ভাড়া করা উড়োজাহাজ ভেগে যাওয়ায় তোলপাড়, মুখ খোলেনি বিমান by আজাদ সুলায়মান
মাস্কটে যাত্রী ফেলে রেখে বিমানের ভাড়া করা উড়োজাহাজ ৭৪৭ আকস্মিক ভেগে যাওয়ায় দেশ-বিদেশে তোলপাড় হচ্ছে। এ ঘটনায় বিমানের ভেতরে আলোড়ন সৃষ্টি হলেও এখনও মুখ খুলছে না কেউ। এমনকি বিমান থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন বক্তব্য বা ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
অবাধ তথ্য প্রবাহের ডিজিটাল যুগেও বিমান এ ঘটনা জাতির কাছে গোপন রাখার নীতি অবলম্বন করেছে। বিমান বোর্ডের শীর্ষ ব্যক্তিদের অদক্ষতার জ্বলন্ত নিদর্শন এ ঘটনা ধামাচাপা দেবার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি উক্ত উড়োজাহাজ কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান। বৃহস্পতিবার বলাকা ভবনে গিয়ে দেখা যায় সারাদিনই সেখানে এ নিয়ে বর্তমান অযোগ্য পরিচালনা পর্ষদের কঠোর সমালোচনা করতে। এদিকে গতকাল মাস্কটে আটকেপড়া যাত্রীদের ফিরিয়ে আনার কথা ভাড়া করা থাকলেও গত রাত পর্যন্ত তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সকালে একটি ডিসি-১০ যাবার কথা থাকলেও সেটা রাত ৯টায় ঢাকা থেকে ছাড়ার সিডিউল ছিল। আজ শুক্রবার বেলা এগারোটায় সেটা মাস্কট থেকে তাদের নিয়ে ঢাকা ফিরবে বলে জানান ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমদ।
জানা যায়, এ ঘটনায় বিমানের প্রায় ২ কোটি টাকার মতো আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। এ সব ক্ষতির মধ্যে রয়েছে আইসল্যান্ডভিত্তিক ৭৪৭ উড়োজাহাজটির বিপরীতে বিমানের নিরাপত্তা জামানত ছিল প্রায় ১ কোটি টাকা। এ টাকা না দিয়েই তারা চলে গেছে। এ ছাড়া মাস্কটে আটকেপড়া ২২০ যাত্রীকে সেখানকার হোটেলে ২ দিন রাখা বাবদ বিমানকে প্রায় ৭০ হাজার ডলার খরচ করতে হয়েছে। আরও মাসুল দিতে হয়েছে ঢাকা থেকে একটি ডিসি-১০ এর শতাধিক আসন খালি যাওয়ায়।
মাস্কট থেকে বিমানের এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানান, পলাতক উড়োজাহাজটি সেখান থেকে সরাসরি ইয়েমেন চলে যায়। সেখান থেকে পরে নিজ দেশ আইসল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়। তবে বুধবার যেভাŸে সবাইকে বোকা বানিয়ে চম্পট দিয়েছে তাতে সেখানেও তোলপাড় হচ্ছে।
ঢাকায় ফেরার তখন সব কিছু প্রস্তুত ছিল। ফ্লাইটের বাংলাাদেশী ১৪ জন কেবিন ক্রু উড়োজাহাজে আরোহনও করেছেন। আর ঠিক তখনই বিমানের ভাড়া করা উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৪৭-এর ক্যাপ্টেন জানালেন, তাঁরা ঢাকা যাবেন না। উড়োজাহাজ নিয়ে তারা আইসল্যান্ড চলে যাবেন। বোয়িং ৭৪৭ ক্যাপ্টেনের এই আকস্মিক ঘোষণায় স্তম্ভিত বিমানের কেবিন ক্রু ও যাত্রীরা। ক্যাপ্টেন জানালেন, তাঁর মালিকানা প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে বোয়িং ৭৪৭ ঢাকা যাবে না। এ অবস্থায় উড়োজাহাজ থেকে বাংলাদেশী কেবিন ক্রুদের নামিয়ে দেয়া হলো। যাত্রীরা অগত্যা মাস্কটে আটকা পড়েন। এ ব্যাপারে বিমানের স্টেশন ম্যানেজারসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেও কোন সদুত্তর পায়নি তারা।
বিমানের শিডিউল অনুযায়ী, মাস্কট থেকে বোয়িং ৭৪৭ ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু সবকিছু ভেস্তে গেল বোয়িং ক্যাপ্টেনের ঘোষণা শুনে। অনিশ্চয়তায় পড়ে সেখানেই বিক্ষোভ করতে থাকে যাত্রীরা। বোয়িং ৭৪৭-এর আকিস্মক বিমান ছেড়ে চলে যাওয়ায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট শিডিউলও ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। কারণ, সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে এই উড়োজাহাজ দিয়ে বিমানের রুট পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিমানের এক পরিচালক জানান, পালিয়ে যাওয়া জাহাজটি দিয়ে হজেরও সিডিউল ছিল। এতে হাজীদের চারটি সিডিউল ছিল। দুটো ডেডিকেটেড, দুটো সিডিউল। এতে প্রায় দু’হাজার হজযাত্রী নেয়ার কথা ছিল। এ ব্যাপারে হাব-এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব আলহাজ মাওলানা ইয়াকুব আলি শরাফতি গত রাতে বলেন, এমনিতেই এবার থার্ড ক্যারিয়ার না থাকায় লক্ষাধিক হজযাত্রী বহন করার বিষয়টি ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। বুধবার এমন কা- ঘটার পরও বিমানের হুঁশ হচ্ছে না। এ জাহাজ দিয়ে যেসব হাজীযাত্রী বহন করার কথা ছিল তাদের নিয়ে এখন শঙ্কা আরও বেড়ে গেল। এখনও সময় আছে থার্ড ক্যারিয়ারকে সুযোগ দেবার।
বিমানের সঙ্গে ভাড়ার টাকা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় তারা কাউকে কিছু জানিয়ে চলে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী বিমান প্রতি মাসে আড়াই শ’ ঘণ্টার কম সময় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করলেও ভাড়া প্রদানকারী কোম্পানিকে পুরো ঘণ্টার টাকা দিতে হবে। আর বিমান বলছে, বিষয়টি সঠিক নয়।
বিমানের এক বৈমানিক বলেন, বিমানের সঙ্গে বনিবনা হোক কিংবা না হোক যাত্রীরা বোর্ডিং পাস নেয়ার পর কোন ভাড়া করা উড়োজাহাজের এভাবে চলে যাওয়ার মতো ঘটনা বিশ্বের কোন এয়ারলাইন্সে ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।
বিমানের অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, বোয়িং ৭৪৭ উড়োজাহাজটি পুনরায় ভাড়া নেয়ার কথা ছিল বিমানের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। আর এ কারণেই লিজ প্রদানকারী কোম্পানি বিমানকে না বলে চলে গেছে। কারণ সামনে হজের মৌসুম। সারা বিশ্বেই এ সময়টাতে উড়োজাহাজের চাহিদা থাকে। এই সুযোগ কাজে লাগাতেই তারা এ কাজ করে থাকতে পারে।
জানা যায়, চলে যাওয়া উড়োজাহাজের বাংলাদেশের স্থানীয় এজেন্ট বা কোঅর্ডিনেটর এ ঘটনা আগে থেকেই জানত। এতে তাদের ইন্ধন থাকতে পারে। আর এর দায়দায়িত্ব তারাও এড়াতে পারে না। এজন্য তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে। আইসল্যান্ডভিক্তিক এ কোম্পানির লোকাল প্রতিনিধি এবার হজের দরপত্রে অংশ নিয়ে ব্যর্থ হবার ক্ষোভ থেকেও পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে বলে জানান এক পরিচালক।
জানা যায়, এ ঘটনায় বিমানের প্রায় ২ কোটি টাকার মতো আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। এ সব ক্ষতির মধ্যে রয়েছে আইসল্যান্ডভিত্তিক ৭৪৭ উড়োজাহাজটির বিপরীতে বিমানের নিরাপত্তা জামানত ছিল প্রায় ১ কোটি টাকা। এ টাকা না দিয়েই তারা চলে গেছে। এ ছাড়া মাস্কটে আটকেপড়া ২২০ যাত্রীকে সেখানকার হোটেলে ২ দিন রাখা বাবদ বিমানকে প্রায় ৭০ হাজার ডলার খরচ করতে হয়েছে। আরও মাসুল দিতে হয়েছে ঢাকা থেকে একটি ডিসি-১০ এর শতাধিক আসন খালি যাওয়ায়।
মাস্কট থেকে বিমানের এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানান, পলাতক উড়োজাহাজটি সেখান থেকে সরাসরি ইয়েমেন চলে যায়। সেখান থেকে পরে নিজ দেশ আইসল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়। তবে বুধবার যেভাŸে সবাইকে বোকা বানিয়ে চম্পট দিয়েছে তাতে সেখানেও তোলপাড় হচ্ছে।
ঢাকায় ফেরার তখন সব কিছু প্রস্তুত ছিল। ফ্লাইটের বাংলাাদেশী ১৪ জন কেবিন ক্রু উড়োজাহাজে আরোহনও করেছেন। আর ঠিক তখনই বিমানের ভাড়া করা উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৪৭-এর ক্যাপ্টেন জানালেন, তাঁরা ঢাকা যাবেন না। উড়োজাহাজ নিয়ে তারা আইসল্যান্ড চলে যাবেন। বোয়িং ৭৪৭ ক্যাপ্টেনের এই আকস্মিক ঘোষণায় স্তম্ভিত বিমানের কেবিন ক্রু ও যাত্রীরা। ক্যাপ্টেন জানালেন, তাঁর মালিকানা প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে বোয়িং ৭৪৭ ঢাকা যাবে না। এ অবস্থায় উড়োজাহাজ থেকে বাংলাদেশী কেবিন ক্রুদের নামিয়ে দেয়া হলো। যাত্রীরা অগত্যা মাস্কটে আটকা পড়েন। এ ব্যাপারে বিমানের স্টেশন ম্যানেজারসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেও কোন সদুত্তর পায়নি তারা।
বিমানের শিডিউল অনুযায়ী, মাস্কট থেকে বোয়িং ৭৪৭ ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু সবকিছু ভেস্তে গেল বোয়িং ক্যাপ্টেনের ঘোষণা শুনে। অনিশ্চয়তায় পড়ে সেখানেই বিক্ষোভ করতে থাকে যাত্রীরা। বোয়িং ৭৪৭-এর আকিস্মক বিমান ছেড়ে চলে যাওয়ায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট শিডিউলও ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। কারণ, সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে এই উড়োজাহাজ দিয়ে বিমানের রুট পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিমানের এক পরিচালক জানান, পালিয়ে যাওয়া জাহাজটি দিয়ে হজেরও সিডিউল ছিল। এতে হাজীদের চারটি সিডিউল ছিল। দুটো ডেডিকেটেড, দুটো সিডিউল। এতে প্রায় দু’হাজার হজযাত্রী নেয়ার কথা ছিল। এ ব্যাপারে হাব-এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব আলহাজ মাওলানা ইয়াকুব আলি শরাফতি গত রাতে বলেন, এমনিতেই এবার থার্ড ক্যারিয়ার না থাকায় লক্ষাধিক হজযাত্রী বহন করার বিষয়টি ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। বুধবার এমন কা- ঘটার পরও বিমানের হুঁশ হচ্ছে না। এ জাহাজ দিয়ে যেসব হাজীযাত্রী বহন করার কথা ছিল তাদের নিয়ে এখন শঙ্কা আরও বেড়ে গেল। এখনও সময় আছে থার্ড ক্যারিয়ারকে সুযোগ দেবার।
বিমানের সঙ্গে ভাড়ার টাকা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় তারা কাউকে কিছু জানিয়ে চলে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী বিমান প্রতি মাসে আড়াই শ’ ঘণ্টার কম সময় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করলেও ভাড়া প্রদানকারী কোম্পানিকে পুরো ঘণ্টার টাকা দিতে হবে। আর বিমান বলছে, বিষয়টি সঠিক নয়।
বিমানের এক বৈমানিক বলেন, বিমানের সঙ্গে বনিবনা হোক কিংবা না হোক যাত্রীরা বোর্ডিং পাস নেয়ার পর কোন ভাড়া করা উড়োজাহাজের এভাবে চলে যাওয়ার মতো ঘটনা বিশ্বের কোন এয়ারলাইন্সে ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।
বিমানের অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, বোয়িং ৭৪৭ উড়োজাহাজটি পুনরায় ভাড়া নেয়ার কথা ছিল বিমানের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। আর এ কারণেই লিজ প্রদানকারী কোম্পানি বিমানকে না বলে চলে গেছে। কারণ সামনে হজের মৌসুম। সারা বিশ্বেই এ সময়টাতে উড়োজাহাজের চাহিদা থাকে। এই সুযোগ কাজে লাগাতেই তারা এ কাজ করে থাকতে পারে।
জানা যায়, চলে যাওয়া উড়োজাহাজের বাংলাদেশের স্থানীয় এজেন্ট বা কোঅর্ডিনেটর এ ঘটনা আগে থেকেই জানত। এতে তাদের ইন্ধন থাকতে পারে। আর এর দায়দায়িত্ব তারাও এড়াতে পারে না। এজন্য তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে। আইসল্যান্ডভিক্তিক এ কোম্পানির লোকাল প্রতিনিধি এবার হজের দরপত্রে অংশ নিয়ে ব্যর্থ হবার ক্ষোভ থেকেও পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে বলে জানান এক পরিচালক।
No comments