টাকা জাল বন্ধ হবে কবে?
জাল টাকা দেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট হুমকি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে এই জালিয়াত চক্র বর্তমানে ব্যাপকহারে তাদের জাল বিস্তার করেছে। অত্যন্ত নিপুণতার সঙ্গে তারা টাকা জাল করে বাজারে ছাড়ছে। দেখতে হুবহু আসলের মতো।
কিন্তু পুরোটাই নকল। প্রকাশিত খবরে জানা যায়, সারাদেশে অন্তত বিশটি অত্যাধুনিক নকল টাকা তৈরির কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই প্রায় পনেরোটি। ঈদকে সামনে রেখে এই জালিয়াত চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজধানীতে আরও দুটি জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। আটক করা হয়েছে তিন নারী জাল টাকার ব্যবসায়ীসহ ১০ জনকে। উদ্ধার হয়েছে ১০ কোটি জাল টাকা।
জানা যায়, টাকা জাল করার প্রতিটি কারখানায় ঘণ্টায় প্রায় দু’লাখ টাকার জাল নোট তৈরি হয়। ব্যাপকহারে এসব নোট বাজারে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব অপরাধীর অনেককে পাকড়াও করা হলেও তারা আবার জামিনে বেরিয়ে এসে একই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। আইনের ফাঁক থাকায় এই ঘৃণ্য অপরাধীরা সহজেই পার পেয়ে যায়। এদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও সাক্ষীর অভাবে তা অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণ করা দুরূহ হয়ে পড়ে। আর এভাবেই জালিয়াত চক্র সহজেই বড় ধরনের অপরাধ করেও পার পেয়ে যায়। সারাদেশে জাল টাকাসংক্রান্ত পাঁচ হাজার ২১৯টি মামলা দীর্ঘদিন ঝুলে আছে। মামলা জটের কারণে অপরাধীরা জামিনে বেরিয়ে গিয়ে আবার পূর্বতন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
জাল নোটের অবারিত বিস্তারে আসল টাকার মূল্য কমে যায়। মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয় এবং মুদ্রার ওপর আস্থা নষ্ট হয়। ফলে অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে দেশের কাগুজে মুদ্রার নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও ভাবতে হবে। জাল টাকা তৈরি ও বিপণন ফৌজদারি অপরাধ। এতে জড়িতদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু আইনের ফাঁক গলে অপরাধী চক্র ঠিকই অপরাধ করে যাচ্ছে। এসব অপরাধীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রের যোগাযোগ থাকার তথ্যও রয়েছে। জানা যায়, কিছু জঙ্গী সংগঠনের ব্যয় নির্বাহ হয় এই জাল টাকা দিয়ে। আসন্ন কোরবানির ঈদে পশু কেনাবেচায় জাল টাকা ব্যবহারের আশঙ্কা ছিল। ১০ কোটি টাকাসহ জালিয়াত চক্রের কয়েকজন ধরা পড়ায় সেটি নসাৎ হয়ে গেল। এদের বাইরেও যে জালিয়াত চক্র সক্রিয় রয়েছে সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। এ অবস্থায় জাল নোটের প্রবাহ ব্যাপকহারে বাড়লে দেশে প্রচলিত নোট প্রত্যাহার করে নতুন নোট চালু করা প্রয়োজন হতে পারে। দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাংকিং-এর যাবতীয় কর্মকা- ডিজিটালাইজড করা প্রয়োজন। ব্যাংক ব্যবস্থায় জাল নোট শনাক্তকারী মেশিনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। এসব উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সাধারণ মানুষের পক্ষে মেশিনে আসল নকল বোঝার সুযোগ নেই। এই মেশিন ছাড়াও কি দেখে নকল টাকা চেনা যাবে সে বিষয়ে আরও ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। যারা ধরা পড়েছে তাদের অপরাধ অনুযারী সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে জাল টাকার বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
জানা যায়, টাকা জাল করার প্রতিটি কারখানায় ঘণ্টায় প্রায় দু’লাখ টাকার জাল নোট তৈরি হয়। ব্যাপকহারে এসব নোট বাজারে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব অপরাধীর অনেককে পাকড়াও করা হলেও তারা আবার জামিনে বেরিয়ে এসে একই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। আইনের ফাঁক থাকায় এই ঘৃণ্য অপরাধীরা সহজেই পার পেয়ে যায়। এদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও সাক্ষীর অভাবে তা অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণ করা দুরূহ হয়ে পড়ে। আর এভাবেই জালিয়াত চক্র সহজেই বড় ধরনের অপরাধ করেও পার পেয়ে যায়। সারাদেশে জাল টাকাসংক্রান্ত পাঁচ হাজার ২১৯টি মামলা দীর্ঘদিন ঝুলে আছে। মামলা জটের কারণে অপরাধীরা জামিনে বেরিয়ে গিয়ে আবার পূর্বতন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
জাল নোটের অবারিত বিস্তারে আসল টাকার মূল্য কমে যায়। মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয় এবং মুদ্রার ওপর আস্থা নষ্ট হয়। ফলে অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে দেশের কাগুজে মুদ্রার নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও ভাবতে হবে। জাল টাকা তৈরি ও বিপণন ফৌজদারি অপরাধ। এতে জড়িতদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু আইনের ফাঁক গলে অপরাধী চক্র ঠিকই অপরাধ করে যাচ্ছে। এসব অপরাধীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রের যোগাযোগ থাকার তথ্যও রয়েছে। জানা যায়, কিছু জঙ্গী সংগঠনের ব্যয় নির্বাহ হয় এই জাল টাকা দিয়ে। আসন্ন কোরবানির ঈদে পশু কেনাবেচায় জাল টাকা ব্যবহারের আশঙ্কা ছিল। ১০ কোটি টাকাসহ জালিয়াত চক্রের কয়েকজন ধরা পড়ায় সেটি নসাৎ হয়ে গেল। এদের বাইরেও যে জালিয়াত চক্র সক্রিয় রয়েছে সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। এ অবস্থায় জাল নোটের প্রবাহ ব্যাপকহারে বাড়লে দেশে প্রচলিত নোট প্রত্যাহার করে নতুন নোট চালু করা প্রয়োজন হতে পারে। দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাংকিং-এর যাবতীয় কর্মকা- ডিজিটালাইজড করা প্রয়োজন। ব্যাংক ব্যবস্থায় জাল নোট শনাক্তকারী মেশিনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। এসব উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সাধারণ মানুষের পক্ষে মেশিনে আসল নকল বোঝার সুযোগ নেই। এই মেশিন ছাড়াও কি দেখে নকল টাকা চেনা যাবে সে বিষয়ে আরও ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। যারা ধরা পড়েছে তাদের অপরাধ অনুযারী সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে জাল টাকার বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
No comments