স্পেন শেষ পর্যন্ত কী করবে
অর্থনৈতিক সঙ্কট কবলিত স্পেনকে সঙ্কট থেকে উদ্ধারের জন্য সাহায্যের উদ্যোগ নিয়েছিল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার জন্য স্পেনের সার্বভৌম বন্ড কেনার এক পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অকূল সাগরে পড়া মানুষ বাঁচার জন্য যেমন খড়কুটোকে অবলম্বন করে সেভাবে স্পেন সরকারেরও ঐ পরিকল্পনাটি লুফে নেয়ার কথা।
কিন্তু স্পেন তা নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজোয় নিতে দেননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়ত না নিয়ে উপায় থাকবে না।
রাজোয়ের বক্তব্য হলো, স্পেনের এই ঋণ সাহায্যের প্রয়োজন নাও হতে পারে। তিনি বলেন, সেটা নেয়ার আগে আমাদের দেখতে হবে এর আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা। ইউরোপীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি সাহায্য পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর বন্ডের সুদের হার গত নবেম্বরে রাজোয়ের মধ্য-ডান সংগঠন পিপলস পার্টি ক্ষমতায় আসার সময় যা ছিল তার নিচে নেমে আসে। কিন্তু সেটা তো আর সবসময় থাকবে না। স্পেনের অর্থনৈতিক সঙ্কট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ব্যাংকগুলো রুগ্নব্যক্তির মতো ধুঁকছে। মন্দা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশ। রাজোয় সরকার শ্রম আইন ও আরও কিছু কিছু বিষয়ের সংস্কার করেছে। সেগুলো শেষ পর্যন্ত হয়ত কাজে দেবে। কিন্তু ইত্যবসরে স্পেনের অবস্থা দাঁড়িয়েছে সেই মুমূর্ষু রোগীর মতো যার শরীরে জরুরী ভিত্তিতে রক্তসঞ্চালন দরকার।
রাজোয় সরকারের ঋণসাহায্য না নেয়ার আরেকটা কারণ আছে। স্পেনকে উদ্ধারের জন্য দেয়া এমন সাহায্য স্পেনীয়রা পছন্দ করবে না। তাদের কাছে ব্যাপারটা অবমাননাকর মনে হবে। এটা রাজোয় জানেন। জরিপে দেখা গেছে যে তার সরকার মাত্র ৬ মাসে এক-তৃতীয়াংশ জনসমর্থন হারিয়ে বসেছে। গ্রীস, আয়ারল্যান্ড ও পর্তুগালে সঙ্কট ত্রাণে সাহায্য নেয়া সরকারগুলোর খুব তাড়াতাড়ি পতন ঘটেছে। রাজোয়ের সরকারের পার্লামেন্টে ভাল সংখ্যাগরিষ্ঠা আছে। তাছাড়া সরকারের মেয়াদ আছে আরও ৪ বছর। তারপরও এই সরকার এমন ঋণ সাহায্য নিতে কেন রাজি নয় তা বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়।
তৃতীয়ত রাজোয়ের বক্তব্য হলো, স্পেনকে কি করতে হবে না হবে তা অন্যের বলে দেয়ার দরকার নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তাঁর সরকার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারবে যা গত বছর জিডিপির ৮.৯ শতাংশে পৌঁছেছিল। বলা বাহুল্য স্পেনীয়রা গত কয়েক বছর ধরে সরকারের ব্যয় সঙ্কোচের কার্যক্রম দেখে এসেছে অর্থের হিসাবে যার পরিমাণ ১১৬০০ কোটি ডলার। রাজোয় নিজেও ব্যয় সংকোচ নীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাজেট ঘাটতির টার্গেট দিয়েছে ৪.৫ শতাংশ। সেই টার্গেট পূরণের জন্য তার সরকারকে অন্তত ২ হাজার কোটি ইউরোর বাড়তি সঞ্চয় ও রাজস্ব খুঁজে বের করতে হবে।
রাজোয় ইতোমধ্যে যতদূর পারা যায় ব্যয় কমিয়েছেন ও ট্যাক্স বাড়িয়েছেন। সেদিক থেকে তার আর কিছু করার নেই। বরং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে অবসর ভাতার গায়ে হাত দেবেন না যদিও সেটা আটকে দেয়া হতে পারে। এতে অবসরভোগীরা সমস্যায় পড়বেন। পরিবেশ রক্ষা কর ও মূলধন আয়ের ওপর করও আসার পথে আছে। তারপরও স্পেন সঙ্কট উত্তরণের জন্য ঋণ নিতে বাধ্য হবে। বিরোধীদের অভিযোগ আছে যে, ২১ অক্টোবর গ্যালিসিয়ার ভোট না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী রাজোয় তা বিলম্বিত রাখতে চাইছেন। হয়ত তার আগেও সেটা আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
চলমান ডেস্ক
রাজোয়ের বক্তব্য হলো, স্পেনের এই ঋণ সাহায্যের প্রয়োজন নাও হতে পারে। তিনি বলেন, সেটা নেয়ার আগে আমাদের দেখতে হবে এর আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা। ইউরোপীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি সাহায্য পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর বন্ডের সুদের হার গত নবেম্বরে রাজোয়ের মধ্য-ডান সংগঠন পিপলস পার্টি ক্ষমতায় আসার সময় যা ছিল তার নিচে নেমে আসে। কিন্তু সেটা তো আর সবসময় থাকবে না। স্পেনের অর্থনৈতিক সঙ্কট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ব্যাংকগুলো রুগ্নব্যক্তির মতো ধুঁকছে। মন্দা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশ। রাজোয় সরকার শ্রম আইন ও আরও কিছু কিছু বিষয়ের সংস্কার করেছে। সেগুলো শেষ পর্যন্ত হয়ত কাজে দেবে। কিন্তু ইত্যবসরে স্পেনের অবস্থা দাঁড়িয়েছে সেই মুমূর্ষু রোগীর মতো যার শরীরে জরুরী ভিত্তিতে রক্তসঞ্চালন দরকার।
রাজোয় সরকারের ঋণসাহায্য না নেয়ার আরেকটা কারণ আছে। স্পেনকে উদ্ধারের জন্য দেয়া এমন সাহায্য স্পেনীয়রা পছন্দ করবে না। তাদের কাছে ব্যাপারটা অবমাননাকর মনে হবে। এটা রাজোয় জানেন। জরিপে দেখা গেছে যে তার সরকার মাত্র ৬ মাসে এক-তৃতীয়াংশ জনসমর্থন হারিয়ে বসেছে। গ্রীস, আয়ারল্যান্ড ও পর্তুগালে সঙ্কট ত্রাণে সাহায্য নেয়া সরকারগুলোর খুব তাড়াতাড়ি পতন ঘটেছে। রাজোয়ের সরকারের পার্লামেন্টে ভাল সংখ্যাগরিষ্ঠা আছে। তাছাড়া সরকারের মেয়াদ আছে আরও ৪ বছর। তারপরও এই সরকার এমন ঋণ সাহায্য নিতে কেন রাজি নয় তা বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়।
তৃতীয়ত রাজোয়ের বক্তব্য হলো, স্পেনকে কি করতে হবে না হবে তা অন্যের বলে দেয়ার দরকার নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তাঁর সরকার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারবে যা গত বছর জিডিপির ৮.৯ শতাংশে পৌঁছেছিল। বলা বাহুল্য স্পেনীয়রা গত কয়েক বছর ধরে সরকারের ব্যয় সঙ্কোচের কার্যক্রম দেখে এসেছে অর্থের হিসাবে যার পরিমাণ ১১৬০০ কোটি ডলার। রাজোয় নিজেও ব্যয় সংকোচ নীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাজেট ঘাটতির টার্গেট দিয়েছে ৪.৫ শতাংশ। সেই টার্গেট পূরণের জন্য তার সরকারকে অন্তত ২ হাজার কোটি ইউরোর বাড়তি সঞ্চয় ও রাজস্ব খুঁজে বের করতে হবে।
রাজোয় ইতোমধ্যে যতদূর পারা যায় ব্যয় কমিয়েছেন ও ট্যাক্স বাড়িয়েছেন। সেদিক থেকে তার আর কিছু করার নেই। বরং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে অবসর ভাতার গায়ে হাত দেবেন না যদিও সেটা আটকে দেয়া হতে পারে। এতে অবসরভোগীরা সমস্যায় পড়বেন। পরিবেশ রক্ষা কর ও মূলধন আয়ের ওপর করও আসার পথে আছে। তারপরও স্পেন সঙ্কট উত্তরণের জন্য ঋণ নিতে বাধ্য হবে। বিরোধীদের অভিযোগ আছে যে, ২১ অক্টোবর গ্যালিসিয়ার ভোট না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী রাজোয় তা বিলম্বিত রাখতে চাইছেন। হয়ত তার আগেও সেটা আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
চলমান ডেস্ক
No comments