হেগের আদালতে কারাদজিচ-আমাকে পুরস্কৃত করা উচিত
বলকানের কসাই হিসেবে পরিচিত সাবেক সার্ব নেতা রাদোভান কারাদজিচ নিজেকে 'নম্র ও সহনশীল স্বভাবের মানুষ' বলে দাবি করেছেন। যুদ্ধ 'ঠেকানোর' চেষ্টার জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করা উচিত বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
নেদারল্যান্ডসের হেগে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় গতকাল মঙ্গলবার তিনি এ দাবি করেন। কারাদজিচের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের ১০টি অভিযোগ রয়েছে।
১৯৯০-এর দশকে বসনীয় যুদ্ধের সময় জাতিগত হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে কারাদজিচের (৬৭) বিরুদ্ধে। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত চলমান যুদ্ধে এক লাখেরও বেশি লোক মারা যায় এবং কয়েক লাখ লোক আশ্রয়হীন হয়। প্রায় ১৩ বছর পালিয়ে বেড়ানোর পর ২০০৮ সালে সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড থেকে কারাদজিচকে গ্রেপ্তার করা হয়। বসনিয়ার পূর্বাঞ্চলে স্রেবরেনিচায় প্রায় আট হাজার মুসলিমকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে ২০০৯ সালের অক্টোবরে যুগোস্লাভ যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আদালতে তাঁর বিচার শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে পাশবিক গণহত্যা বিবেচনা করা হয় ওই ঘটনাকে। দোষী সাব্যস্ত হলে কারাদজিচের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভোয় ৪৪ মাসের সার্ব অবরোধের সময় অন্তত ১০ হাজার ০০০ মুসলিম নিহত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের জন্যও কারাদজিচকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদালতে গতকাল আত্মপক্ষ সমর্থনকালে কারাদজিচ দাবি করেন, বসনিয়ার গৃহযুদ্ধ প্রতিহত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা তিনি করেছেন এবং বসনিয়ায় গণহত্যা ঘটতে পারে_এমনটা কেউ চিন্তাই করেনি। কারাদজিচ বলেন, 'যুদ্ধ প্রতিহত করতে এবং মানুষের দুর্দশা লাঘবে মানুষ হিসেবে সর্বোচ্চ চেষ্টাই আমি করেছি। এই ভালো কাজগুলোর জন্য আমাকে পুরস্কৃত করা উচিত। যাঁরা সার্ব নন তাঁদের ওপর যে গণহত্যা চালানো হতে পারে, আমি বা অন্য কেউই তা ভাবেনি।'
এদিকে স্রেবরেনিচায় গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, কারাদজিচ বিশ্বকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। স্রেবরেনিচায় নিহতদের মায়েদের সংগঠন মাদারস অব স্রেবরেনিচার সদস্য কাদা হোতিক বলেন, 'কারাদজিচ এমন এক অপরাধ করেছেন যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানোও কঠিন হবে। তাঁর কারণেই আমরা কখনোই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারব না। তিনি বিশ্বকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন।' সূত্র : এএফপি।
১৯৯০-এর দশকে বসনীয় যুদ্ধের সময় জাতিগত হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে কারাদজিচের (৬৭) বিরুদ্ধে। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত চলমান যুদ্ধে এক লাখেরও বেশি লোক মারা যায় এবং কয়েক লাখ লোক আশ্রয়হীন হয়। প্রায় ১৩ বছর পালিয়ে বেড়ানোর পর ২০০৮ সালে সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড থেকে কারাদজিচকে গ্রেপ্তার করা হয়। বসনিয়ার পূর্বাঞ্চলে স্রেবরেনিচায় প্রায় আট হাজার মুসলিমকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে ২০০৯ সালের অক্টোবরে যুগোস্লাভ যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আদালতে তাঁর বিচার শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে পাশবিক গণহত্যা বিবেচনা করা হয় ওই ঘটনাকে। দোষী সাব্যস্ত হলে কারাদজিচের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভোয় ৪৪ মাসের সার্ব অবরোধের সময় অন্তত ১০ হাজার ০০০ মুসলিম নিহত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের জন্যও কারাদজিচকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদালতে গতকাল আত্মপক্ষ সমর্থনকালে কারাদজিচ দাবি করেন, বসনিয়ার গৃহযুদ্ধ প্রতিহত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা তিনি করেছেন এবং বসনিয়ায় গণহত্যা ঘটতে পারে_এমনটা কেউ চিন্তাই করেনি। কারাদজিচ বলেন, 'যুদ্ধ প্রতিহত করতে এবং মানুষের দুর্দশা লাঘবে মানুষ হিসেবে সর্বোচ্চ চেষ্টাই আমি করেছি। এই ভালো কাজগুলোর জন্য আমাকে পুরস্কৃত করা উচিত। যাঁরা সার্ব নন তাঁদের ওপর যে গণহত্যা চালানো হতে পারে, আমি বা অন্য কেউই তা ভাবেনি।'
এদিকে স্রেবরেনিচায় গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, কারাদজিচ বিশ্বকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। স্রেবরেনিচায় নিহতদের মায়েদের সংগঠন মাদারস অব স্রেবরেনিচার সদস্য কাদা হোতিক বলেন, 'কারাদজিচ এমন এক অপরাধ করেছেন যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানোও কঠিন হবে। তাঁর কারণেই আমরা কখনোই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারব না। তিনি বিশ্বকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন।' সূত্র : এএফপি।
No comments