মাস দেড়েকের মধ্যে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো শুরু হবে-সর্বোচ্চ খরচ ৪০ হাজার টাকা
বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে সরকারিভাবে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে মালয়েশিয়ায়। এ প্রক্রিয়ায় লোক পাঠাতে সরকারিভাবে খরচ হবে সবর্ে্বাচ ৪০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা বিমানভাড়া বহন করবে।
এটা কর্মীর বেতন থেকে কিস্তিতে সমন্বয় করা হবে এবং আসার সময়ের বিমানভাড়াও দেবে নিয়োগকর্তা। প্রাথমিকভাবে শ্রমিক নিয়োগ করা হবে পাঁচ বছরের জন্য এবং তা আরো পাঁচ বছর বাড়ানো হতে পারে।
অভিবাসন ব্যয় কোনো অবস্থাতেই কর্মীর তিন মাসের বেতনের বেশি হবে না। মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় ভাষাজ্ঞান ও সেখানকার আইন-কানুনের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেতে আগ্রহীরা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বিএমইটি) ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এ ছাড়া সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায়েও সরকারি তথ্য কেন্দ্র থেকে মাত্র ৮০ টাকায় যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। আগে রেজিস্ট্রেশন করলে আগে যাবেন ভিত্তিতে লোক পাঠানো হবে। সরকারি রেজিস্ট্রেশনের বাইরে কোনো শ্রমিক যেতে পারবেন না এবং দালালের মাধ্যমে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মন্ত্রীর দপ্তরে যৌথ কমিটির বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। ওই সময় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. এস সুব্রামানিয়ামের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও উপস্থিত ছিল।
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় আবারও শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে সে দেশের মানবসম্পদমন্ত্রীর নেতৃত্বে আসা উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুই দিনব্যাপী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উভয় দেশের প্রতিনিধিদল সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কর্মী নিয়োগ ও বাংলাদেশকে উৎস দেশ হিসেবে ঘোষণার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় সরকারিভাবে বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। সরকারিভাবে জনশক্তি রপ্তানিসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের ফ্রেমওয়ার্ক নির্ধারণের বিষয়েও ঐকমত্য পোষণ করা হয় বৈঠকে। আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে মালয়েশিয়ায় উভয় দেশের মন্ত্রীরা চূড়ান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবেন। যৌথ বৈঠকের ড্রাফটিং কমিটি আগামী এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে মালয়েশিয়ায় সফর করে সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করবে। এর আগে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদে সমঝোতা স্মারকটি চূড়ান্ত অনুমোদন করা হবে।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম বলেন, মালয়েশিয়ায় কোনো ভুয়া নিয়োগকর্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিক যাতে যেতে না পারে এ বিষয়টি আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সর্তকতার সঙ্গে দেখবে। তিনি বলেন, তাঁদের দেশেও কিছু কাগজসর্বস্ব রিক্রুটিং এজেন্সিও আছে। প্রকৃত অর্থে তাদের কোনো শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না।
মালয়েশিয়ায় কত লোক প্রাথমিকভাবে যাবে- প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, 'এ মুহূর্তে আমরা বাংলাদেশ থেকে আগে যাওয়া পাঁচ লাখ শ্রমিককে পুনর্বাসন করছি। এ ছাড়া আমাদের দেশের অর্থনীতির চাহিদা অনুসারেই লোক নেওয়া হবে। সংখ্যা উল্লেখ করার সময় আসেনি। বর্তমানে লোক নিয়োগ করা হবে ট্রি প্ল্যানটেশন ও ম্যানুফেকচারিং খাতে।'
অভিবাসন ব্যয় কোনো অবস্থাতেই কর্মীর তিন মাসের বেতনের বেশি হবে না। মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় ভাষাজ্ঞান ও সেখানকার আইন-কানুনের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেতে আগ্রহীরা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বিএমইটি) ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এ ছাড়া সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায়েও সরকারি তথ্য কেন্দ্র থেকে মাত্র ৮০ টাকায় যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। আগে রেজিস্ট্রেশন করলে আগে যাবেন ভিত্তিতে লোক পাঠানো হবে। সরকারি রেজিস্ট্রেশনের বাইরে কোনো শ্রমিক যেতে পারবেন না এবং দালালের মাধ্যমে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মন্ত্রীর দপ্তরে যৌথ কমিটির বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। ওই সময় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. এস সুব্রামানিয়ামের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও উপস্থিত ছিল।
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় আবারও শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে সে দেশের মানবসম্পদমন্ত্রীর নেতৃত্বে আসা উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুই দিনব্যাপী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উভয় দেশের প্রতিনিধিদল সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কর্মী নিয়োগ ও বাংলাদেশকে উৎস দেশ হিসেবে ঘোষণার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় সরকারিভাবে বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। সরকারিভাবে জনশক্তি রপ্তানিসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের ফ্রেমওয়ার্ক নির্ধারণের বিষয়েও ঐকমত্য পোষণ করা হয় বৈঠকে। আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে মালয়েশিয়ায় উভয় দেশের মন্ত্রীরা চূড়ান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবেন। যৌথ বৈঠকের ড্রাফটিং কমিটি আগামী এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে মালয়েশিয়ায় সফর করে সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করবে। এর আগে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদে সমঝোতা স্মারকটি চূড়ান্ত অনুমোদন করা হবে।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম বলেন, মালয়েশিয়ায় কোনো ভুয়া নিয়োগকর্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিক যাতে যেতে না পারে এ বিষয়টি আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সর্তকতার সঙ্গে দেখবে। তিনি বলেন, তাঁদের দেশেও কিছু কাগজসর্বস্ব রিক্রুটিং এজেন্সিও আছে। প্রকৃত অর্থে তাদের কোনো শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না।
মালয়েশিয়ায় কত লোক প্রাথমিকভাবে যাবে- প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, 'এ মুহূর্তে আমরা বাংলাদেশ থেকে আগে যাওয়া পাঁচ লাখ শ্রমিককে পুনর্বাসন করছি। এ ছাড়া আমাদের দেশের অর্থনীতির চাহিদা অনুসারেই লোক নেওয়া হবে। সংখ্যা উল্লেখ করার সময় আসেনি। বর্তমানে লোক নিয়োগ করা হবে ট্রি প্ল্যানটেশন ও ম্যানুফেকচারিং খাতে।'
No comments