অ্যাসাঞ্জকে কয়েক বছর এভাবে থাকতে হতে পারে: যুক্তরাজ্য- অ্যাসাঞ্জকে ধরতে মরিয়া যুক্তরাজ্য
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোপন তারবার্তা ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসেই আছেন। ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল শুক্রবারও ওই দূতাবাস ঘিরে রাখে।
অ্যাসাঞ্জকে কয়েক বছর এই অবস্থায় থাকতে হতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে ইকুয়েডরে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি ফিলিপ বার্টন বলেছেন, ‘লন্ডন পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করতে অঙ্গীকারবদ্ধ’।
ইকুয়েডর গত বৃহস্পতিবার অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। দেশটির এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ যুক্তরাজ্য অ্যাসাঞ্জের ইকুয়েডর যাওয়া ঠেকাতে দূতাবাসের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করে। প্রয়োজনে দূতাবাসের ভেতরে প্রবেশ করে তাঁকে গ্রেপ্তারের হুমকিও দেওয়া হয়।
সুইডেনে প্রত্যর্পণ এড়াতে প্রায় দুই মাস আগে লন্ডনের ওই ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা আছে।
যুক্তরাজ্য অ্যাসাঞ্জকে কোনোভাবেই ইকুয়েডরে যেতে দিতে রাজি নয়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘যুক্তরাজ্য নিজের আইনে চলবে। অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনের প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে আমাদের আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। তাই তাঁর ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শুধু ইকুয়েডরের নয়, কোনো সরকারের মধ্যে কোনো ধরনের সংশয় রাখা উচিত হবে না।’
দূতাবাসের বাইরে পুলিশের অবস্থান নেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে উইকিলিকস। একে অ্যাসাঞ্জকে ‘বন্দী রাখার কৌশল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উইকিলিকসের মুখপাত্র ক্রিশ্চিন রাফসন বলেন, যুক্তরাজ্য অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করলে বিশ্বজুড়ে লন্ডনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
এদিকে অ্যাসাঞ্জের সমর্থকেরা রাতভর দূতাবাসের বাইরে অবস্থান করেন। সমর্থকদের আশঙ্কা, অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনে প্রত্যর্পণ করা হলে সুইডেন তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে। এএফপি, বিবিসি।
ইকুয়েডর গত বৃহস্পতিবার অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। দেশটির এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ যুক্তরাজ্য অ্যাসাঞ্জের ইকুয়েডর যাওয়া ঠেকাতে দূতাবাসের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করে। প্রয়োজনে দূতাবাসের ভেতরে প্রবেশ করে তাঁকে গ্রেপ্তারের হুমকিও দেওয়া হয়।
সুইডেনে প্রত্যর্পণ এড়াতে প্রায় দুই মাস আগে লন্ডনের ওই ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা আছে।
যুক্তরাজ্য অ্যাসাঞ্জকে কোনোভাবেই ইকুয়েডরে যেতে দিতে রাজি নয়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘যুক্তরাজ্য নিজের আইনে চলবে। অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনের প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে আমাদের আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। তাই তাঁর ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শুধু ইকুয়েডরের নয়, কোনো সরকারের মধ্যে কোনো ধরনের সংশয় রাখা উচিত হবে না।’
দূতাবাসের বাইরে পুলিশের অবস্থান নেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে উইকিলিকস। একে অ্যাসাঞ্জকে ‘বন্দী রাখার কৌশল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উইকিলিকসের মুখপাত্র ক্রিশ্চিন রাফসন বলেন, যুক্তরাজ্য অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করলে বিশ্বজুড়ে লন্ডনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
এদিকে অ্যাসাঞ্জের সমর্থকেরা রাতভর দূতাবাসের বাইরে অবস্থান করেন। সমর্থকদের আশঙ্কা, অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনে প্রত্যর্পণ করা হলে সুইডেন তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে। এএফপি, বিবিসি।
No comments