রেলের ভেঙে পড়া সময়সূচি ঠিক হয়নি by অনিকা ফারজানা
উত্তরাঞ্চলের রেলের সময়সূচি এখনো ঠিক হয়নি। রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। ফলে ওই লাইনের প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়সূচি থেকে তিন-চার ঘণ্টা পিছিয়ে গেছে।
এ ছাড়া ওই দিন রাত সাড়ে নয়টায় নরসিংদীর পলাশের কাছে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১১ ঘণ্টা আটকে থাকে আন্তনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের চাপ কমেনি। তবে প্লাটফর্মে ভিড় কিছুটা কমেছে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের ট্রেনের সময়সূচি ভেঙে পড়ায় ওই সব এলাকার ঘরমুখী যাত্রীরা কিছুটা দেরি করেই স্টেশনে আসছে।
তবে কমলাপুর স্টেশনে টিকিট কালোবাজারি বা দালালের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি চলছে প্রকাশ্যেই। যদিও রেল কর্মকর্তারা তা স্বীকার করতে চান না।
গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন সময় কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সকালে ছয়টা ২০ মিনিটের খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস কমলাপুর ছাড়ে ১০টায়। নয়টা ৫০ মিনিটের দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস কমলাপুর ছাড়ে দুপুর ১২টায়। সকাল নয়টার রংপুর এক্সপ্রেস কমলাপুর ছাড়ে দুপুর পৌনে দুইটায়। এ ছাড়া দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, খুলনা স্পেশাল, তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, ময়মনসিংহগামী বলাকা এক্সপ্রেস ও ঈশা খাঁ এক্সপ্রেস, চট্টগ্রামগামী মহানগর গোধূলী ও চট্টলা মেইল, সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ রুটের মহুয়া এক্সপ্রেস, জামালপুর কমিউটার, নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস এবং ঢাকা বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) রুটে যমুনা এক্সপ্রেস প্রতিটিই এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্লাটফর্ম স্টেশন মাস্টার মো. জামিল প্রথম আলোকে বলেন, উত্তরবঙ্গের লাইন ছাড়া অন্য গন্তব্যগুলোতে ট্রেন মোটামুটি ঠিক সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে। শুধু ইঞ্জিন ঘুরিয়ে আনা বা হালকা ধরনের মেরামতকাজে কিছুটা সময় লাগছে।
গতকাল সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত যাত্রীদের বলেন, ‘বুড়া ট্রেন, বুড়া ইঞ্জিন। এগুলোকে এখনো পেইনকিলার খাইয়ে চালাতে হচ্ছে। তাই আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও অনিচ্ছাকৃত এ বিলম্বের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের দু-একটি ছাড়া সব ট্রেন ঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। সকাল ছয়টা থেকে রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের উদ্দেশে মাইকে বলে যাচ্ছে, যাত্রীরা যেন ছাদে বা ইঞ্জিনে ভ্রমণ না করেন কিংবা অপরিচিত কারও দেওয়া কিছু না খান। প্লাটফর্মে যেন মাল-সামান সামলে রাখেন ইত্যাদি।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার খায়রুল বশীর দাবি করেন, নিরাপত্তাকর্মীরা যথেষ্ট সজাগ রয়েছেন। কিন্তু প্রকাশ্যেই দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেল জনৈক মো. শাহজাহানকে। তিনি চট্টলা মেইল, একতা, সুন্দরবন ও চিত্রার টিকিট বিক্রি করছিলেন।
আপনার কাছে বিভিন্ন গন্তব্যের এত টিকিট? শাহজাহানের জবাব, বিভিন্ন জায়গায় আত্মীয়স্বজনের জন্য কেনা টিকিট বেচে দিচ্ছেন। কিন্তু বেশি দামে কেন? এবার তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে দেখিয়ে বলেন, ‘যান, কমপ্লেইন করেন।’
বিষয়টি খায়রুল বশীরকে জানালে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।’
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের চাপ কমেনি। তবে প্লাটফর্মে ভিড় কিছুটা কমেছে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের ট্রেনের সময়সূচি ভেঙে পড়ায় ওই সব এলাকার ঘরমুখী যাত্রীরা কিছুটা দেরি করেই স্টেশনে আসছে।
তবে কমলাপুর স্টেশনে টিকিট কালোবাজারি বা দালালের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি চলছে প্রকাশ্যেই। যদিও রেল কর্মকর্তারা তা স্বীকার করতে চান না।
গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন সময় কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সকালে ছয়টা ২০ মিনিটের খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস কমলাপুর ছাড়ে ১০টায়। নয়টা ৫০ মিনিটের দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস কমলাপুর ছাড়ে দুপুর ১২টায়। সকাল নয়টার রংপুর এক্সপ্রেস কমলাপুর ছাড়ে দুপুর পৌনে দুইটায়। এ ছাড়া দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, খুলনা স্পেশাল, তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, ময়মনসিংহগামী বলাকা এক্সপ্রেস ও ঈশা খাঁ এক্সপ্রেস, চট্টগ্রামগামী মহানগর গোধূলী ও চট্টলা মেইল, সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ রুটের মহুয়া এক্সপ্রেস, জামালপুর কমিউটার, নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস এবং ঢাকা বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) রুটে যমুনা এক্সপ্রেস প্রতিটিই এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্লাটফর্ম স্টেশন মাস্টার মো. জামিল প্রথম আলোকে বলেন, উত্তরবঙ্গের লাইন ছাড়া অন্য গন্তব্যগুলোতে ট্রেন মোটামুটি ঠিক সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে। শুধু ইঞ্জিন ঘুরিয়ে আনা বা হালকা ধরনের মেরামতকাজে কিছুটা সময় লাগছে।
গতকাল সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত যাত্রীদের বলেন, ‘বুড়া ট্রেন, বুড়া ইঞ্জিন। এগুলোকে এখনো পেইনকিলার খাইয়ে চালাতে হচ্ছে। তাই আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও অনিচ্ছাকৃত এ বিলম্বের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের দু-একটি ছাড়া সব ট্রেন ঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। সকাল ছয়টা থেকে রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের উদ্দেশে মাইকে বলে যাচ্ছে, যাত্রীরা যেন ছাদে বা ইঞ্জিনে ভ্রমণ না করেন কিংবা অপরিচিত কারও দেওয়া কিছু না খান। প্লাটফর্মে যেন মাল-সামান সামলে রাখেন ইত্যাদি।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার খায়রুল বশীর দাবি করেন, নিরাপত্তাকর্মীরা যথেষ্ট সজাগ রয়েছেন। কিন্তু প্রকাশ্যেই দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেল জনৈক মো. শাহজাহানকে। তিনি চট্টলা মেইল, একতা, সুন্দরবন ও চিত্রার টিকিট বিক্রি করছিলেন।
আপনার কাছে বিভিন্ন গন্তব্যের এত টিকিট? শাহজাহানের জবাব, বিভিন্ন জায়গায় আত্মীয়স্বজনের জন্য কেনা টিকিট বেচে দিচ্ছেন। কিন্তু বেশি দামে কেন? এবার তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে দেখিয়ে বলেন, ‘যান, কমপ্লেইন করেন।’
বিষয়টি খায়রুল বশীরকে জানালে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।’
No comments