আমেরিকার নির্বাচন- প্রবাসীর দৃষ্টিতে by তাসবির বিনতে ওয়াসীম
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভার ইউনিভার্সিটিতে শুরু হওয়া প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে মুখোমুখি হন বারাক ওবামা-মিট রমনি। এই দিনটি ছিল ওবামা দম্পতির জন্য বিশেষ একটি দিন।
ওবামা বিতর্কের শুরুতেই বলেন, ‘আজ আমি অনেক জরুরি কথাই বলব। তবে একটি জরুরি কথা আগে বলে নিচ্ছি, আজ থেকে বিশ বছর আগে এই দিনে পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মানুষটি হই আমি। কারণ মিশেল সেদিন আমাকে বিয়ে করতে সম্মত হয়।’ দুঃখজনক হলেও সত্য, ২০তম বিবাহবার্ষিকী ওমাবাকে পালন করতে হলো রমনির সঙ্গে ইলেকশনের বিতর্কের মঞ্চে দাঁড়িয়ে, যেখানে পুরো সময়টায় ওবামার ওপর দিয়ে ১০০ কি. মি. বেগে ঝড় বয়ে গেল যেন। তবে এমন বারটি প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের সফল সঞ্চালক জিম লেহরারের সঞ্চালনায় বিতর্ক অনুষ্ঠানটিতে কর, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, বেকারত্ব, সরকারের নানা ক্ষেত্রে ভূমিকা ইত্যাদি বিষয় মঞ্চে বেশ কাঁপন তোলে। ৯০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা এই বাগযুদ্ধে নিজেদের অবস্থান ও প্রতিপক্ষের সমালোচনার মাধ্যমে জয় নিশ্চিত করতে দুই প্রার্থীই ছিলেন বেশ সতর্ক। যদিও জনগণ ও বিশ্লেষকদের মতামতে রমনির জয় হয়েছে এই প্রথম বিতর্কে। ৯০ মিনিট তো সেদিন শেষ হয়েছে, কিন্তু কফি হাউসে, রেস্টুরেন্টে, রাস্তাঘাটে এখনও চলছে প্রবল বিতর্ক।
এই বিতর্কের পর ডেমোক্রেটিক সমর্থকরা বেশ আশাহত অবস্থায় আছে। তাদের মতে এই হারের কিছু কারণ হচ্ছে, ওবামা পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত হয়ে আসেননি। দেশের কাজ, নির্বাচনী প্রচারণা, সিরিয়ার যুদ্ধসহ নানা বিষয় নিয়ে তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। ওবামা বেশ অমায়িক, ভদ্র ও নমনীয় ছিলেন পুরো সময়টা। মিট রমনিকে তিনি বেশি দুর্বল প্রতিপক্ষ ভেবে বসেছিলেন। যেমন কিছু বিষয় নিয়ে খুব সহজেই রমনিকে কোণঠাসা করা যেত, কিন্তু ওবামা তা করেননি। যার কারণ এখনও কেউ বুঝতে পারছেন না। অপরদিকে রমনি কিছুতেই ছেড়ে কথা বলেননি, বরং পুরো সময়টা ওবামাকে বেশ কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছিলেন বলা যায়।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকশনের অতীত ইতিহাস যদিও বলে, এই প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক জয় পরাজয়ে কোন পরিবর্তন আনে না। ২০০০ সালের ইলেকশনে জর্জ বুশ এই বিতর্কে হেরে যান প্রতিপক্ষ আল গোরের কাছে। অথচ মূল ইলেকশনে বুশ ভালভাবেই জয় লাভ করেন। এখানকার বেশিরভাগ বাংলাদেশী যদিও মনে করেনÑএখনও প্রায় এক মাস বাকি। একটি ছোট ঘটনাও পুরো ইলেকশনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এখনও আরও ২টি বিতর্ক বাকি। নিজের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ আছে এখনও। ওবামা যে পরের ২টি বিতর্ক অনুষ্ঠানে ছেড়ে কথা বলবেন না তা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। রাজনীতিতে সুযোগ হাতছাড়া করার সুযোগ নেই।
এখানে ‘অক্টোবর সারপ্রাইজ’ বলে একটা কথা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকশন যেহেতু নবেম্বরে হয়, সুতরাং অক্টোবর হচ্ছে তার আগে শেষ মাস। এই প্রচারণার শেষ মাসে এসে দলগুলো তাদের শেষ গুটিটি চালে। যা প্রতিপক্ষকে দুর্বল করে ফেলতে পারে নিমিষে এবং জনগণের মতামত ও সমর্থনও তাতে বদলে যেতে পারে। ২০০৮ সালের ইলেকশনে ওবামা এই পথ পাড়ি দিয়েছিলেন খুব সতর্কতা ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। এবার রমনির পালা। দেখা যাক এবারের অক্টোবর চমক কি! মিট রমনির সমর্থক এক বৃদ্ধা ঘোষণা দিয়েছেন তিনি ও তার পুরো পরিবার একদিন উপোস থাকবে এবং সেই দিনটি শুধু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে কাটাবে যাতে মিট রমনির জয় হয়।
এই বিতর্কের পর ডেমোক্রেটিক সমর্থকরা বেশ আশাহত অবস্থায় আছে। তাদের মতে এই হারের কিছু কারণ হচ্ছে, ওবামা পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত হয়ে আসেননি। দেশের কাজ, নির্বাচনী প্রচারণা, সিরিয়ার যুদ্ধসহ নানা বিষয় নিয়ে তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। ওবামা বেশ অমায়িক, ভদ্র ও নমনীয় ছিলেন পুরো সময়টা। মিট রমনিকে তিনি বেশি দুর্বল প্রতিপক্ষ ভেবে বসেছিলেন। যেমন কিছু বিষয় নিয়ে খুব সহজেই রমনিকে কোণঠাসা করা যেত, কিন্তু ওবামা তা করেননি। যার কারণ এখনও কেউ বুঝতে পারছেন না। অপরদিকে রমনি কিছুতেই ছেড়ে কথা বলেননি, বরং পুরো সময়টা ওবামাকে বেশ কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছিলেন বলা যায়।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকশনের অতীত ইতিহাস যদিও বলে, এই প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক জয় পরাজয়ে কোন পরিবর্তন আনে না। ২০০০ সালের ইলেকশনে জর্জ বুশ এই বিতর্কে হেরে যান প্রতিপক্ষ আল গোরের কাছে। অথচ মূল ইলেকশনে বুশ ভালভাবেই জয় লাভ করেন। এখানকার বেশিরভাগ বাংলাদেশী যদিও মনে করেনÑএখনও প্রায় এক মাস বাকি। একটি ছোট ঘটনাও পুরো ইলেকশনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এখনও আরও ২টি বিতর্ক বাকি। নিজের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ আছে এখনও। ওবামা যে পরের ২টি বিতর্ক অনুষ্ঠানে ছেড়ে কথা বলবেন না তা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। রাজনীতিতে সুযোগ হাতছাড়া করার সুযোগ নেই।
এখানে ‘অক্টোবর সারপ্রাইজ’ বলে একটা কথা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকশন যেহেতু নবেম্বরে হয়, সুতরাং অক্টোবর হচ্ছে তার আগে শেষ মাস। এই প্রচারণার শেষ মাসে এসে দলগুলো তাদের শেষ গুটিটি চালে। যা প্রতিপক্ষকে দুর্বল করে ফেলতে পারে নিমিষে এবং জনগণের মতামত ও সমর্থনও তাতে বদলে যেতে পারে। ২০০৮ সালের ইলেকশনে ওবামা এই পথ পাড়ি দিয়েছিলেন খুব সতর্কতা ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। এবার রমনির পালা। দেখা যাক এবারের অক্টোবর চমক কি! মিট রমনির সমর্থক এক বৃদ্ধা ঘোষণা দিয়েছেন তিনি ও তার পুরো পরিবার একদিন উপোস থাকবে এবং সেই দিনটি শুধু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে কাটাবে যাতে মিট রমনির জয় হয়।
No comments