পাকিস্তানের শাসকরা বিদেশীদের চরঃ কাদির খান
পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক আবদুল কাদির খান বলেছেন, দেশটির অভিজাত শ্রেণী মার্কিন নীতির অনুসারী, আর তাদের আচরণও বিদেশীদের অনুচরের মতো। এ ছাড়াও অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ শাসকরা সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের সর্বনাশ করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
‘বদ স্বভাব কখনও মরে না’ শীর্ষক এক নিবন্ধে এইসব মতামত তুলে ধরেছেন দেশটির জাতীয় বীর হিসেবে সম্মানিত আবদুল কাদির খান। নিবন্ধটি নিউজ ইন্টারন্যাশনালে প্রকাশিত হয়েছে।
পাকিস্তানের এলিট বা অভিজাত শ্রেণীর সমালোচনা করে তিনি লিখেছেন, “ তাদের কেউ কেউ দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী, কারো কারো সন্তান ও স্ত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। পাকিস্তানের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে মার্কিন সরকারের প্রতি সহানুভুতিশীল (অথবা খাস অনুচর) ব্যক্তি।”
খান লিখেছেন, “ যখনই স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতির কথা ওঠে, তারা হইচই শুরু করে দেন এবং এমন ভাব দেখান যেন আকাশ ভেঙে পড়ছে। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ শাসকরা সার্বিক অর্থেই সব ক্ষেত্রে দেশটিকে রসাতলে নিয়ে গেছেন এবং কোনো প্রতিষ্ঠানই রক্ষা পায়নি।”
“পাকিস্তানের শাসকরা মদ্যপ ব্যক্তির মতোই ক্ষমতার আসক্ত হয়ে পড়েছেন। মাতাল ব্যক্তিরা বাস্তবতাবোধ, নমনীয়তা বা আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও সরলভাবে চিন্তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তেমনি সম্পদও বয়ে আনে দম্ভ, অনুদারতা ও এমনকি নৃশংসতা। ইসলাম দম্ভকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে” - মন্তব্য করেন পাক পরমাণু বিজ্ঞানী ।
খান আরো লিখেছেন, “ক্ষমতার লোভ মানুষকে দয়াহীন, অসংযমী ও অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাহীন করে তোলে। এই লোভ মদ বা মাদক দ্রব্যের চেয়েও মানুষকে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত করে।”
পাক প্রেসিডেন্ট জারদারির দুর্নীতির বিতর্ক নিয়ে দেশটির বিচার বিভাগ ও ক্ষমতাসীন সরকারের দ্বন্দ্বের দিকে ইঙ্গিত করে আবদুল কাদির খান লিখেছেন, “পাকিস্তানের রাবারস্ট্যাম্প জাতীয় সংসদ জনস্বার্থ রক্ষার দোহাই দিয়ে সংবিধানবিরোধী আইন পাশ করছে, বাস্তবে কেবল শাসকদের স্বার্থ রক্ষাই এর লক্ষ্য। শাসক দল বলছে, বিচার বিভাগ তার ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করছে, অথচ বিচার বিভাগ সংবিধানের চেতনা ও জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই তারা এ অভিযোগ তুলছে।”
“এটা খুবই ঘৃণ্য ব্যাপার যে, ক্ষমতাসীনরা নিজেদের অসততা নিয়ন্ত্রণের কথা না বলে সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে এর ক্ষমতা সীমিত করার দাবি জানাচ্ছে। আদালত তাই করছে যা তার করা দরকার।”- লিখেছেন খান।
তিনি আরো লিখেছেন, “ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত গণতন্ত্র পাকিস্তানে কাজ করছে না। এ ধরণের গণতন্ত্র কেবল সেসব দেশেই সুফল বয়ে আনে যেসব দেশের জনগণ শিক্ষিত, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরিপক্ক এবং ভোটের পবিত্রতা ও গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন। অথচ পাকিস্তানের শতকরা ৮০ ভাগ ভোটই দেয়া হয় সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার আওতায়। আর যারা নির্বাচিত হন তারা সততা, যোগ্যতা, শিক্ষা ও কারিগরি যোগ্যতার অধিকারী নন।”
পাকিস্তানের এলিট বা অভিজাত শ্রেণীর সমালোচনা করে তিনি লিখেছেন, “ তাদের কেউ কেউ দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী, কারো কারো সন্তান ও স্ত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। পাকিস্তানের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে মার্কিন সরকারের প্রতি সহানুভুতিশীল (অথবা খাস অনুচর) ব্যক্তি।”
খান লিখেছেন, “ যখনই স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতির কথা ওঠে, তারা হইচই শুরু করে দেন এবং এমন ভাব দেখান যেন আকাশ ভেঙে পড়ছে। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ শাসকরা সার্বিক অর্থেই সব ক্ষেত্রে দেশটিকে রসাতলে নিয়ে গেছেন এবং কোনো প্রতিষ্ঠানই রক্ষা পায়নি।”
“পাকিস্তানের শাসকরা মদ্যপ ব্যক্তির মতোই ক্ষমতার আসক্ত হয়ে পড়েছেন। মাতাল ব্যক্তিরা বাস্তবতাবোধ, নমনীয়তা বা আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও সরলভাবে চিন্তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তেমনি সম্পদও বয়ে আনে দম্ভ, অনুদারতা ও এমনকি নৃশংসতা। ইসলাম দম্ভকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে” - মন্তব্য করেন পাক পরমাণু বিজ্ঞানী ।
খান আরো লিখেছেন, “ক্ষমতার লোভ মানুষকে দয়াহীন, অসংযমী ও অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাহীন করে তোলে। এই লোভ মদ বা মাদক দ্রব্যের চেয়েও মানুষকে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত করে।”
পাক প্রেসিডেন্ট জারদারির দুর্নীতির বিতর্ক নিয়ে দেশটির বিচার বিভাগ ও ক্ষমতাসীন সরকারের দ্বন্দ্বের দিকে ইঙ্গিত করে আবদুল কাদির খান লিখেছেন, “পাকিস্তানের রাবারস্ট্যাম্প জাতীয় সংসদ জনস্বার্থ রক্ষার দোহাই দিয়ে সংবিধানবিরোধী আইন পাশ করছে, বাস্তবে কেবল শাসকদের স্বার্থ রক্ষাই এর লক্ষ্য। শাসক দল বলছে, বিচার বিভাগ তার ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করছে, অথচ বিচার বিভাগ সংবিধানের চেতনা ও জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই তারা এ অভিযোগ তুলছে।”
“এটা খুবই ঘৃণ্য ব্যাপার যে, ক্ষমতাসীনরা নিজেদের অসততা নিয়ন্ত্রণের কথা না বলে সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে এর ক্ষমতা সীমিত করার দাবি জানাচ্ছে। আদালত তাই করছে যা তার করা দরকার।”- লিখেছেন খান।
তিনি আরো লিখেছেন, “ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত গণতন্ত্র পাকিস্তানে কাজ করছে না। এ ধরণের গণতন্ত্র কেবল সেসব দেশেই সুফল বয়ে আনে যেসব দেশের জনগণ শিক্ষিত, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরিপক্ক এবং ভোটের পবিত্রতা ও গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন। অথচ পাকিস্তানের শতকরা ৮০ ভাগ ভোটই দেয়া হয় সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার আওতায়। আর যারা নির্বাচিত হন তারা সততা, যোগ্যতা, শিক্ষা ও কারিগরি যোগ্যতার অধিকারী নন।”
No comments