স্বদেশে কেমন থাকেন বাঙালীরা? by সুলতানা আজীম

যে দেশের শুকিয়ে যাওয়া, অসুস্থ করে রাখা নদী পুকুর খাল বিলে এখনও জন্মে বিভিন্ন ধরনের মাছ। যে দেশে অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি আগুনঝরা গরমেও ফলে অনেক রকম সব্জি, যে দেশে নিজেদের পরিচয় দিতে কেউ কেউ বলেন প্রচলিত একটি বাক্য, ‘আমরা মাছে ভাতে বাঙালী’ সে দেশের মানুষেরা, ‘বিরিয়ানী, রেজালা, চাপ, রোস্ট, তেহারী, ভুনা মাংস কোরমা এবং এ ধরনের খাবারকে বলেন ‘রিচ ফুড’।


প্রায় নিয়মিত এসব খাবার খেতে যান তারা, ‘স্টার কাবাব’সহ অনেক রেস্টুরেন্টে। খুব আনন্দিত হয়ে ‘রিচ ফুড’ খেতে যান বিয়ের অনুষ্ঠানে। ছোট্ট বয়স থেকে অভ্যস্ত হয়ে যায় এদেশের শিশুরা, এ রকম খাবারে। পছন্দও করে খুব। সব্জি মাছ, শাক ‘রিচ ফুড’ না হয়ে, এসব খাবার রিচ ফুড হয় কিভাবে, বুঝতে পারি না। মাছ শাক-সব্জি সালাদ নিয়মিত খেলেও কি ক্ষতি হয় শরীরের?
স্টার কাবাবসহ এই ধরনের যত রেস্টুরেন্ট রয়েছে, এরা কোন পরিবেশে, কিভাবে খাবারগুলো তৈরি করেন জানি না। কিন্তু ভেজা গ্লাস প্লেট দেন টেবিলগুলোতে। টেবিলের ময়লা পরিষ্কার করে দিতে বললে, কর্মচারীদের কাঁধে রাখা যথেষ্ট ময়লা তোয়ালে দিয়ে মুছে দেন টেবিল। ভয়ানক অপরিছন্ন ভেজা নষ্ট (ডিফেক্ট) টয়লেট যদি থাকেও রেস্টুরেন্টগুলোতে, ঢুকতে পারবেন না রুচিশীল কোন মানুষ, দুর্গন্ধে। খাবার আগে পরে হাত ধোবার যে জায়গা, তা দেখলে হারিয়ে যাবে খাওয়ার আগ্রহ। পরিচ্ছন্নতাপ্রিয় যে কোন কাস্টমারের। প্রতিবাদ করেন না কেউ এসবের। বেঝেনও না, লক্ষও করেন না। প্রতিবাদ করবেন কেন তাহলে? লক্ষ্য করলেও, অসুন্দর অরুচিকর মনে করেন না হয়তো। মনে করেন, এটাই স্বাভাবিক। নিয়ম এটাই। দু’একজন যদি মৃদু প্রতিবাদ করেনও, কি যায় আসে মালিকের? অগণিত কাস্টমারতো খেয়ে, বিল পে করে চলে যাচ্ছেন, কিছু না বলে। যে কোন অন্যায় অব্যবস্থা বদলাতে চাইলে, তার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে ধারাবাহিক প্রতিবাদ এবং তার ফলোআপ থাকা জরুরী। প্রতিবাদ ততোদিন পর্যন্ত, যতদিন না প্রতিকার হয়। নাহলে, অর্থহীন হয়ে যায় যে কোন প্রতিবাদ। মূল্য হারায়। স্থায়ী হয়ে যায় অন্যায় অপব্যবস্থা।
যথেষ্ট ধনী হয়েছে এইসব রেস্টুরেন্ট মালিকেরা। হচ্ছে আরও। আরও। হচ্ছে তাদের কাস্টমারদের জন্যই। অন্য কোন কারণে নয়। যে বিষয়গুলো লিখলাম তা কি মিথ্যে? যে কোন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ের জন্যেই কি, খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় এসব? কোন গুরুত্ব নেই কেন তাহলে? কাস্টমারদের কাছে নয়। মালিকের কাছেও নয়। কেন? কত টাকা খরচ হয় এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে? অসম্ভব সেটা? না, না এবং না। তবুও করা হয় না। কারণ কি? কারণ, অশিক্ষা। রুচিহীনতা। পরিচ্ছন্নতাবোধহীনতা। ক্রেতার প্রতি যথার্থ দায়িত্ব এবং সম্মানবোধের অভাব। তবুও চলে ব্যবসা এদেশে। খুব ভালো চলে। ভালো চলে সব ধরনের ব্যবসাই। চলবে না কেন, এ রকম অসচেতন, অপ্রতিবাদী, অগণিত কাস্টমার পেলে?
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে গর্ব করি আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। জানি না এর কারণ কি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিলডিংয়ের টয়লেট, কমনরুম, ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়াগুলোর অবস্থা কি? অবস্থা কি ক্যাম্পাসের? নির্দিষ্ট কিছু যায়গা ছাড়া, কি পরিমাণ বর্জ্য ছড়িয়ে থাকে সবখানে? পরিত্যক্ত জিনিস, যে কোনখানে ছুড়ে ফেলে কারা? না, এসব নিয়ে আপত্তি নেই কারো। শিক্ষকদেরও নয়। কেন? কোন কোন শিক্ষকের রুমটি দেখলে, তা বোঝা যায়।
বিদেশী অনেক যন্ত্র কেনেন বাঙালী, কিন্তু বাড়ির কোন ঘরে কোন জিনিস রাখতে হয়, পরিবেশ রক্ষা করে, বিদ্যুত অপচয় না করে, ব্যবহার এবং পরিচর্যা করতে হয় কিভাবে, সেটা জানেন না এদের অনেকেই। জানেন যারা, মানেন কি তারা?
রাতের খাবার টেবিলে পৌঁছায় এই বাড়িতে (এ রকম বাড়িগুলোতে) ওয়েটারদের মাধ্যমে। চার মিটার অথবা তার চেয়েও দীর্ঘ খাবার টেবিলটির ওপর, জায়গা থাকে না আর, খাবারের পাত্র রাখার।
খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য, এদেশের প্রধান সমস্যাগুলোর একটি। এই বাড়ি এবং এ রকম বাড়িগুলোর সদস্যরা, অনুভব করে না সেটা। যা অনুভব করে না, তা মানবে কি করে?
রান্নাঘর বাথরুম এবং গৃহপরিচারিকাদের দেখার পরে, আগ্রহ হয় না আমার কোন একটি খাবারেও। খেতে শুরু করার আগেই জানিয়ে দিচ্ছেন গৃহকর্তা এবং গৃহিণী, কোন কোন মাছ আর মাংস কত দামে কেনা হয়েছে। কেনা হয়েছে কোন আধুনিক বাজার থেকে, জানাচ্ছেন তাও। উচ্চতর মূল্যের সাথে স্বাদের সম্পর্ক রয়েছে হয়তো, তাই। অতিথিদের খাওয়াতে এবং নিজেরা শব্দ করে খেতে খেতে, যেসব বিষয় নিয়ে খুব হৈ চৈ করে আলোচনা করেন তারা, কোনটিই আমার আগ্রহের বিষয় হয়ে ওঠে না।
এ বাড়িতে বসে মনে পড়ে, আমার একসময়ের ক্লাসমেট, বর্তমানের এক আমলার কথা। একটুও লজ্জিত হয় না সে বলতে, তার সম্পত্তি আর অর্থবিত্তের কথা। লজ্জা পায় না দেখাতে, বিলাসী অবস্থা তার। ছুঁতে চাচ্ছে সে পাশ্চাত্য জীবন জাম্প করে, বাংলাদেশ থেকে। নেই যদিও, সঠিক ধারণা তার, ইউরোপ সম্পর্কে। আমেরিকা সম্পর্কে। ইউরোপিয়ান, আমেরিকানদের জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে। অনেক অনেক কিছুর সম্পর্কে। প্রায় কোন কিছুর সম্পর্কেই।
জানতে চেয়েছি একদিন, কি রকম বেতন পায়, তার মতো সরকারী আমলারা। উচিত নয় এ রকম প্রশ্ন করা, তবুও।
‘বুঝতে পারছি, কেন জানতে চাচ্ছিস তুই। যে জীবনযাপন করছি, তা সম্ভব নয় কোনভাবে ওই বেতন দিয়ে। যা সম্ভব, সেটাই তো করবো আমি, সচ্ছলভাবে বাঁচতে চাইলে।’ বলেছিলো সে।
‘করবো নয়, করছি আমরা, আর সচ্ছলভাবে নয়, ধনী হয়ে বাঁচতে চাইলে বলা উচিত তাই না ?’ বলেছিলাম জবাবে।
ভুলে যায়নি তিনি বলতে, রয়েছে ক’জন কাজের লোক তার বাড়িতে। খরচ করে কিভাবে কত লক্ষ টাকা প্রতি মাসে। রয়েছে আলাদাভাবে দুটি কাজের মেয়ে, তার পুত্রের সেবা করার জন্যে। পুত্রের চেয়ে বয়সে ছোট যারা।
অর্ডার করতে হয় পুত্রের জন্যে বিখ্যাত রেস্তোরাঁর খাবার, তার পছন্দ মতো। খায় না সে, না হলে। একটি গাড়ি আর ড্রাইভার নিয়োজিত, এই বালকটির সেবায়। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সে। ‘খুব নামকরা’ এক ইংরেজী স্কুলের। রয়েছে প্রতিটি বিষয়ের কোচিংয়ের ব্যবস্থা, তার জন্যে। বাড়িতে এবং বাহিরে। তাকে পড়ানোর মতো সময় নেই মা-বাবার। নেই যোগ্যতাও। নেই যে, বলেছে সে নিজেই।
ওকে পড়াচ্ছেন যারা, নামকরা ওই ইংরেজী স্কুলে এবং বাড়িতে, আছে কী পর্যাপ্ত যোগ্যতা তাদের? আছে কি না বুঝতে পারছে তা কি করে এই আমলা এবং তার স্বামী? ইচ্ছে করেছিলো জানতে। জানা হয়নি। এ রকম প্রশ্ন করা, বুঝতে পারছিলাম না, ঠিক হবে কিনা।
শিখতে হচ্ছে বালককে, ইংরেজী গান। জানে হয়তো ‘বিটেলস’ নামটি এই পরিবার। স্বপ্ন দেখছে তারা বোধহয়, তাদের পুত্রটি একদিন, নতুন কোন ‘বিটেলসে’র ‘পল ম্যাককাটর্নি’ হবে। হয়ে যেতে পারে, রোলিং স্টোন, রব্বি উইলিয়াম, এলভিস প্রিসলি অথবা মাইকেল জ্যাকসন। কে জানে। নিজের দেশে নয় শুধু, বিখ্যাত হবে পৃথিবীতে তার সন্তান, দেখবে না কি খুব সামান্য এই স্বপ্ন, এই মা বাবা? এতো ‘হাই সোসাইটির’ যারা? করছে সব কিছুই সন্তানদের জন্যে এরা, উদার হয়ে সবটুকু। বাকি রাখছে না কোন কিছুই। সম্ভব অথবা অসম্ভব, সবকিছু।
শেখাচ্ছে বালক কে ছবি আঁকাও। হয়তো মাথায় রাখতে হচ্ছে তাকে ভ্যানগগ, পিকাসো, রাফায়েল, মাইকেল এ্যাঞ্জেলো এবং পৃথিবী বিখ্যাত আরো অনেকের চিত্রকলা। হয়তো বাধ্য করা হচ্ছে তাকে স্বপ্ন দেখতে, ‘লেওনার্দো দ্য ভিঞ্চি’ হবার। বিখ্যাত কি হতে পারে কেউ, যদি না সে স্বপ্ন দেখে ছোটবেলা থেকে?
মৌলিক নয় এ দেশের বাচ্চাদের, বিখ্যাত হবার স্বপ্ন গুলোও। নির্মাণ করতে পারছে না বাচ্চারা কোন স্বপ্ন, নিজের মেধা আগ্রহ প্রতিভা নির্ভরতায়। বিখ্যাত হওয়া, মূল ব্যাপার এখানে। অবশ্যই সেটা অনুকরণ আর নকল করে। শিশুদের দায়িত্ব এদেশে, নকল আর অনুকরণ। চাপিয়ে দিচ্ছেন তা, তাদের প্রথম এবং প্রধান পরিচালক, মা বাবা। বিকশিত হতে পারবে না সে তার মৌলিক প্রতিভায়। বিখ্যাত এবং প্রতিষ্ঠিত হতে হবে তাকে অন্যের প্রতিভায়। তাঁদের প্রতিভায়, বিপুল বিখ্যাত যাঁরা পৃথিবীতে।
‘আমি আইনস্টাইন হবো বড় হয়ে।’ বলেছে এক আত্মীয়ের যে কন্যা’টি, বয়স তার নয় বছর।
‘তুমি কি জানো, কি বিষয়ে কাজ করেছিলেন আইনস্টাইন?’ প্রশ্ন করেছিলাম।
‘এখন জানি না, বড় হলে জানবো।’ জবাব তার।
‘তুমি বিজ্ঞানী হবে তোমার নামে, আইনস্টাইনের নামে তো হতে পারবে না।’ বলেছি।
‘আমার বাবা বলেছে আমি মেয়ে আইনস্টাইন হবো।’ বলেছে বাচ্চাটি।
এসেছে মা আর বাবার ইচ্ছায় পৃথিবীতে। বহন করছে তার সব খরচ, মা-বাবা। অতএব, সে তো তাদেরই। সে কি আর তার নিজের? কি করে হবে সে নিজের মতো? স্বাধীন আর গণতান্ত্রিক এই বাংলাদেশে?
স্বতঃস্ফূর্ত স্বাভাবিক বিকাশ নয়। নির্দেশিত আর নিয়ন্ত্রিত বিকাশ নির্ধারিত করা হয়েছে এদেশে, মধ্য আর উচ্চবিত্ত পরিবারের শিশুদের জন্যে।
টেকে না যদিও, এক একটা পর্যায়ে, মা বাবার চাপিয়ে দেয়া স্বপ্নগুলো। অধিকাংশ সময়। তাদের ইচ্ছানির্দিষ্ট বিষয়গুলোতে, যখন প্রমাণিত হয় সন্তানদের প্রতিভাহীনতা, অযোগ্যতা, অনাগ্রহ। বেয়াড়া, বেয়াদব, গোঁয়ার এবং এ ধরনের সব শব্দ প্রয়োগ করা হয় তখন সন্তানের ওপর। বলা হয়, বখে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে। যা কিছু করা হয়েছে তার জন্যে, সবই জলে গেছে। এ রকম সন্তান বংশের (?) কলঙ্ক। কোন পাপে যে তাকে জন্ম দেয়া হয়েছিলো। হয়তো ব্যবহার করা হয়, এর চেয়েও নোংরা শব্দ এবং বাক্য। বাইরের মানুষদের অনুপস্থিতে। হয়তো করা হয়, শারীরিক নির্যাতন।
শুরু হয়, কঠিন এক পারিবারিক সংকট এ থেকে। শুরু হয় দ্বন্দ্ব জটিলতা, সন্তানের সাথে মা-বাবার। পুড়তে থাকে প্রচ- অশান্তিতে তারা। দায়ী করে সন্তানকেই সবটুকু। নির্দ্বিধায়।
ক’টি পরিবার আছে এই দেশে, যারা সৃষ্টি করেনি কঠিন সংকট সন্তানদের সাথে? পজেটিভ হয়নি ফলাফল। হতে পারে না।
দায়ী আসলে কে? সন্তান না কি মা-বাবা? চাপিয়ে কেন দিয়েছিলো তারা সন্তানের ওপর, নিজেদের স্বপ্নপূরণের দায়? সন্তানের প্রতিভা, যোগ্যতা, আগ্রহ বিবেচনা না করে? অবিভাবকের আধিপত্য প্রভূত্ব অবিবেচনাই কি নয়, একমাত্র কারণ, জটিল আর কঠিন এই সমস্যার? এরা নিশ্চিত করেছে বাচ্চাদের জন্যে ভোগ বিলাসিতা। তুচ্ছ এই বৃত্তের কাছে কি পরাধীন করেনি সন্তানদের? রুদ্ধ কি করেনি তাদের স্বাভাবিক বিকাশ? করছে যে, বোঝেই তো না সেটা।
‘দোয়া করবেন আমার বাচ্চাকে যেন মানুষ করতে পারি।’ খুব প্রচলিত এই বাক্যটি ব্যবহার করেন এদেশে, প্রায় সব মা-বাবা। দোয়া অথবা আশীর্বাদ প্রত্যাশা করেন তারা আত্মীয়, বন্ধু, পরিচিতের কাছে। সবার দোয়া ছাড়া তাদের সন্তান মানুষ হবে না। মনে করেন তারা। দাদু নানুদের মতো খুব ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছাড়া, অন্য কারো সন্তানকে মানুষ করতে পারার জন্যে কি, সত্যিই দোয়া করেন কেউ? জানি না। জানি না, অন্য কারো দোয়া আশীর্বাদে তাদের সন্তান মানুষ হয় কি না। আর এই যে মানুষ করা, এর অর্থ একটি। মা-বাবার স্বপ্নপূরণ। মানে, জীবনে উন্নতি করা। একটি মাত্র অর্থ জড়িত, উন্নতি শব্দটির সাথে। সেটি সম্পত্তি, টাকা, ভোগ, বিলাস। এই ‘উন্নতি’ করার প্রধান এবং প্রধান মাধ্যম অবশ্যই, দুর্নীতি। সচেতনে অথবা অবচেতনে, এগিয়ে দেন এই মা-বাবা সন্তানকে, সেই পথে। অবশ্যই সেই পথে।
‘ও জীবনে খুব উন্নতি করেছে’ বলা হয় যখন এ বাক্যটি, বুঝতে হবে, ‘ও জীবনে খুব দুর্নীতি করেছে।’ সত্য এটা। বাস্তবতাও এটা। প্রমাণিত এটা, বাংলাদেশে সব জায়গায়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। প্রমাণিত এটা অধিকাংশ মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্ত, ধনী পরিবারগুলোর জীবনযাপন অবস্থার বাস্তবতায়। (চলবে)

No comments

Powered by Blogger.