বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-মার খাওয়া ৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ৯ নেতা-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই ছাত্রী। গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিদ্ধান্তের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
বর্ধিত ফি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ ওই ৯ ছাত্রছাত্রীর ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। সংগঠনের নেতারা বহিষ্কারাদেশের সিদ্ধান্তকে বেআইনি উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের এমএস পর্বের ছাত্র অজিত কুমার দাশ (বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রফ্রন্টের সহসভাপতি), গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এ এইচ এম রফিকুজ্জামান আকন্দ ফরিদ (সাংগঠনিক সম্পাদক), পশুপালন অনুষদের শেষ বর্ষের ছাত্র বিপ্লব চৌধুরী (সহসম্পাদক), কৃষি অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী জিনিয়া হোসাইন এ্যানি (অর্থ সম্পাদক), কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজমুল কায়সার শুভ (পর্যবেক্ষক সদস্য), পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নাসিমা আক্তার (পর্যবেক্ষক সদস্য), মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রয়া ত্রিপুরা (সদস্য), স্বপ্না রানী বিশ্বাস (পর্যবেক্ষক সদস্য) ও জাকিয়া সুলতানা (সদস্য)।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এম এ সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে গত ৯ অক্টোবর প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও এবং বহিরাগতদের নিয়ে সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন করায় তাঁদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি ও শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দোষীদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কিশোর আহমেদ বলেন, 'প্রশাসনের ওই বহিষ্কার আদেশ অযৌক্তিক ও অনৈতিক। এর মাধ্যমে আমাদের চলমান আন্দোলনকে বাধা দেওয়া হচ্ছে।' তিনি বলেন, 'প্রক্টর নিজে প্রকাশ্যে ওই দিন আমাদের আন্দোলনকারীদের লাঞ্ছিত করেছেন।'
ওই দিনের ঘটনা : বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা গত ৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ কয়েকজন শিক্ষক তাঁদের বাধা দেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রফ্রন্টকর্মীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালায়। এ সময় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। হামলায় প্রক্টরকেও অংশ নিতে দেখা যায়।
প্রক্টরের ঘুষি : ওই দিনের ঘটনার ভিডিওচিত্র কালের কণ্ঠের হস্তগত হয়েছে। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, প্রক্টর ড. সালাম ছাত্রফ্রন্টের একজন কর্মীকে ঘুষি মারেন। তবে ওই ছাত্রী শেষ মুহূর্তে সরে যাওয়ায় ঘুষিটি লাগেনি। প্রক্টর আবারও তাঁকে ঘুষি মারার চেষ্টা করেন। পরে একজন দুজনের মাঝখানে এসে দাঁড়ান। আন্দোলনকারীদের বিশেষ করে একজন ছাত্রীর ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি কাউকে আঘাত করিনি। বরং মারামারি ঠেকাতে ভূমিকা রেখেছি।'
ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তখনই শোনা যাচ্ছিল, এ কমিটির মতামত অনুযায়ী ছাত্রফ্রন্টের বিরুদ্ধে যেকোনো সময় কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সেই আশঙ্কাই সত্য হলো।
ওই দিনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ১১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গত ১৩ অক্টোবর ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরের দিন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে।
বর্ধিত ফি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ ওই ৯ ছাত্রছাত্রীর ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। সংগঠনের নেতারা বহিষ্কারাদেশের সিদ্ধান্তকে বেআইনি উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের এমএস পর্বের ছাত্র অজিত কুমার দাশ (বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রফ্রন্টের সহসভাপতি), গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এ এইচ এম রফিকুজ্জামান আকন্দ ফরিদ (সাংগঠনিক সম্পাদক), পশুপালন অনুষদের শেষ বর্ষের ছাত্র বিপ্লব চৌধুরী (সহসম্পাদক), কৃষি অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী জিনিয়া হোসাইন এ্যানি (অর্থ সম্পাদক), কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজমুল কায়সার শুভ (পর্যবেক্ষক সদস্য), পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নাসিমা আক্তার (পর্যবেক্ষক সদস্য), মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রয়া ত্রিপুরা (সদস্য), স্বপ্না রানী বিশ্বাস (পর্যবেক্ষক সদস্য) ও জাকিয়া সুলতানা (সদস্য)।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এম এ সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে গত ৯ অক্টোবর প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও এবং বহিরাগতদের নিয়ে সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন করায় তাঁদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি ও শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দোষীদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কিশোর আহমেদ বলেন, 'প্রশাসনের ওই বহিষ্কার আদেশ অযৌক্তিক ও অনৈতিক। এর মাধ্যমে আমাদের চলমান আন্দোলনকে বাধা দেওয়া হচ্ছে।' তিনি বলেন, 'প্রক্টর নিজে প্রকাশ্যে ওই দিন আমাদের আন্দোলনকারীদের লাঞ্ছিত করেছেন।'
ওই দিনের ঘটনা : বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা গত ৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ কয়েকজন শিক্ষক তাঁদের বাধা দেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রফ্রন্টকর্মীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালায়। এ সময় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। হামলায় প্রক্টরকেও অংশ নিতে দেখা যায়।
প্রক্টরের ঘুষি : ওই দিনের ঘটনার ভিডিওচিত্র কালের কণ্ঠের হস্তগত হয়েছে। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, প্রক্টর ড. সালাম ছাত্রফ্রন্টের একজন কর্মীকে ঘুষি মারেন। তবে ওই ছাত্রী শেষ মুহূর্তে সরে যাওয়ায় ঘুষিটি লাগেনি। প্রক্টর আবারও তাঁকে ঘুষি মারার চেষ্টা করেন। পরে একজন দুজনের মাঝখানে এসে দাঁড়ান। আন্দোলনকারীদের বিশেষ করে একজন ছাত্রীর ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি কাউকে আঘাত করিনি। বরং মারামারি ঠেকাতে ভূমিকা রেখেছি।'
ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তখনই শোনা যাচ্ছিল, এ কমিটির মতামত অনুযায়ী ছাত্রফ্রন্টের বিরুদ্ধে যেকোনো সময় কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সেই আশঙ্কাই সত্য হলো।
ওই দিনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ১১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গত ১৩ অক্টোবর ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরের দিন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে।
No comments