মিসর, ইয়েমেন, ইরান, ইরাক ও তিউনিসিয়ায় বিক্ষোভ-বেনগাজিতে হামলায় আল-কায়েদার সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত
লিবিয়ার বেনগাজিতে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে হামলার সঙ্গে আল-কায়েদার সংযোগ রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। হামলায় লিবিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতসহ চার কর্মকর্তা নিহত এবং তিনজন আহত হন। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও লিবিয়া ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জড়িতদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মাগারিফ ও মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সঙ্গে কথা বলেছেন।
হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বেনগাজিতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত 'ইনোসেন্স অব মুসলিম' নামের একটি চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। স্যাম বাসিলে নামের ক্যালিফোর্নিয়াবাসী এক ইসরায়েলি-আমেরিকান এর নির্মাতা। অভিযোগ রয়েছে, এই ছবিতে ইসলামকে 'ক্যান্সার' হিসেবে চিত্রিত করা হয়। বিদ্রূপ করা হয়েছে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে। এই ছবির প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবারও মিসর, ইয়েমেন, ইরান, ইরাক ও তিউনিসিয়ার মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়। ইয়েমেনে দূতাবাসের ভেতরেও হামলা চালানো হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস হাউসের ইন্টেলিজেন্স কমিটির সভাপতি মাইক রজার বলেন, 'ঘটনার বিস্তারিত এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আল-কায়েদা এ হামলা চালাতে পারে, এমন পরিষ্কার ইঙ্গিত পেয়েছি আমরা।' সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'সতর্কভাবে পরিকল্পিত একটি হামলা এটি। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ওই চলচ্চিত্রটির নিন্দায় স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এ হামলার ঘটনা ঘটেনি। বরং এটি ঘটানো হয়েছে।' রিপাবলিকান এই আইনপ্রণেতা অরেকটি বার্তা সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'সশস্ত্র, সুসমন্বিত হামলা ছিল এটি। এতে সামরিক কৌশলও কাজে লাগানো হয়েছে।'
হামলার খবর প্রকাশের পর গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, জড়িতদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা হবে। তিনি টেলিফোনে প্রেসিডেন্ট মাগারিফের সঙ্গে আলাপের পর হোয়াইট হাউস জানায়, দুটি দেশ একসঙ্গে এ ঘটনার তদন্ত পরিচালনায় সম্মত হয়েছে। লিবিয়ায় ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুটি রণতরীও লিবিয়ার উপকূল অভিমুখে রওনা হয়ে গেছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, জিনিউজ।
হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বেনগাজিতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত 'ইনোসেন্স অব মুসলিম' নামের একটি চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। স্যাম বাসিলে নামের ক্যালিফোর্নিয়াবাসী এক ইসরায়েলি-আমেরিকান এর নির্মাতা। অভিযোগ রয়েছে, এই ছবিতে ইসলামকে 'ক্যান্সার' হিসেবে চিত্রিত করা হয়। বিদ্রূপ করা হয়েছে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে। এই ছবির প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবারও মিসর, ইয়েমেন, ইরান, ইরাক ও তিউনিসিয়ার মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়। ইয়েমেনে দূতাবাসের ভেতরেও হামলা চালানো হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস হাউসের ইন্টেলিজেন্স কমিটির সভাপতি মাইক রজার বলেন, 'ঘটনার বিস্তারিত এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আল-কায়েদা এ হামলা চালাতে পারে, এমন পরিষ্কার ইঙ্গিত পেয়েছি আমরা।' সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'সতর্কভাবে পরিকল্পিত একটি হামলা এটি। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ওই চলচ্চিত্রটির নিন্দায় স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এ হামলার ঘটনা ঘটেনি। বরং এটি ঘটানো হয়েছে।' রিপাবলিকান এই আইনপ্রণেতা অরেকটি বার্তা সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'সশস্ত্র, সুসমন্বিত হামলা ছিল এটি। এতে সামরিক কৌশলও কাজে লাগানো হয়েছে।'
হামলার খবর প্রকাশের পর গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, জড়িতদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা হবে। তিনি টেলিফোনে প্রেসিডেন্ট মাগারিফের সঙ্গে আলাপের পর হোয়াইট হাউস জানায়, দুটি দেশ একসঙ্গে এ ঘটনার তদন্ত পরিচালনায় সম্মত হয়েছে। লিবিয়ায় ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুটি রণতরীও লিবিয়ার উপকূল অভিমুখে রওনা হয়ে গেছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, জিনিউজ।
No comments