কোরআনে কারিমের দাবি by খন্দকার মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ
হজরত যায়েদ ইবনু আরকাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) একবার (খুতবায়) বললেন, 'আল্লাহর এই কিতাব (তোমাদের হাতে) একটি রজ্জু। যে তার অনুসরণ করল সে হেদায়তের পথে অটল ও স্থির থাকবে। আর যে তা পরিত্যাগ করল সে ভ্রান্তির পথ ধরেছে (বুখারী-মুসলিম)।'
সুনিশ্চিতভাবেই বোঝা গেল, কোরআন মহান আল্লাহর প্রকৃত বাণী যা মানবজাতির প্রতি নাজিল করা হয়েছে। যে জাতি তা দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে তারা সফল আর যারা উপেক্ষা ও ত্যাগ করবে তাদের জন্য ধ্বংসই অনিবার্য পরিণতি। এ বিষয়টিই বিদায় হজের বিশাল ও গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশে আল্লাহর রাসূল (সা.) এভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, 'তোমাদের কাছে দুটি বিষয় রেখে যাচ্ছি। যে তা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকে সে কখনও পথ হারাবে না। একটি আল্লাহর কিতাব, অপরটি রাসূলের আদর্শ।' এই মহাগ্রন্থ নিশ্চয় আমাদের সার্বিক হেদায়তের নিশ্চয়তা দিতে পারে। তবে শর্ত হলো অপরিহার্যভাবেই তার দাবি ও মর্যাদার যথাযথ মূল্যায়ন। কোরআনের কিছু দাবি রয়েছে যা জানা ও এর বাস্তবায়ন প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ।
কোরআনের দাবি হলো_ এর প্রতি এই মর্মে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে, সন্দেহাতীতভাবে এটি আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাব। পৃথিবী ধ্বংসের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত এটি মানবজাতিকে সফলভাবে পথপ্রদর্শন করতে সক্ষম। কোরআনে বর্ণিত প্রত্যেকটি বিষয় পুরোপুরি বিশ্বাস করবে। প্রতিটি বিধান, ন্যায্য ও ইনসাফভিত্তিক মর্মে স্বীকৃতি দেবে। এই কোরআন ঘোষিত বৈধকে বৈধ হিসেবে এবং নিষিদ্ধকে অবৈধরূপে মনেপ্রাণে গ্রহণ করবে। এই কিতাবকে সর্বকালীন হেদায়তের চূড়ান্ত পথনির্দেশিকা হিসেবে মানতে হবে, যা আর কোনো গ্রন্থ ও বিধান দ্বারা রহিত হবে না। এ ছাড়াও কোরআনের দাবি হলো কোরআন তেলাওয়াত করা, কোরআন অনুযায়ী জীবন গড়া ও কোরআন নিয়ে গবেষণা করা ইত্যাদি।
উপরিউক্ত বিষয়গুলো বাদে কোরআনের আরেকটি দাবি হলো, কোরআনের আদর্শ ও আহ্বান গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া। আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন_'শ্রেষ্ঠ মানুষ সেই যে কোরআনের শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদান করে (বুখারী, মুসলিম)।' আল্লাহ (পরোক্ষভাবে) আমাদের সতর্ক করছেন_ 'কাফেররা যেন আপনাকে আল্লাহর আয়াত থেকে বিমুখ না করে; সেগুলো আপনার প্রতি অবতীর্ণ হওয়ার পর আপনি আপনার পালন কর্তার প্রতি দাওয়াত দিন এবং কিছুতেই মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। আপনি আল্লাহর সঙ্গে অন্য উপাস্যকে আহ্বান করবেন না। তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নেই। আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সবকিছু ধ্বংস হবে। বিধান তারই এবং তোমরা তারই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। (সূরা কাসাস : ৮৭-৮৮)।
kmhamidullah@gmail.com
কোরআনের দাবি হলো_ এর প্রতি এই মর্মে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে, সন্দেহাতীতভাবে এটি আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাব। পৃথিবী ধ্বংসের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত এটি মানবজাতিকে সফলভাবে পথপ্রদর্শন করতে সক্ষম। কোরআনে বর্ণিত প্রত্যেকটি বিষয় পুরোপুরি বিশ্বাস করবে। প্রতিটি বিধান, ন্যায্য ও ইনসাফভিত্তিক মর্মে স্বীকৃতি দেবে। এই কোরআন ঘোষিত বৈধকে বৈধ হিসেবে এবং নিষিদ্ধকে অবৈধরূপে মনেপ্রাণে গ্রহণ করবে। এই কিতাবকে সর্বকালীন হেদায়তের চূড়ান্ত পথনির্দেশিকা হিসেবে মানতে হবে, যা আর কোনো গ্রন্থ ও বিধান দ্বারা রহিত হবে না। এ ছাড়াও কোরআনের দাবি হলো কোরআন তেলাওয়াত করা, কোরআন অনুযায়ী জীবন গড়া ও কোরআন নিয়ে গবেষণা করা ইত্যাদি।
উপরিউক্ত বিষয়গুলো বাদে কোরআনের আরেকটি দাবি হলো, কোরআনের আদর্শ ও আহ্বান গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া। আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন_'শ্রেষ্ঠ মানুষ সেই যে কোরআনের শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদান করে (বুখারী, মুসলিম)।' আল্লাহ (পরোক্ষভাবে) আমাদের সতর্ক করছেন_ 'কাফেররা যেন আপনাকে আল্লাহর আয়াত থেকে বিমুখ না করে; সেগুলো আপনার প্রতি অবতীর্ণ হওয়ার পর আপনি আপনার পালন কর্তার প্রতি দাওয়াত দিন এবং কিছুতেই মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। আপনি আল্লাহর সঙ্গে অন্য উপাস্যকে আহ্বান করবেন না। তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নেই। আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সবকিছু ধ্বংস হবে। বিধান তারই এবং তোমরা তারই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। (সূরা কাসাস : ৮৭-৮৮)।
kmhamidullah@gmail.com
No comments