মহাজোটে বিদ্রোহ ঠেকাতেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ ॥ ফখরুল
মহাজোটের মধ্যকার বিদ্রোহ প্রশমন করার জন্যই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়েছে বলে মনে করছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলটির মতে, এটি হচ্ছে একটি সান্ত¡না পুরস্কার, যাতে মহাজোটে কোন বিদ্রোহ না হয়। এ সরকারের সময় ফুরিয়ে আসছে। তাদের পতন আসন্ন। এখন আর এ্যান্টিবায়োটিক ও কোরামিন দিয়ে শেষ রক্ষা হবে না।
কিছুদিনের মধ্যেই নৌকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ডুব দেবেন। সঙ্গে অন্যদেরও ডোবাতে চান বলেই মন্ত্রিসভায় তাঁদের টেনে নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে কথা বলেন। সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিয়াউর রহমানের কবরে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মির্জা ফখরুল। ছাত্রদলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, সরকার নিজেকে এ্যান্টিবায়োটিক ও কোরামিন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা করছে। সব দিক থেকে সরকারের যে দুরবস্থা, এতে কোন এ্যান্টিবায়োটিক ও কোরামিনেই কাজ হবে না। এ সরকার জনগণের আস্থা হারিয়েছে। তারা মনে করছে, এর মাধ্যমে জনসমর্থন ফিরিয়ে আনতে পারবে। কিন্তু এটি ভুল। এতে কোন কাজ হবে না। মহাজোট সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের মধ্যে মহাজোটের শরিকদের কতটুকু ভিত্তি আছে, তা আমরা জানি। মহাজোট থেকে যদি এখন কেউ চলে আসে, তাতে আমরা বিস্মিত হব না। আগাম নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগাম নির্বাচনের অপচেষ্টা সরকার করতে পারে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হবে না। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া দেশের মানুষ কোন নির্বাচন মেনে নেবে না।
ছাত্রদলের গঠিত কমিটির সভাপতি আবুদল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মহিদুল হাসান হিরুসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মির্জা আব্বাস, ড. শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, শফিউল বারি বাবু, নিলুফার চৌধুরী মনি ও হেলেন জেরিন খান।
ড. খন্দকার মোশাররফ প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেছেন, কিছুদিনের মধ্যেই নৌকা নিয়ে ডুববেন তিনি। সঙ্গে অন্যদেরও ডোবাতে চান বলেই মন্ত্রিসভায় তাঁদের টেনে নিচ্ছেন।
সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘হলমার্ক কেলেঙ্কারি : অস্থির শিক্ষাঙ্গনÑ বাকশালের প্রতিধ্বনি?’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকারবিরোধী মুখ বন্ধ করতেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, শুধুমাত্র যেসব ব্যক্তি দুর্নীতির বিরুদ্ধে উঁচু গলায় কথা বলেছে তাদের মুখ বন্ধ করতেই কৌশল হিসেবে সরকার তাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিচ্ছে। এতে মুখ বন্ধ হলেও আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। সরকারের সময় শেষ। তাঁদের ঘরের খুঁটি হেলে গেছে। আর এই হেলে যাওয়া খুঁটি ঠেকাতে নতুন করে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ।
তিনি বলেন, সরকারের গায়ে নানা ক্ষত। এসব ক্ষতস্থানে মলম লাগাতেই এই সম্প্রসারণ। তোফায়েল, মেনন ও ইনুকেও সরকারের ব্যর্থতার ভাগ দিতে এটি একটি কৌশল। ফোরামের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ওসমান আলীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান, হামিদুর রহমান আজাদ এমপি ও শাম্মী আখতার এমপি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে কথা বলেন। সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিয়াউর রহমানের কবরে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মির্জা ফখরুল। ছাত্রদলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, সরকার নিজেকে এ্যান্টিবায়োটিক ও কোরামিন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা করছে। সব দিক থেকে সরকারের যে দুরবস্থা, এতে কোন এ্যান্টিবায়োটিক ও কোরামিনেই কাজ হবে না। এ সরকার জনগণের আস্থা হারিয়েছে। তারা মনে করছে, এর মাধ্যমে জনসমর্থন ফিরিয়ে আনতে পারবে। কিন্তু এটি ভুল। এতে কোন কাজ হবে না। মহাজোট সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের মধ্যে মহাজোটের শরিকদের কতটুকু ভিত্তি আছে, তা আমরা জানি। মহাজোট থেকে যদি এখন কেউ চলে আসে, তাতে আমরা বিস্মিত হব না। আগাম নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগাম নির্বাচনের অপচেষ্টা সরকার করতে পারে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হবে না। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া দেশের মানুষ কোন নির্বাচন মেনে নেবে না।
ছাত্রদলের গঠিত কমিটির সভাপতি আবুদল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মহিদুল হাসান হিরুসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মির্জা আব্বাস, ড. শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, শফিউল বারি বাবু, নিলুফার চৌধুরী মনি ও হেলেন জেরিন খান।
ড. খন্দকার মোশাররফ প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেছেন, কিছুদিনের মধ্যেই নৌকা নিয়ে ডুববেন তিনি। সঙ্গে অন্যদেরও ডোবাতে চান বলেই মন্ত্রিসভায় তাঁদের টেনে নিচ্ছেন।
সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘হলমার্ক কেলেঙ্কারি : অস্থির শিক্ষাঙ্গনÑ বাকশালের প্রতিধ্বনি?’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকারবিরোধী মুখ বন্ধ করতেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, শুধুমাত্র যেসব ব্যক্তি দুর্নীতির বিরুদ্ধে উঁচু গলায় কথা বলেছে তাদের মুখ বন্ধ করতেই কৌশল হিসেবে সরকার তাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিচ্ছে। এতে মুখ বন্ধ হলেও আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। সরকারের সময় শেষ। তাঁদের ঘরের খুঁটি হেলে গেছে। আর এই হেলে যাওয়া খুঁটি ঠেকাতে নতুন করে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ।
তিনি বলেন, সরকারের গায়ে নানা ক্ষত। এসব ক্ষতস্থানে মলম লাগাতেই এই সম্প্রসারণ। তোফায়েল, মেনন ও ইনুকেও সরকারের ব্যর্থতার ভাগ দিতে এটি একটি কৌশল। ফোরামের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ওসমান আলীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান, হামিদুর রহমান আজাদ এমপি ও শাম্মী আখতার এমপি।
No comments