এবার ঈদ করতে বাইরে গেছেন ॥ ৫ লাখ ভাগ্যবান!- এসব বিত্তবান বেশিরভাগই ব্যবসায়ী শিল্পপতি পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনীতিক by আজাদ সুলায়মান
কমপক্ষে পাঁচ লাখ লোক এবার বিদেশের মাটিতে ঈদ উদ্্যাপন করছেন। ইতোমধ্যেই তাঁরা দেশ ছেড়েছেন। আগামীকাল রবিবার ঈদ-উল-ফিতর উদ্্যাপিত হওয়ার সময় ধরে নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত এঁরা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। আজ শনিবারও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের সঙ্গে আলাপ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
দীর্ঘ ছুটি আর পরিবেশ অনুকূল থাকায় এত বিপুলসংখ্যক লোক এবার দেশের বাইরে ঈদ করছেন। এছাড়া রমজানে ওমরাহ করতে যাওয়া বিপুলসংখ্যক ধর্মানুরাগীও হেরেম শরীফে ঈদের নামাজ আদায় করেই দেশে ফিরবেন। এঁদের বেশির ভাগই বিত্তবান ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনীতিক। শাহজালাল বিমানবন্দরের গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, প্রতিটি ফ্লাইটেই ছিল যাত্রী ভরপুর। এঁদের মধ্যে বিমানের যাত্রী বেশি চোখে পড়ে। শুক্রবার সকালে বিমানের সিঙ্গাপুর ফ্লাইটের বোর্ডিং করার সময় যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এবার যাত্রীদের ভিড় বেশি। সকাল আটটার ফ্লাইট ধরার জন্য ভোর চারটাতেই কাউন্টারে প্রচ- ভিড় জমে যায়। কাউন্টারে লাগেজ সামনে নিয়ে বাবা মায়ের হাত ধরে অপেক্ষায় থাকা আট বছরের মৌটুসি জনকণ্ঠকে জানায়-গতবারই তাকে নিয়ে স্ঙ্গিাপুর গিয়ে ঈদ করার কথা ছিল। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তা হয়ে ওঠেনি বাবার অফিসে ছুটি কম থাকায়। এবার ১২ দিনের ছুটি মিলেছে। সে জন্যই গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে সিঙ্গাপুরে ঈদ করা হবে। সিঙ্গাপুরে গিয়ে আজকের মধ্যেই ঈদের কেনাকাটাও করা হবে।
অপর যাত্রী মোবারক বলেন, তিনি তাঁর নববধূকে নিয়ে যাচ্ছেন নেপাল। সেখানে ঈদ আর হানিমুন একসঙ্গে করার নিয়ত করেছেন। নেপালে থাকবেন আগামী বুধবার পর্যন্ত। তারপর সেখান থেকে মুম্বাই হয়ে দেশে ফিরবেন শনিবার। কেন ঈদ বাইরে করতে যাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাজীবন তো দেশেই ঈদ করি । এবার মন চাইছে ত্ইা দেশের বাইরে ঈদ করার নিয়ত করে ফেলি ।
সরকারী উচ্চপদ্স্থ এক দম্পতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দু‘মাস আগেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার মালয়েশিয়ায় ঈদ করবেন। এর কারণ লম্বা ছুটি। এমন ছুটি তো বছরে বছরে মিলে না। সে সুযোগটাকে কাজে লাগানোর জন্যই এবার বাইরে যাওয়া।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদে বেশিরভাগই যাচ্ছেন মালয়েশিয়ায়। পরের অবস্থান সিঙ্গাপুর। এছাড়া ভারত, নেপাল, ব্যাঙ্কক ও দুবাইয়েও ঈদ করতে যাচ্ছেন অনেকে। আছে লন্ডনের যাত্রীও। তাঁরা সবাই্ বিত্তবান। পাসপোর্ট অনুযাযী দেখা যায় এঁরা বছরে অন্তত কয়েকবার বিদেশ সফর করেন। সেটা ব্যবসায়িক কাজেই হোক কিংবা ভ্রমণের জন্যই হোক বার বার এ শ্রেণীটি বিদেশ পাড়ি জমায়।
কত লোক ঈদ উপলক্ষে বিদেশ যাচ্ছে জানতে চাইলে বিমানের মার্কেটিং শাখার পরিচালক শাহনেওয়াজ বলেন, ঠিক এমনভাবে হিসাব করে বলা যাবে না। মানুষ প্রতিটি ফ্লাইটেই যাচ্ছেন। কে কি উদ্দেশে যাচ্ছে সেটা নির্ণয় করা কঠিন। তবে একটা অনুমাননির্ভর পরিসংখ্যান বের করা যেতে পারে। যেমন গত মাসের তুলনায় এ মাসের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত টিকেট বিক্রি বেড়েছে অনেক। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী টেনেছে বিমান। অঙ্কের হিসাবে সেটা কম করে হলেও ত্রিশ হাজার তো হবেই।
শাহজালাল বিমানবন্দরের প্রতিটি বোর্ডিং কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু বিমান নয়, সব ক’টা এয়ারলাইন্সেই টিকেট বিক্রি বেড়েছে। রমজানের শেষ সপ্তাহের সিডিউল ধরে এসব টিকেট বিক্রি ও সিট কনফার্ম করা হয়েছে। সৌদিয়া, কুয়েত, এমিরেটস, কাতার, গালফ, ইতিহাদ, ইস্টার্ন চায়না, থাই, মালয়েশিয়া, ফ্লাইদুবাই, এয়ার এরাবিয়ান ও ড্রাগন এয়ার লাইন্সের কাউন্টারগুলোতে গত এক সপ্তাহের সিডিউল ছিল পরিপূর্ণ। গত মাসের তুলনায় এ সপ্তাহের যাত্রী বেড়েছে প্রায় ত্রিশ শতাংশ। এসব ফ্লাইটের ফিরতি সিডিউল দেখা যায়, এ ত্রিশ শতাংশ যাত্রীর বেশিরভাগই ফিরবেন আগামী শনি রবিবার অর্থাৎ ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগেই। কেউ কেউ কিছু ফিরবেন আগামী এ মাসের শেষ সপ্তাহে।
রমজানে বিপুলসংখ্যক নিয়মিত প্রতিবছর ওমরাহ পালন করতে যান মক্কা-মদিনায়। এত দিন দেখা গেছে এসব মক্কাপ্রেমী আগে দেশে ফিরেই ঈদ করতেন। এবার দেখা যাচ্ছে তারা ফিরছেন ঈদের পর ধর্মপ্রাণ এসব বিত্তবান শুধু ব্যবসায়ীই নন, আছেন রাজনীতিক ও আমলা। প্রতিবছরই রমজানের শুরুতে মক্কার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন মহাখালীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ ছাদিকুর রহমান হিরু। এবারও তিনি সেখানেই ওমরাহ করছেন। ফিরবেন ঈদের দিন। জানালেন, প্রতিবারই রমজানে প্রচুরসংখ্যক বাংলাদেশী ওমরাহ করতে যান। এবার মক্কা মদিনায় দেখা গেছে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী।
শুক্রবার হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের ওসি ইমিগ্রেশন মোঃ মর্তুজা আলি খান বলেন, ঈদের সময় মানুষ যেমন বাইরে যাচ্ছেন তেমনি আসছেনও। গত কয়েকদিনের চিত্র দেখে মনে হয় মানুষ এবার ছুটি পেয়েছে বেশি। সেটা হয়ত কাজে লাগানোর জন্য বাইরে যাচ্ছেন অনেকেই।
শাহ জালালের এম্বারকেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের কেনাকাটা ও উদ্্যাপন দুটোই এবার দেশের বাইরে করছেন বিত্তবানরা।
দীর্ঘ ছুটি আর পরিবেশ অনুকূল থাকায় এত বিপুলসংখ্যক লোক এবার দেশের বাইরে ঈদ করছেন। এছাড়া রমজানে ওমরাহ করতে যাওয়া বিপুলসংখ্যক ধর্মানুরাগীও হেরেম শরীফে ঈদের নামাজ আদায় করেই দেশে ফিরবেন। এঁদের বেশির ভাগই বিত্তবান ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনীতিক। শাহজালাল বিমানবন্দরের গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, প্রতিটি ফ্লাইটেই ছিল যাত্রী ভরপুর। এঁদের মধ্যে বিমানের যাত্রী বেশি চোখে পড়ে। শুক্রবার সকালে বিমানের সিঙ্গাপুর ফ্লাইটের বোর্ডিং করার সময় যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এবার যাত্রীদের ভিড় বেশি। সকাল আটটার ফ্লাইট ধরার জন্য ভোর চারটাতেই কাউন্টারে প্রচ- ভিড় জমে যায়। কাউন্টারে লাগেজ সামনে নিয়ে বাবা মায়ের হাত ধরে অপেক্ষায় থাকা আট বছরের মৌটুসি জনকণ্ঠকে জানায়-গতবারই তাকে নিয়ে স্ঙ্গিাপুর গিয়ে ঈদ করার কথা ছিল। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তা হয়ে ওঠেনি বাবার অফিসে ছুটি কম থাকায়। এবার ১২ দিনের ছুটি মিলেছে। সে জন্যই গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে সিঙ্গাপুরে ঈদ করা হবে। সিঙ্গাপুরে গিয়ে আজকের মধ্যেই ঈদের কেনাকাটাও করা হবে।
অপর যাত্রী মোবারক বলেন, তিনি তাঁর নববধূকে নিয়ে যাচ্ছেন নেপাল। সেখানে ঈদ আর হানিমুন একসঙ্গে করার নিয়ত করেছেন। নেপালে থাকবেন আগামী বুধবার পর্যন্ত। তারপর সেখান থেকে মুম্বাই হয়ে দেশে ফিরবেন শনিবার। কেন ঈদ বাইরে করতে যাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাজীবন তো দেশেই ঈদ করি । এবার মন চাইছে ত্ইা দেশের বাইরে ঈদ করার নিয়ত করে ফেলি ।
সরকারী উচ্চপদ্স্থ এক দম্পতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দু‘মাস আগেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার মালয়েশিয়ায় ঈদ করবেন। এর কারণ লম্বা ছুটি। এমন ছুটি তো বছরে বছরে মিলে না। সে সুযোগটাকে কাজে লাগানোর জন্যই এবার বাইরে যাওয়া।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদে বেশিরভাগই যাচ্ছেন মালয়েশিয়ায়। পরের অবস্থান সিঙ্গাপুর। এছাড়া ভারত, নেপাল, ব্যাঙ্কক ও দুবাইয়েও ঈদ করতে যাচ্ছেন অনেকে। আছে লন্ডনের যাত্রীও। তাঁরা সবাই্ বিত্তবান। পাসপোর্ট অনুযাযী দেখা যায় এঁরা বছরে অন্তত কয়েকবার বিদেশ সফর করেন। সেটা ব্যবসায়িক কাজেই হোক কিংবা ভ্রমণের জন্যই হোক বার বার এ শ্রেণীটি বিদেশ পাড়ি জমায়।
কত লোক ঈদ উপলক্ষে বিদেশ যাচ্ছে জানতে চাইলে বিমানের মার্কেটিং শাখার পরিচালক শাহনেওয়াজ বলেন, ঠিক এমনভাবে হিসাব করে বলা যাবে না। মানুষ প্রতিটি ফ্লাইটেই যাচ্ছেন। কে কি উদ্দেশে যাচ্ছে সেটা নির্ণয় করা কঠিন। তবে একটা অনুমাননির্ভর পরিসংখ্যান বের করা যেতে পারে। যেমন গত মাসের তুলনায় এ মাসের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত টিকেট বিক্রি বেড়েছে অনেক। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী টেনেছে বিমান। অঙ্কের হিসাবে সেটা কম করে হলেও ত্রিশ হাজার তো হবেই।
শাহজালাল বিমানবন্দরের প্রতিটি বোর্ডিং কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু বিমান নয়, সব ক’টা এয়ারলাইন্সেই টিকেট বিক্রি বেড়েছে। রমজানের শেষ সপ্তাহের সিডিউল ধরে এসব টিকেট বিক্রি ও সিট কনফার্ম করা হয়েছে। সৌদিয়া, কুয়েত, এমিরেটস, কাতার, গালফ, ইতিহাদ, ইস্টার্ন চায়না, থাই, মালয়েশিয়া, ফ্লাইদুবাই, এয়ার এরাবিয়ান ও ড্রাগন এয়ার লাইন্সের কাউন্টারগুলোতে গত এক সপ্তাহের সিডিউল ছিল পরিপূর্ণ। গত মাসের তুলনায় এ সপ্তাহের যাত্রী বেড়েছে প্রায় ত্রিশ শতাংশ। এসব ফ্লাইটের ফিরতি সিডিউল দেখা যায়, এ ত্রিশ শতাংশ যাত্রীর বেশিরভাগই ফিরবেন আগামী শনি রবিবার অর্থাৎ ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগেই। কেউ কেউ কিছু ফিরবেন আগামী এ মাসের শেষ সপ্তাহে।
রমজানে বিপুলসংখ্যক নিয়মিত প্রতিবছর ওমরাহ পালন করতে যান মক্কা-মদিনায়। এত দিন দেখা গেছে এসব মক্কাপ্রেমী আগে দেশে ফিরেই ঈদ করতেন। এবার দেখা যাচ্ছে তারা ফিরছেন ঈদের পর ধর্মপ্রাণ এসব বিত্তবান শুধু ব্যবসায়ীই নন, আছেন রাজনীতিক ও আমলা। প্রতিবছরই রমজানের শুরুতে মক্কার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন মহাখালীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ ছাদিকুর রহমান হিরু। এবারও তিনি সেখানেই ওমরাহ করছেন। ফিরবেন ঈদের দিন। জানালেন, প্রতিবারই রমজানে প্রচুরসংখ্যক বাংলাদেশী ওমরাহ করতে যান। এবার মক্কা মদিনায় দেখা গেছে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী।
শুক্রবার হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের ওসি ইমিগ্রেশন মোঃ মর্তুজা আলি খান বলেন, ঈদের সময় মানুষ যেমন বাইরে যাচ্ছেন তেমনি আসছেনও। গত কয়েকদিনের চিত্র দেখে মনে হয় মানুষ এবার ছুটি পেয়েছে বেশি। সেটা হয়ত কাজে লাগানোর জন্য বাইরে যাচ্ছেন অনেকেই।
শাহ জালালের এম্বারকেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের কেনাকাটা ও উদ্্যাপন দুটোই এবার দেশের বাইরে করছেন বিত্তবানরা।
No comments