুটবলারকে নিয়ে গ্রেটদের প্রশংসাও চোখে পড়ার মতো। বার্সিলোনার সাবেক কোচ পেপ গার্ডিওয়ালার মতো, ‘খেলোয়াড় হিসেবে তার যেসব গুণ আছে, সেটা দলের হয়ে সে তা দেখিয়েছে’। লিওনেল মেসির মতে, ‘বড় মাপের খেলোয়াড় ফ্যালকাও। ওর সঙ্গে খেলতে পারলে খুশি হতাম’। এরই মধ্যে তাকে দলে টানতে ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো জোর তদ্বির শুরু করে দিয়েছে। আগামী মৌসুমে পিএসজি, ম্যানসিটি, চেলসির মতো দলগুলো তাকে পেতে টাকার বস্তা নিয়ে হাজির হবে, তা সহজেই অনুমেয়।
খ্যাতির ঢেউ এখন শুধু ইউরোপা লীগে নয়, আছড়ে পড়ছে পুরো ইউরোপেও। মেসি-রোনাল্ডোর আলোচিত দ্বৈরথ যখন চরমে, ফ্যালকাও তখন আপন মহিমায় ভাস্বর। দুর্দান্ত পারফরমেন্সে সবার দৃষ্টি তার দিকে নিতে বাধ্য করেছেন কলম্বিয়ান এই তারকা ফুটবলার। পোর্তোতে যখন ছিলেন, আলোচনা ছিল সামান্যই। তবে খ্যাতি-নাম-যশ বেড়েছে স্পেনে আসার পর। এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমানোর পর হয়ে গেছেন অঘোষিত মেসি-রোনাল্ডোর প্রতিদ্বন্দ্বী। বার্সা-রিয়ালের কাছে লা লীগায় অন্য দলগুলো নস্যিই, এতদিন নিয়মটি ছিল বেশ দৃঢ় ও পরীক্ষিত। চলতি মৌসুমে সেই নিয়ম পাল্টাতে যেন ধনুক ভাঙ্গা পন করেছেন ফ্যালকাও। অগাছালো ছন্দে রিয়াল যখন বার্সার চেয়ে অনেক দূরে, তখন নিভৃতে ধারাবাহিক জয়ে আলোয় উঠে এসেছে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। লা লীগার লড়াইটা এখন যেন দুই ঘোড়ার নয়, ত্রিমূর্তির যুদ্ধও। লা লীগায় বার্সিলোনা শীর্ষে রয়েছে ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে। সেখানে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদদের পয়েন্টও তাই, ১৯। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় এ্যাটলেটিকো রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। অথচ সেখানে রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ ৭ ম্যাচে মাত্র ১১। অবস্থান পঞ্চম। স্প্যানিশ লীগে এমন চিত্র সে তো ফ্যালকাওয়ের কারণে। ধারাবাহিক গোল করে দলকে জিতিয়ে চলেছেন অবিরাম। শুধু কি তাই। তিনি আলোচিত, মেসি-রোনাল্ডোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গোল করার জন্যও। গত দুই মৌসুম গোল প্রতিযোগিতায় মেসি-রোনাল্ডো ছিলেন আলোচিত। এবার শুরতেই মেসি-রোনাল্ডোর নামের পাশে ফ্যালকাওয়ের নাম। কারণ একটাই, তিনজনের গোল আপাতত সমান, ৮। লীগে মৌসুমের প্রথম হ্যাটট্রিকও ফ্যালকাওয়ের। পরে করেছেন রোনাল্ডো। তবে লীগে এখনও হ্যাটট্রিকের মুখ দেখেননি লিওনেল মেসি। লীগে তিনজনের গোল সমান হলেও সব ধরনের প্রতিযোগিতায় রয়েছে ভিন্নতা। ১১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৪ গোল রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১২ গোল বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির। আর ফ্যালকাওয়ের গোল ১১টি, তবে মাত্র ৭টি ম্যাচে। মেসি-রোনাল্ডোদের চেয়ে চারটি ম্যাচ কম খেলেছেন কলম্বিয়ান এই টাইগার। শুধু ক্লাব ফুটবল নয় আলোচিত মেসির সঙ্গে সম্প্রতি লড়াইটা জাতীয় দলেও গিয়ে ঠেকেছে তার। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে মেসি যেমন আর্জেন্টিনার মূল ভরসা, ফ্যালকাও তেমন কলম্বিয়ার। লাতিন আমেরিকার বাছাই পর্বে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬টি গোল লিওনেল মেসির। সঙ্গে আছেন আরও দুজন, স্বদেশী গঞ্জালো হিগুয়াইন আর উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ। সেখানে ৫টি গোল করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রাদামেল ফ্যালকাও। কি ক্লাব, কি জাতীয় দল, সব জায়গাতেই যেন ফ্যালকাও দুরন্ত দুর্বার।
দেশ কলম্বিয়া হলেও পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ার আর্জেন্টিনার রিভারপ্লেট দিয়ে। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই যোগ দেন রিভার প্লেটের যুব প্রকল্পে। ১৯ বছর বয়সে অভিষেক মূল দলে (২০০৫ সালে)। প্রথম ম্যাচেই ফ্যালকাও করেছিলেন জোড়া গোল। প্রথম সাত ম্যাচে সাত গোল। তবে দুরন্ত উত্থান বাদ সাধে চোট। লিগামেন্ট সমস্যা ২০০৬ সালটা মাঠের বাইরে কাটাতে হয় তাকে। লম্বা বিরতির পর মাঠে ফেরা ফ্যালকাও ছিলেন কিছুটা ছন্দহীন। ২৫ ম্যাচে মাত্র ৩ গোল; হতাশাই বাড়াচ্ছিল তাকে। তবে ফিরতে জাত স্ট্রাইকার হিসাবে ফিরতে বেশি দেরি করেননি। ২০০৭ সালে কোপা সুদামেরিকানায় বোটাফোগোর বিরুদ্ধে করেন হ্যাটট্রিক। দক্ষিণ আমেরিকান বর্ষসেরা খেলোয়াড়দের তালিকায় এক লাফে উঠে আসেন পঞ্চমে। এর পরই থেকেই তাঁর ওপর চোখ পড়ে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর। মাত্র ৩.৯৩ মিলিয়ন পাউন্ডে যোগ দেন পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তো। ২০০৯ সালে তাঁকে দলে টানে ক্লাবটি। প্রথম মৌসুমেই বাজিমাত, ২৫ গোল নিয়ে হন পর্তুগিজ লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় করেন ৩৪ গোল। এর পর থেকেই শুরু হয় ফ্যালকাও অধ্যায়।
পোর্তোতে পূর্ণ দুই মৌসুম খেলেছিলেন ফ্যালকাও। ২০১১-১২ মৌসুমে খেলেছিলেন মাত্র দুটি ম্যাচ। সব মিলিয়ে পোর্তোতে ৮৭ ম্যাচে ৭১ গোল করেছিলেন ফ্যালকাও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পোর্তোকে লীগ ও ইউরোপা লীগ জেতানো। যাতে ফ্যালকাওয়ের অবদানই ছিল সবচেয়ে বেশি। ইউরোপা লীগে তাঁর ১৭ গোল যেকোনো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। তুমুল ফর্মে থাকা এমন স্ট্রাইকারকে বেশ চড়া দামে কিনে নেয় স্প্যানিশ ক্লাব এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২০১১ সালে। খরচ করতে হয়ে প্রায় ৪৭ মিলিয়ন ইউরো। অনেকেই বলে থাকেন এই চুক্তি ছিল একবিংশ শতাব্দীতে লা লীগার সেরা চুক্তি। অনেকেই সন্দিহান ছিলেন ফ্যালকাওকে নিয়ে। তবে নিজের প্রতিভা ক্রমশ তুলে ধরেন ধারাবাহিক নৈপুণ্যে। লীগ শিরোপা প্রথম মৌসুমে জেতাতে পারেননি। তবে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে দুই ক্লাবের হয়ে জেতেন ইউরোপা লীগ। চেলসির বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে এ্যাটলেটিকোকে জেতান উয়েফা সুপার কাপের শিরোপাও। বর্তমানে ফ্যালকাও চমক দেখা যাচ্ছে লা লীগায়। এ্যাটলেটিকোর হয়ে এ পর্যন্ত সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৫৭ ম্যাচে ৫৭ গোল করেছেন ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার। বক্সের মধ্যে ভয়ঙ্কর এক স্ট্রাইকার তিনি। ক্ষিপ্রগতি আর বাতাসে ভাসানো বলে দুর্দান্ত কারিকুরিতে জুড়ি নেই ফ্যালকাওয়ের। তারকা এই ফুটবলারকে নিয়ে গ্রেটদের প্রশংসাও চোখে পড়ার মতো। বার্সিলোনার সাবেক কোচ পেপ গার্ডিওয়ালার মতো, ‘খেলোয়াড় হিসেবে তার যেসব গুণ আছে, সেটা দলের হয়ে সে তা দেখিয়েছে’। লিওনেল মেসির মতে, ‘বড় মাপের খেলোয়াড় ফ্যালকাও। ওর সঙ্গে খেলতে পারলে খুশি হতাম’। এরই মধ্যে তাকে দলে টানতে ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো জোর তদ্বির শুরু করে দিয়েছে। আগামী মৌসুমে পিএসজি, ম্যানসিটি, চেলসির মতো দলগুলো তাকে পেতে টাকার বস্তা নিয়ে হাজির হবে, তা সহজেই অনুমেয়।
No comments