শিল্পীর প্রকৃত শক্তি ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনা রেখাচিত্রে by সোহেল আশরাফ
শিল্পীর প্রকৃত শক্তি ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনাকে তার রেখাচিত্রের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করা যায়। রেখাচিত্রের বিষয় বৈভব ও শৈলগত নিরীক্ষা প্রবণতায় শিল্পীর বৈচিত্রময়তা প্রকাশ পায়। রেখার নানা রূপ ও ভঙ্গি যে নানা ভাবের দ্যোতক হয়ে ওঠে কোন শিল্পীর রেখাচিত্রই তা প্রমাণ করে দেয়।
বিশ জন ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণে দু’দিনব্যাপী চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের তৃতীয় তলায় ডযধঃ ুড়ঁ ংবব-যিধঃ ুড়ঁ শহড়ি এই থিমে ব্যবহারিক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এটা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বস্তুর সম্পর্ক অন্বেষণ, বর্ণনা এবং আঁকার মাধ্যমে চিত্রনে উৎসাহিত করার পাশাপাশি পর্যবেক্ষণ, স্মৃতিশক্তি পরীক্ষাসহ স্বাধীনতর প্রক্রিয়ার পথ নির্দেশ করে।
কর্মশালায় সকল ছাত্রছাত্রীর জন্য ছবি আঁকার বিষয় উন্মুক্ত ছিল। সকলেই সহজে বহনযোগ্য যে যার পছন্দমতো অর্থপূর্ণ বস্তু যেমন হাতপাখা, প্রাণীর মাথার খুলি, ঘড়ি, ওয়াটারগান, মাটির পুতুল, হেডফোন, পটারি প্রভৃতি সঙ্গে নিয়ে আসেন। শারীরিক বৈশিষ্ট্য, মানসিক সন্তুষ্টি এবং ইতিহাস অন্বেষণে বস্তুর কটাক্ষপাত ও আলোচনার মাধ্যমে কর্মশালার শুরু।
গধৎশ-সধশরহম কর্মশালার উল্লেখযোগ্য একটি দিক। প্রথমে পেন্সিল, চারকোল (কাঠ কয়লা) ও কালির মাধ্যমে দু’রকম কাগজে রেখা, বিন্দু, স্কোয়ার, বৃত্ত প্রভৃতি অঙ্কন করেন। মোটা-সরু, ডান থেকে বামে-বাম থেকে ডানে, থেকে নিচে, নিচ থেকে উপরে, দ্রুত ও ধীর গতিতে রেখা অঙ্কন করেন। ব্রাশের মধ্যে বেশি করে তরল কালি নিয়ে ওপর থেকে কাগজের মধ্যে ব্রাশ ধরে তা পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়। মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করেও অনুশীলন করতে বলা হয়। চোখ বন্ধ করে আঁকার অনুভূতি অনেকের কাছে বেশ উপভোগ্য ছিল। ফলে ছবি আঁকার সার্ফেসকে অনেকে আপন করে নিয়েছেন। কারও কাছে কাগজ-তুলির সঙ্গে নিজেকে অনেক মুক্ত বলে মনে হয়েছে।
গধৎশ-সধশরহম এর পর সবাইকে ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে তাদের পছন্দমতো নিয়ে আসা বস্তুুকে পর্যবেক্ষণ করে আঁকতে বলা হয়েছে। পরে তাদের সামনে থেকে বস্তুটি সরিয়ে ওই বস্তুটিই মন থেকে আঁকতে বলা হয়। ৫ মিনিট, ২ মিনিট, ১০ সেকেন্ড, ৫ সেকেন্ড এরকম বিভন্ন সময়ের মধ্যে বস্তুটি আঁকেন। সব শেষে ১৫ মিনিটে আবার বস্তুকে সামনে রেখে অঙ্কন করতে বলা হয়। বস্তুকে বিভিন্নভাবে প্রকাশের মাধ্যমে প্রচুর রেখাচিত্র আঁকেন সবাই। ছবি আঁকার সময় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে এই পদ্ধতির পার্থক্য লক্ষ্য করেন। এই শিল্প শিক্ষার পদ্ধতি সবাইকে আন্দোলিত করে। রেখার বিভিন্ন আবেগীয় অভিব্যক্তির রূপ যেমন- আনন্দের রেখা, বেদনার রেখা, ক্লান্ত রেখা ইত্যাদি তাৎক্ষণিক নির্দেশনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অঙ্কন করেন। এই মনোস্তাত্বিক এক উপায়ে বস্তুর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন তুলে ধরে।
আঁকা ছবিগুলো থেকে অনেক রেখাচিত্র বাছাই করে ওই স্টুডিওতেই একপাশে মন থেকে আঁকা ছবি ও অন্যপাশে পর্যবেক্ষণ করে আঁকা ছবি প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুত করা হয়। পরদিন চারুকলা অনুষদের ছাত্রছাত্রীসহ সকলের জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত রাখা হয়। ছাত্র-শিক্ষকসহ সবাইকে মুগ্ধ করে এই প্রদর্শনী। লন্ডনের সেøড স্কুল অব ফাইন আর্ট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক পেইন্টিং (চিত্রায়ন) বিভাগের প্রধান খরংধ গরষৎড়ু কর্মশালাটি পরিচালনা করেন। এটা সেøড স্কুল অব ফাইন আর্ট (টঈখ, টক) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের মধ্যে শিল্প শিক্ষা বিনিময় প্রোগ্রাম। যা গবেষণা ও শিক্ষার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব। এর লক্ষ্য হলো দুটি ভিন্ন সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফলপ্রসূ এবং টেকসই সাংস্কৃতিক বিনিময় নির্মাণ। সংস্কৃতির বিকাশে পর্যবেক্ষণ এবং শিল্প শিক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতি উন্নয়ন করা। এর কাজকর্ম ও ফলাফল সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।
কর্মশালায় সকল ছাত্রছাত্রীর জন্য ছবি আঁকার বিষয় উন্মুক্ত ছিল। সকলেই সহজে বহনযোগ্য যে যার পছন্দমতো অর্থপূর্ণ বস্তু যেমন হাতপাখা, প্রাণীর মাথার খুলি, ঘড়ি, ওয়াটারগান, মাটির পুতুল, হেডফোন, পটারি প্রভৃতি সঙ্গে নিয়ে আসেন। শারীরিক বৈশিষ্ট্য, মানসিক সন্তুষ্টি এবং ইতিহাস অন্বেষণে বস্তুর কটাক্ষপাত ও আলোচনার মাধ্যমে কর্মশালার শুরু।
গধৎশ-সধশরহম কর্মশালার উল্লেখযোগ্য একটি দিক। প্রথমে পেন্সিল, চারকোল (কাঠ কয়লা) ও কালির মাধ্যমে দু’রকম কাগজে রেখা, বিন্দু, স্কোয়ার, বৃত্ত প্রভৃতি অঙ্কন করেন। মোটা-সরু, ডান থেকে বামে-বাম থেকে ডানে, থেকে নিচে, নিচ থেকে উপরে, দ্রুত ও ধীর গতিতে রেখা অঙ্কন করেন। ব্রাশের মধ্যে বেশি করে তরল কালি নিয়ে ওপর থেকে কাগজের মধ্যে ব্রাশ ধরে তা পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়। মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করেও অনুশীলন করতে বলা হয়। চোখ বন্ধ করে আঁকার অনুভূতি অনেকের কাছে বেশ উপভোগ্য ছিল। ফলে ছবি আঁকার সার্ফেসকে অনেকে আপন করে নিয়েছেন। কারও কাছে কাগজ-তুলির সঙ্গে নিজেকে অনেক মুক্ত বলে মনে হয়েছে।
গধৎশ-সধশরহম এর পর সবাইকে ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে তাদের পছন্দমতো নিয়ে আসা বস্তুুকে পর্যবেক্ষণ করে আঁকতে বলা হয়েছে। পরে তাদের সামনে থেকে বস্তুটি সরিয়ে ওই বস্তুটিই মন থেকে আঁকতে বলা হয়। ৫ মিনিট, ২ মিনিট, ১০ সেকেন্ড, ৫ সেকেন্ড এরকম বিভন্ন সময়ের মধ্যে বস্তুটি আঁকেন। সব শেষে ১৫ মিনিটে আবার বস্তুকে সামনে রেখে অঙ্কন করতে বলা হয়। বস্তুকে বিভিন্নভাবে প্রকাশের মাধ্যমে প্রচুর রেখাচিত্র আঁকেন সবাই। ছবি আঁকার সময় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে এই পদ্ধতির পার্থক্য লক্ষ্য করেন। এই শিল্প শিক্ষার পদ্ধতি সবাইকে আন্দোলিত করে। রেখার বিভিন্ন আবেগীয় অভিব্যক্তির রূপ যেমন- আনন্দের রেখা, বেদনার রেখা, ক্লান্ত রেখা ইত্যাদি তাৎক্ষণিক নির্দেশনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অঙ্কন করেন। এই মনোস্তাত্বিক এক উপায়ে বস্তুর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন তুলে ধরে।
আঁকা ছবিগুলো থেকে অনেক রেখাচিত্র বাছাই করে ওই স্টুডিওতেই একপাশে মন থেকে আঁকা ছবি ও অন্যপাশে পর্যবেক্ষণ করে আঁকা ছবি প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুত করা হয়। পরদিন চারুকলা অনুষদের ছাত্রছাত্রীসহ সকলের জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত রাখা হয়। ছাত্র-শিক্ষকসহ সবাইকে মুগ্ধ করে এই প্রদর্শনী। লন্ডনের সেøড স্কুল অব ফাইন আর্ট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক পেইন্টিং (চিত্রায়ন) বিভাগের প্রধান খরংধ গরষৎড়ু কর্মশালাটি পরিচালনা করেন। এটা সেøড স্কুল অব ফাইন আর্ট (টঈখ, টক) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের মধ্যে শিল্প শিক্ষা বিনিময় প্রোগ্রাম। যা গবেষণা ও শিক্ষার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব। এর লক্ষ্য হলো দুটি ভিন্ন সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফলপ্রসূ এবং টেকসই সাংস্কৃতিক বিনিময় নির্মাণ। সংস্কৃতির বিকাশে পর্যবেক্ষণ এবং শিল্প শিক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতি উন্নয়ন করা। এর কাজকর্ম ও ফলাফল সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।
No comments