রাজধানীর বাজারে ডাল ডিম সবজির দাম বাড়ছে by এম শাহজাহান
গরিবের গোশত হিসেবে পরিচিত যে ডাল তা এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। আর দাম বৃদ্ধির কারণে খাদ্য তালিকার বাইরে চলে যাচ্ছে ডিম। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি মসুর ডালের দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা। একই অবস্থা ডিমের বাজারেও। ১০-১২ টাকা দাম বেড়েছে প্রতিহালিতে।
অস্থির হয়ে উঠছে ডাল ও ডিমের বাজার।
আর সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে বেগুনের। প্রতিকেজি বেগুন কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকা। অথচ রমজান মাসেও এই বেগুন ৩০ টাকায় কিনেছে নগরবাসী। বেগুনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্য শাক-সবজির দামও। দাম বৃদ্ধির কারণে মাছ ও মাংস নিম্নবিত্ত মানুষের প্রায় নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে দিন দিন খাদ্য তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ডিম ও ডাল। কিন্তু আমিষ ও প্রোটিনের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় ডাল এবং ডিম এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। এছাড়া আটার দাম বেড়েছে। আর চালের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। খাদ্যপণ্যের আকাশচুম্বী দামে দিশেহারা নিম্নবিত্তের সাধারণ মানুষ।
বাজার করতে এসে ভোক্তারা রীতিমতো ত্যাক্ত-বিরক্ত। খাদ্যপণ্য কিনতেই রোজগারের বড় অংশ ব্যয় করতে হচ্ছে। সাংসারিক অন্যান্য খাতের বাজেট কাটছাঁট করেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। মুগদা বড় বাজারে কথা হয় চাকরিজীবী মনির হোসেনের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপের সঙ্গে জানালেন, বেতনের বড় অংশ খাদ্যপণ্য কিনতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে আর চলে না। ঈদের পরে দেশে এমন কি ঘটল যে, সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ডাল, ডিম ও শাক-সবজির দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, ডিম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি, এখন ডালও ছাড়তে হবে।
রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে ভালমানের মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছ ১৩৫-১৪০ টাকা। আর ৪৪-৪৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিহালি ডিম। প্যকেটজাত লবণ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০ টাকায়। চিনি খোলা ৫৪-৫৫, সয়াবিন লুজ প্রতিলিটার ১২০-১২২ ও বোতল ৫ লিটার ৬৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তবে চিনির বাজার অস্থির হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ব্যবসায়ীদের অনুরোধে সরকার শেষ পর্যন্ত চিনি রফতানির সুযোগ দিয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনি রফতানি করা হলে দেশে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আর যদি তাই হয় তাহলে অবশ্যই চিনির দাম বাড়বে। ইতোমধ্যে কাঁচামরিচ, বেগুন, রসুন ও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ থাকলেও আবার তা চালু করা হয়েছে।
তবে সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোারেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর হিসেবে দেখা যায়, মসুর ডাল দেশী প্রতিকেজি ১২২-১২৫, নেপালী প্রতিকেজি ১২৪-১২৮, মুগডাল মানভেদে ১০০-১১৫, এ্যাঙ্কর প্রতিকেজি ৫০-৫৫ এবং ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। সংস্থাটি ডিমের দাম দেখিয়েছে ৩৯-৪০ টাকা। আর আটা প্রতিকেজি মানভেদে ৩০-৩৫, চাল মোটা স্বর্ণা ২৮-৩০ টাকায় বিক্রির কথা বলা হয়েছে। তবে বাজারের চিত্র ভিন্ন। কারণ কাপ্তান বাজারে ডিমের পাইকারি মূল্য হচ্ছে ১২০ টাকা ডজন। ওই হিসেবে প্রতিহালির দাম পড়ে ৪০ টাকা। আর এই ডিম মুদি দোকানে কিনতে গেলে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ৪৫ টাকা।
এ প্রসঙ্গে কাপ্তান বাজারের পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী মোঃ নূরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, ডিমের দাম বাড়ছেই। একদিন আগে ১শ’ ডিম সাড়ে ৯শ’ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৭০-৯৮০ টাকায়। আপাতত দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে ভারত থেকে আবার ডিম আসা শুরু হলে দাম কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে ডিমের দামের লাগাম টেনে ধরতে ফের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যত খুশি ডিম আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। গত ৩০ আগস্ট ডিম আমদানির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। শুধু রাজধানীতে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার বিপরীতে এখন বাজারে আসছে মাত্র দেড় কোটি পিস ডিম। ফলে অস্থির হয়ে উঠছে ডিমের বাজার। খুচরা পর্যায়ে এখন প্রতি পিস লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকা। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ফের অবাধে ডিম আমদানি উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তবে অবশ্যই ডিম আমদানি করতে হবে বার্ডফ্লুমুক্ত দেশ থেকে।
জানা গেছে, কয়েক মাস ধরেই বাড়ছে ডিমের দাম। এর আগে আমদানি উন্মুক্ত করা হলেও ডিমের দাম কমেনি। বাংলাদেশ এগ প্রডিউসার এ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি মীর মহিউদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ডিমের দাম বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম বৃদ্ধি। এছাড়া সরকারীভাবে একদিন বয়সী ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার মূল্য ৩০ টাকা ও লেয়ার মুরগির বাচ্চার দাম ৩২ টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে। এই বাচ্চা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। বেশি দামে বাচ্চা কিনতে হচ্ছে বলে ডিমের দামও বাড়িয়ে দিচ্ছেন খামার মালিকরা।
আর সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে বেগুনের। প্রতিকেজি বেগুন কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকা। অথচ রমজান মাসেও এই বেগুন ৩০ টাকায় কিনেছে নগরবাসী। বেগুনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্য শাক-সবজির দামও। দাম বৃদ্ধির কারণে মাছ ও মাংস নিম্নবিত্ত মানুষের প্রায় নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে দিন দিন খাদ্য তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ডিম ও ডাল। কিন্তু আমিষ ও প্রোটিনের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় ডাল এবং ডিম এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। এছাড়া আটার দাম বেড়েছে। আর চালের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। খাদ্যপণ্যের আকাশচুম্বী দামে দিশেহারা নিম্নবিত্তের সাধারণ মানুষ।
বাজার করতে এসে ভোক্তারা রীতিমতো ত্যাক্ত-বিরক্ত। খাদ্যপণ্য কিনতেই রোজগারের বড় অংশ ব্যয় করতে হচ্ছে। সাংসারিক অন্যান্য খাতের বাজেট কাটছাঁট করেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। মুগদা বড় বাজারে কথা হয় চাকরিজীবী মনির হোসেনের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপের সঙ্গে জানালেন, বেতনের বড় অংশ খাদ্যপণ্য কিনতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে আর চলে না। ঈদের পরে দেশে এমন কি ঘটল যে, সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ডাল, ডিম ও শাক-সবজির দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, ডিম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি, এখন ডালও ছাড়তে হবে।
রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে ভালমানের মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছ ১৩৫-১৪০ টাকা। আর ৪৪-৪৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিহালি ডিম। প্যকেটজাত লবণ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০ টাকায়। চিনি খোলা ৫৪-৫৫, সয়াবিন লুজ প্রতিলিটার ১২০-১২২ ও বোতল ৫ লিটার ৬৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তবে চিনির বাজার অস্থির হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ব্যবসায়ীদের অনুরোধে সরকার শেষ পর্যন্ত চিনি রফতানির সুযোগ দিয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনি রফতানি করা হলে দেশে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আর যদি তাই হয় তাহলে অবশ্যই চিনির দাম বাড়বে। ইতোমধ্যে কাঁচামরিচ, বেগুন, রসুন ও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ থাকলেও আবার তা চালু করা হয়েছে।
তবে সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোারেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর হিসেবে দেখা যায়, মসুর ডাল দেশী প্রতিকেজি ১২২-১২৫, নেপালী প্রতিকেজি ১২৪-১২৮, মুগডাল মানভেদে ১০০-১১৫, এ্যাঙ্কর প্রতিকেজি ৫০-৫৫ এবং ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। সংস্থাটি ডিমের দাম দেখিয়েছে ৩৯-৪০ টাকা। আর আটা প্রতিকেজি মানভেদে ৩০-৩৫, চাল মোটা স্বর্ণা ২৮-৩০ টাকায় বিক্রির কথা বলা হয়েছে। তবে বাজারের চিত্র ভিন্ন। কারণ কাপ্তান বাজারে ডিমের পাইকারি মূল্য হচ্ছে ১২০ টাকা ডজন। ওই হিসেবে প্রতিহালির দাম পড়ে ৪০ টাকা। আর এই ডিম মুদি দোকানে কিনতে গেলে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ৪৫ টাকা।
এ প্রসঙ্গে কাপ্তান বাজারের পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী মোঃ নূরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, ডিমের দাম বাড়ছেই। একদিন আগে ১শ’ ডিম সাড়ে ৯শ’ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৭০-৯৮০ টাকায়। আপাতত দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে ভারত থেকে আবার ডিম আসা শুরু হলে দাম কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে ডিমের দামের লাগাম টেনে ধরতে ফের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যত খুশি ডিম আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। গত ৩০ আগস্ট ডিম আমদানির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। শুধু রাজধানীতে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার বিপরীতে এখন বাজারে আসছে মাত্র দেড় কোটি পিস ডিম। ফলে অস্থির হয়ে উঠছে ডিমের বাজার। খুচরা পর্যায়ে এখন প্রতি পিস লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকা। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ফের অবাধে ডিম আমদানি উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তবে অবশ্যই ডিম আমদানি করতে হবে বার্ডফ্লুমুক্ত দেশ থেকে।
জানা গেছে, কয়েক মাস ধরেই বাড়ছে ডিমের দাম। এর আগে আমদানি উন্মুক্ত করা হলেও ডিমের দাম কমেনি। বাংলাদেশ এগ প্রডিউসার এ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি মীর মহিউদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ডিমের দাম বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম বৃদ্ধি। এছাড়া সরকারীভাবে একদিন বয়সী ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার মূল্য ৩০ টাকা ও লেয়ার মুরগির বাচ্চার দাম ৩২ টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে। এই বাচ্চা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। বেশি দামে বাচ্চা কিনতে হচ্ছে বলে ডিমের দামও বাড়িয়ে দিচ্ছেন খামার মালিকরা।
No comments