স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ by অজয় রায়
ঐদিন কোন কোন দেশ বাংলাদেশের ঘটনাবলীকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে অভিহিত করেছেন, তবু একথা এখন দিবালোকের মতো সত্য হয়ে গেছে যে সাড়ে সাত কোটি মানুষকে পিষে মারার চেষ্টা, তাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করে দেবার একটি আন্তর্জাতিক ব্যাপারে পরিগণিত হয়েছে এবং এই সমস্যা আজ পৃথিবীর সমস্ত
মানুষের বিবেককে নাড়া দিচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে আমরা বিদেশে অবস্থানরত বাঙালী ভাইদের বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি ও পৃথিবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অনুরোধ জানিয়েছি। পৃথিবীর বিভিন্ন রাজধানীতে আমাদের প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি এবং বিদেশের সমস্ত রাষ্ট্রের কাছে কূটনৈতিক স্বীকৃতি ও আমাদের স্বাধীনতা ও আত্মরক্ষার সংগ্রামে সাহায্য ও সহানুভূতি চেয়ে পাঠাচ্ছি।
আমাদের যে সমস্ত ভাইবোন শত্রুকবলিত শহরগুলোতে মৃত্যু ও অসম্মানের নাগপাশে আবদ্ধ, আদিম নৃশংসতার বিরুদ্ধে সংগাম করে সাহস ও বিশ্বাসের সাথে মুক্তির পথ চেয়ে আছেন যাঁদেরেেক আমরা এক মুহূর্তেও জন্যও ভুলতে পারি না। যাঁরা আমাদের সংগ্রামে শরিক হতে চান তাদের জন্য রইল আমাদের আমন্ত্রণ। যাঁদের পক্ষে নেহাতই মুক্ত এলাকায় আসা সম্ভব নয় তাঁদেরকে আমরা আশ্বাস এবং প্রেরণা দিচ্ছি বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের পক্ষ থেকে, শহীদ ভাইবোনদের বিদেহী আত্মার পক্ষ থেকে। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ইনশাল্লাহ, জয় আমাদের সুনিশ্চিত।
আমাদের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে আমাদের স্থিরবিশ্বাস; কারণ প্রতিদিনই আমাদের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে এবং এ সংগ্রাম পৃথিবীর স্বীকৃতি পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের মুক্তিবাহিনীর হাতে শেষ পরাজয় মেনে নেবার আগে শত্রুরা আরও অনেক রক্তক্ষয় আর ধ্বংসলীলা সৃষ্টি করবে। তাই পুরাতন পূর্ব পাকিস্তানের ধ্বংসাবশেষের ওপর নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবার সংকল্পে আমাদের সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। আমাদের এই পবিত্র দায়িত্ব পালনে এক মুহূর্তেও জন্যেও ভুলে গেলে চলবে না যে এ যুদ্ধ গণযুদ্ধ এবং সত্যিকার অর্থে এ কথাই বলতে হয় যে এ যুদ্ধ বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের যুদ্ধ। খেটে খাওয়া সাধারণ কৃষক, শ্রমিক, মধ্যবিত্ত, ছাত্র-জনতা তাঁদের সাহস, তাদের দেশপ্রেম, তাদের বিশ্বস, স্বাধীন বাংলাদেশের চিন্তায় তাঁদের নিমগ্নপ্রাণ, তাদের আত্মাহুতি, তাদের ত্যাগ ও তিতিক্ষায় জন্ম নিল এই নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ। সাড়ে সাত কোটি মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ফলপ্রসূ হয়ে উঠুক আমাদের স্বাধীনতার সম্পদ। বাংলাদেশের নিরন্ন দুঃখী মানুষের জন্যে রচিত হোক এক নতুন পৃথিবী, যেখানে মানুষ মানুষকে শোষণ করবে না। আমদের প্রতিজ্ঞা হোক ক্ষুধা, রাগ, বেকারত্ব আর অজ্ঞানতার অভিশাপ থেকে মুক্তি। এই পবিত্র দায়িত্বে নিয়োজিত সাড়ে সাত কোটি বীর বাঙ্গালী ভাইবোনদের সম্মিলিত মনোবল ও অসীম শক্তি। যাঁরা আজ রক্ত দিয়ে উর্বর করছে বাংলাদেশের মাটি, সেখানে উৎকর্ষিত হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন মানুষ, তাঁদের রক্ত আর ঘামে ভেজা মাটি থেকে গড়ে উঠুক নতুন গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা; গণমানসের কল্যাণে সাম্য আর সুবিচারের ভিত্তিপ্রস্তরে লেখা হোক ‘জয় বাংলা’, ‘জয় স্বাধীন বাংলাদেশ।’
সরকার গঠনের পূর্বে জনাব তাজউদ্দীন আহমদ আর একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন প্রায় এককভাবে Ñ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ’চৎড়পষধসধঃরড়হ ড়ভ ওহফবঢ়বহফবহপব ’ আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশের ’স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র’ তৈরির সিদ্ধন্ত নেন। উদ্দেশ্য ৭১’এর ২৬শে মার্চে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক একক স্বাধীনতার ঘোষণাক বৈধতা ও আইনগত ভিত্তি প্রদান, যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি জনগণের প্রতিনিধি কর্তৃক রচিত, গৃহীত এবং ঘোষিত হয়। তিনি বিষয়টি সবিশদ তাঁর তরুণ সহকর্মী কুষ্টিয়ার এম এল এ ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলামকে ব্যাখ্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের ’চৎড়পষধসধঃরড়হ ড়ভ ওহফবঢ়বহফবহপব ’ এর আদলে স্বাধীনতার ঘোষণা-পত্রের একটি খসড়া প্রণয়নের নির্দেশ দিলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় সংশোধন করে অনুমোদন দেয়ার পরে আমিরুল ইসলামেকে কোলকাতার কোন বিখ্যাত আইনজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণের জন্য আমিরুল ইসলামকে নির্দেশ দিলে কোলকাতার বিশিষ্ট ও খ্যাতনামা আইনজীবী ব্যারিস্টার সুব্রত রায় চৌধুরীর পরামর্শ মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী এর চূড়ান্ত রূপ প্রদান করেন যা আওয়ামী লীগের সাংসদের কর্তৃক অনুমোদিত ও গৃহীত হয়। এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদনের সর্বময় ক্ষমতা প্রদান করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে। এই হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা পত্রের পটভূমি।
আমাদের ম্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি নিম্নরূপ এবং মূল ঘোষণাটি ইংরেজীতে রচিত :
THE PROCLAMATION OF INDEPENDENCE
Mujibnagar, Bangladesh
Dated 10th day of April, 1971
Whedreas free elections were held in Bangladesh from 7th December, 1970 to 17th January, 1971, to elect representatives for the purpose of framing constitutions,
AND
Whereas at those elections the people of Bangladesh elected 167 out of 169 representatives belonging to Awami League,
AND
Whereas General Yahya Khan summoned the elected representatives of the people to meet on the 3rd March, 1971, for the purpose of framing a Constitution,
AND
Whereas the Assembly so summoned was arbitrarily and illegally postponed for indefinite period,
AND
Whereas instead of fulfilling their promise and while still conferring with the representatives of the people of Bangladesh, Pakistan authorities declared an unjust and treacherous war,
AND
Whereas in the facts and circumstances of such treacherous conduct Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, the undisputed leader of the 75 million people of Bangladesh, in due fulfillment of the legitimate right of self-determination of the people of Bangladesh, duly made a declaration of independence at Dacca on March 26, 1971, and urged the people of Bangladesh to defend the honour and integrity of Bangladesh,
AND
Whereas in conduct of vruthless and savage war the Pakistani authorities committed and are still continuously committing numerous acts of genocide and unprecedented tortures, amomgst others on the civilian and unarmed people of Bangaldesh,
AND
Whereas the Government by levying an unjust war and committing genocide and by other repressive measures made it impossible for the elected representatives of the people of Bangladesh to meet and frame Constitution, and give to themselves a Government,
AND
Whereas the people of Bangladesh by their heroism, bravery and revolutionary fervor have esatablished effective control over the territories of Bangladesh,
AND
We the elected representatives of the people of Bangladesh, as honoured bound by the mandate given to us by the people of Bangladesh whose will is supreme duly constituted ourselves into a Constituent Assembly, and having held mutual consultations, and in order to ensure for the people of Bangladesh equality, human dignity and social justice,
declare and constitute Bangladesh to be sovereign Peoples’ Republic and thereby confirm the declaration of independence already made by Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, and
do here affirm and resolve that till such time as a Constitution is framed , Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman shall be the President of the Republic and that Syed Nazrul Islam shall be the Vice-President of the Republic, and
that the Prresident shall be the Supreme Commander of all Armed Forces of the Republic,
shall excersise all the Executive and Legislative powers of the Republic including the power to grant pardon,
shall have the power to appoint a Prime Minister and such other Ministers as he considers necessary,
shall have the power to levy taxes and expend moniws,
shall have the power to summon and adjourn the Constituent Assemnly, and
do all other things that may be necessary to give to the People of Bangladesh an orderly and just Government,
We the elected representatives of the People of Bangladesh do further resolve that in the even of there bring no President or the President being unable to enter upon his office or being unable to exercise his powers and duties due to sny reason whatsoever, the Vice-President shall have and exercise all the powers, duries and responsibilities herein conferred on the President,
We further resolve that we undertake to observeand give effect to all duties and obligations that devolve upon us a member of the family of nations and under the Charter of United Nations.
We further resolve that this proclamation of independence shall be declared to have into effect from 26th day of March, 1971.
We further resolve that in order to give effect to this instrument we appoint Prof. Yusuf Ali our duly Constituted Potentiary and give to the President and the Vice-President oaths of office.
আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষার অধ্যাদেশ। যে কোন নতুন রাষ্ট্র জন্ম নিলে ঐদেশে পূর্বতন আইনসমূহের জনস্বার্থে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রয়োজন হতে পারে, সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারও প্রেসিডেন্ট কর্তৃক জারিকৃত একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই ধারাবাহিকতাকে রক্ষা করার প্রয়াস পায়। সরকার এই মর্মে ১০ই এপ্রিল তারিখে উপরাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এটির শিরোনাম ও বিষয়বস্তু নিম্নরূপ:
LAWS CONTINUANCE ENFORCEMENT ORDER
Mujibnagar,
Dated 10th day of April, 1971
I, Syed Nazrul Islam, the Vice-President and Acting President of Bangladesh, in ecersise of the powers conferred on by the Proclamation of Independence dated tenth day of April, 1971 do hereby order that all laws that were in force in Bangladesh on 25th March, 1971, shall subject to the Proclamation afiresaid continue to be so in force with such consequential changes as may be necessary on account of the creation of the sovereign independent State of Bangladesh formed by the will of the people of Bangladesh and that all government officials _ civil, military, judicial and diplomatic who take the oath of allegiance to Bangladesh shall continue in their offices on terms and conditions of service so long enjoyed by them and that all District Judges and District Magistrates, in the territory of Bangladesh and all diplomatic representatives elsewhere shall arrange to administer the oath of allegiance to all government officials within their jurisdiction.
This order shall be deemed to have come into effect from 26th day of March, 1971.
Signed:
SYED NAZRUL ISLAM
Acting President
স্বাধীনতার ঘোষণা-পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ও সে সময়কার পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ সরকার ১৩ই এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে জনগণের উদ্দেশ্যে কিছু নির্দেশাবলী জারি করে। যেমন :-
জনসাধারণের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ
নবগঠিত বাংলাদেশ সরকার জনগণের প্রতি এই নির্দেশগুলি জারি করেছেন:
১। চিকিৎসা ও সেবা শুশ্রƒষার জন্যে আহত ব্যক্তিকে ডাক্তার বা কবিরাজের কাছে নিয়ে যান।
২। মুক্তি সংগ্রামের বিশ্বাসঘাতকদের শাস্তি দিন।
৩। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে জেনে নিন কী করা উচিত।
৪। তরুণরা সকলে ট্রেনিং-এর জন্যে নিকটতম মুক্তিফৌজ দপ্তরে চলে আসুন Ñ সেখানেই তাঁরা নির্দেশ পাবেন।
৫। প্রত্যেক গ্রাম-প্রধান আশপাশের গ্রাম বা গ্রামগুলির প্রধানদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলুন এবং সমস্ত খবরাখবর সম্বন্ধে পরস্পরকে ওয়াকিবহাল রাখুন।
৬। মুক্ত অঞ্চলগুলির সরকারী কর্মচারীরা আওয়ামী লীগের স্থানীয় সদর দপ্তর থেকে নির্দেশ নিন।
৭। নদী-পরিবহন ব্যবস্থার সমস্ত কর্মচারী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন ও রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্র থেকে প্রচারিত নির্দেশ উপেক্ষা করুন। ঢাকায় নদী-পরিবহনকর্মীরা দখলদার জঙ্গী বাহিনীর নির্দেশ অমান্য করায় বাংলাদেশ সরকার তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
৮। নিজের এলাকার মুক্তিফৌজ কমান্ডের নির্দেশ অনুযায়ী অসামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সমস্ত নিয়ম মেনে চলুন।
৯। আপনার এলাকার সন্দেহভাজনে লোক ঘোরাফেরা করছে। তাদের সম্বন্ধে সাবধান থাকুন এবং তেমন কোন লোকের খোঁজ পেলে নিকটতম মুক্তিফৌজ কেন্দ্রে খবর দিন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ও সরকারপ্রধান হিসেবে দেশবাসীর প্রতি একটি ভাষণে কিছু করণীয় সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছিলেন। এই গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে উপরিল্লিখত নির্দেশাবলী আরও কিছু নির্দেশ দিয়েছিলেন সেগুলি হলÑ
কোন বাঙ্গালী কর্মচারী শত্রুপক্ষের সাথে সহযোগিতা করবেন না। .. .. .. প্রতিটি কর্মচারী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবেন। শত্রুকবলিত এলাকায় তারা জন প্রতিনিধিদের (নির্দেশে) এবং অবস্থা বিশেষে নিজেদের বিচার-বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করবেন।
সকল সামরিক, আধা সামরিক লোক কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অবিলম্বে নিকচতম মুক্তিসেনা শিবিরে যোগ দেবেন। কোন অবস্থাকেই শত্রুর হাতে পড়বেন না বা শত্রুর সাথে সহযোগিতা করবেন না।
স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ছাড়া অন্য কারো বাংলাদেশে থেকে খাজনা, ট্যাক্স, শুল্ক আদায়ের অধিকার নেই। মনে রাখবেন আপনার কাছ থেকে শত্রুপক্ষের এভাবে সংগৃহীত প্রতিটি পয়সা আপনাকে ও আপনার সন্তানদের হত্যা করার কাজে ব্যবহার করা হবে।.. ..
আর একশ্রেণীর সমাজবিরোধী ও দুষ্কৃতকারী সম্পর্কেও সদা সচেতন থাকতে হবে। এদের কার্যকলাপ দেশদ্রোহমূলক। .. .. ইত্যাদি .. ইত্যাদি।
সেদিন জনাব প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই বক্তব্য এভাবে শুরু করেছিলেন : স্বাধীন বাংলাদেশ আর তার সাড়ে সাতকোটি সন্তান আজ চূড়ান্ত সংগ্রামে নিয়োজিত। এ সংগ্রামের সফলতার ওপর নির্ভর করছে সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর, আপনার, আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। আমাদের এ সংগ্রামে জয়লাভ করতেই হবে এবং আমরা যে জয়লাভ করব, তা অবধারিত।.. ..
(চলবে)
No comments