বি.সি.এসে কোটা পদ্ধতির পরিবর্তন চাই by মোঃ মাহবুব সাজ্জাদ উল্লাস
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই আমার সশ্রদ্ধ সালাম । দেশের সবচেয়ে বড় একটি ইস্যুতে আপনার সহযোগিতা কামনা করতে যাচ্ছি । বিষয়টি সীমাহীন মুল্যবান হওয়া সত্বেও কেন বিষয়টি আমাদের সরকার বা দেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টিগোচর হচ্ছেনা তা আমার বোধগম্য নয়।
কারণ বিষয়টি পাদ্মা সেতুর মত প্রকল্পের তুলনায় হাজার গুন মহামুল্যবান যার উপর বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ভর করছে। যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সরকারি কর্মক্ষেত্রে যে বিশাল মেধাশূন্যতা দেখা দিবে তা হয়ত হাজার সেতু বানিয়েও পূরণ করা সম্ভব হবেনা।
বিষয়টি হচ্ছে বি.সি.এস পরীক্ষার অসামাঞ্জস্য কোটা পদ্ধতি। সরকারি চাকরিতে ৫৫% কোটার বিপরীতে মাত্র ৪৫% মেধাবীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে । যার নজির বর্তমান পৃথিবীতে বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও নেই । আমার জানা মতে এটা বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থীও বটে । ৫৫% কোটার মধ্যে ৪০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা,৫% নারী কোটা, ৫% উপজাতী কোটা, ৫% জেলা কোটা ।
আমি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শতভাগ সম্মান রেখে বলছি ৪০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা শুধুমাত্র অস্বাভাবিক ই নয়, দেশের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রতি চরম অন্যায়ের বহিঃপ্রকাশও বটে । যাদের হাত ধরে সোনার বাংলা স্বাধীনতা লাভ করেছে আজ তাদের নাম ব্যবহার করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৈষম্যের শিকার করছে ।
১ লাখ ৫ হাজার(ইন্টারনেট ডাটা) মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হতে প্রতি ১০০ জনে ৪০ জন সুযোগ পাচ্ছে যেখানে প্রায় ১৫ কোটি ২০ লাখ সাধারণ মানুষ থেকে সুযোগ পাচ্ছে মাত্র ৪৫ জন । এ বিশাল বৈষম্য কোন মানুষ সুস্থ মাথায় কল্পনাও করতে পারেনা । যে বৈষম্যের কারণে ১৯৭১ সালে জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই বাংলার সন্তানরা কেন বৈষম্যের শিকার হবে যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং জাতির পিতা্র সুযোগ্য কন্যা । এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা কোনোক্রমেই ৫% র বেশী হওয়া উচিৎ নয় । মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের জন্য ৫% কোটা -ই তো বিশাল সুযোগ দেওয়া । তাতেই সর্বোমোট কোটা ২০% হয়ে যায় । তাছাড়া এমন অনেকেই আছেন যারা মুক্তিযুদ্ধ না করেও কৌশলে সার্টিফিকেট নিয়েছেন । তার উপর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২ বছর বেশী অর্থ্যাৎ ৩২ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরি নেবার সুজোগ তো থাকছেই । এই সুজোগ বাড়িয়ে ৩৫ বছর করলেও সমস্যা হবেনা যদি মেধাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় ।
এমনও অনেক দেখা যাচ্ছে একই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার থেকে চার-পাঁচ জন ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ব্যবহার করে সহজেই চাকরির সুযোগ পাচ্ছে যেখনে একটি সাধারণ পরিবার থেকে একজনও যোগ্যতা থাকা সত্বেও চাকরির সুজোগ পাচ্ছেনা । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে আপনাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতি ঘরে ঘরে অন্তত একজনকে চাকরি দেবার কথা বলা আছে । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ৪০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকার কারণে বর্তমান তরুণ সমাজের মাঝে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের প্রতি এক প্রকার চাপা ক্ষোভ এবং অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা তরুণদের আর্দশ হওয়া উচিৎ । এখানে দোষী তরুণরাও নয়, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারও নয়, মূলহোতা যারা কিছু না ভেবেই এ পদ্ধতি চালু করেছেন । ১৯৭১ সালের আগে জন্ম গ্রহণ করলে এ যুগের তরুণরাও হয়তো ঘরে বসে থাকতো না । তাহলে কি তাদের দোষ এটাই যে সৃষ্টিকর্তা ১৯৭১ –র আগে তাদের জন্ম দেন নাই ? জন্মের পর থেকেই প্রতিটি মানুষ দেশকে মা বলে জানে । আমরা বিশ্বাস করিনা মা তার নিজের সন্তান্ দের মাঝে বিন্দুমাত্র বৈষম্য করতে পারে । মায়ের চোখে সব সন্তান-ই সমান হওয়াই উচিৎ ।
যার ফলে মেধাবীরা নিজের দেশ-এ অবহেলিত হয়ে পারি জমাচ্ছে বিদেশে । যে মেধা দেশের অগ্রগতিতে ব্যবহার হতে পারত তার সুফল পাচ্ছে আজ বিদেশিরা । দেশের বেশীর ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা এখন বিদেশে পাড়ি জমানো যে ব্যর্থতা অনেকটা সরকার গুলোর উপর-ই বর্তায় ।
যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সরকারি কর্মক্ষেএে যে বিশাল মেধা শূন্যতা দেখা দিবে তা হয়ত অনেক কিছুর বিনিময়েও আমরা পূরণ করতে পারবো না । দেশ অন্তত ২০ বছর পিছিয়ে যাবে অন্যদের চেয়ে ।
কারণ অল্প মেধাবীদের দিয়ে দেশ ক্ষুরিয়ে ক্ষুরিয়ে চলতে তো পারবে কিন্তু উন্নত দেশ গুলোর মতো দৌড়াতে পারবে না কখনোই ।
মোঃ মাহবুব সাজ্জাদ উল্লাস, ঢাকায় বি.এস.সি (তরিৎ প্রকৌশল)চতুর্থ বর্ষের অধ্যয়নরত শিক্ষাথী।
বিষয়টি হচ্ছে বি.সি.এস পরীক্ষার অসামাঞ্জস্য কোটা পদ্ধতি। সরকারি চাকরিতে ৫৫% কোটার বিপরীতে মাত্র ৪৫% মেধাবীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে । যার নজির বর্তমান পৃথিবীতে বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও নেই । আমার জানা মতে এটা বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থীও বটে । ৫৫% কোটার মধ্যে ৪০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা,৫% নারী কোটা, ৫% উপজাতী কোটা, ৫% জেলা কোটা ।
আমি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শতভাগ সম্মান রেখে বলছি ৪০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা শুধুমাত্র অস্বাভাবিক ই নয়, দেশের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রতি চরম অন্যায়ের বহিঃপ্রকাশও বটে । যাদের হাত ধরে সোনার বাংলা স্বাধীনতা লাভ করেছে আজ তাদের নাম ব্যবহার করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৈষম্যের শিকার করছে ।
১ লাখ ৫ হাজার(ইন্টারনেট ডাটা) মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হতে প্রতি ১০০ জনে ৪০ জন সুযোগ পাচ্ছে যেখানে প্রায় ১৫ কোটি ২০ লাখ সাধারণ মানুষ থেকে সুযোগ পাচ্ছে মাত্র ৪৫ জন । এ বিশাল বৈষম্য কোন মানুষ সুস্থ মাথায় কল্পনাও করতে পারেনা । যে বৈষম্যের কারণে ১৯৭১ সালে জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই বাংলার সন্তানরা কেন বৈষম্যের শিকার হবে যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং জাতির পিতা্র সুযোগ্য কন্যা । এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা কোনোক্রমেই ৫% র বেশী হওয়া উচিৎ নয় । মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের জন্য ৫% কোটা -ই তো বিশাল সুযোগ দেওয়া । তাতেই সর্বোমোট কোটা ২০% হয়ে যায় । তাছাড়া এমন অনেকেই আছেন যারা মুক্তিযুদ্ধ না করেও কৌশলে সার্টিফিকেট নিয়েছেন । তার উপর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২ বছর বেশী অর্থ্যাৎ ৩২ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরি নেবার সুজোগ তো থাকছেই । এই সুজোগ বাড়িয়ে ৩৫ বছর করলেও সমস্যা হবেনা যদি মেধাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় ।
এমনও অনেক দেখা যাচ্ছে একই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার থেকে চার-পাঁচ জন ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ব্যবহার করে সহজেই চাকরির সুযোগ পাচ্ছে যেখনে একটি সাধারণ পরিবার থেকে একজনও যোগ্যতা থাকা সত্বেও চাকরির সুজোগ পাচ্ছেনা । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে আপনাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতি ঘরে ঘরে অন্তত একজনকে চাকরি দেবার কথা বলা আছে । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ৪০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকার কারণে বর্তমান তরুণ সমাজের মাঝে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের প্রতি এক প্রকার চাপা ক্ষোভ এবং অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা তরুণদের আর্দশ হওয়া উচিৎ । এখানে দোষী তরুণরাও নয়, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারও নয়, মূলহোতা যারা কিছু না ভেবেই এ পদ্ধতি চালু করেছেন । ১৯৭১ সালের আগে জন্ম গ্রহণ করলে এ যুগের তরুণরাও হয়তো ঘরে বসে থাকতো না । তাহলে কি তাদের দোষ এটাই যে সৃষ্টিকর্তা ১৯৭১ –র আগে তাদের জন্ম দেন নাই ? জন্মের পর থেকেই প্রতিটি মানুষ দেশকে মা বলে জানে । আমরা বিশ্বাস করিনা মা তার নিজের সন্তান্ দের মাঝে বিন্দুমাত্র বৈষম্য করতে পারে । মায়ের চোখে সব সন্তান-ই সমান হওয়াই উচিৎ ।
যার ফলে মেধাবীরা নিজের দেশ-এ অবহেলিত হয়ে পারি জমাচ্ছে বিদেশে । যে মেধা দেশের অগ্রগতিতে ব্যবহার হতে পারত তার সুফল পাচ্ছে আজ বিদেশিরা । দেশের বেশীর ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা এখন বিদেশে পাড়ি জমানো যে ব্যর্থতা অনেকটা সরকার গুলোর উপর-ই বর্তায় ।
যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সরকারি কর্মক্ষেএে যে বিশাল মেধা শূন্যতা দেখা দিবে তা হয়ত অনেক কিছুর বিনিময়েও আমরা পূরণ করতে পারবো না । দেশ অন্তত ২০ বছর পিছিয়ে যাবে অন্যদের চেয়ে ।
কারণ অল্প মেধাবীদের দিয়ে দেশ ক্ষুরিয়ে ক্ষুরিয়ে চলতে তো পারবে কিন্তু উন্নত দেশ গুলোর মতো দৌড়াতে পারবে না কখনোই ।
মোঃ মাহবুব সাজ্জাদ উল্লাস, ঢাকায় বি.এস.সি (তরিৎ প্রকৌশল)চতুর্থ বর্ষের অধ্যয়নরত শিক্ষাথী।
No comments