দক্ষিণ আফ্রিকায় পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৩০ খনি শ্রমিক নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্লাটিনাম খনির শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন শ্রমিক মারা গেছে। পুলিশ নিহতের সংখ্যা ৩০ বললেও শ্রমিক সংগঠনগুলো অবশ্য ৩৬ বলে উল্লেখ করেছে। গত বৃহস্পতিবারের ওই সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট করে আসছে শ্রমিকরা।
এর মধ্যেই এই সংঘর্ষ বাধল। এ ঘটনাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের যুগ শেষ হওয়ার পর সবচেয়ে বড় সহিংসতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গের প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মারিকানা অঞ্চলের একটি প্লাটিনাম খনির শ্রমিকদের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ব্রিটিশ কম্পানি লনমিনের মালিকানাধীন এই খনিতে গত ১০ আগস্ট থেকে অস্থিতিশীলতা চলছে। প্রায় তিন হাজার শ্রমিক তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট শুরু করে। কর্তৃপক্ষ এই আন্দোলনকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করে। গত শনিবার যেসব শ্রমিক কাজে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করে, তাদের ওপর ধর্মঘটী শ্রমিকরা হামলা চালায়। গত রবিবার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের হামলায় খনির দুই নিরাপত্তা রক্ষী মারা যান। পরে কয়েক দিনে সংঘর্ষের কারণে আরো চারজন মারা যান।
গত বৃহস্পতিবার দা, মুগুর ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে একদল শ্রমিক পুলিশের ওপর হামলা চালায়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩০ শ্রমিক মারা যায় বলে জানান পুলিশমন্ত্রী নাথি মথেতওয়া। তিনি বলেন, 'পুলিশ কাঁটাতার বিছিয়ে শ্রমিকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা বন্দুক ও দা নিয়ে এগোতে থাকে। সব ধরনের অস্ত্রই ছিল তাদের হাতে।' তবে বৃহস্পতিবার রাতে নতুন কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে খনি শ্রমিকদের সংগঠন ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মাইনওয়ার্কার্স (এনইউএম) নিহতের সংখ্যা ৩৬ বলে উল্লেখ করে। এনইউএমের মহাসচিব ফ্রানস বালেনি খনির সহিংসতার জন্য কট্টরপন্থী শ্রমিক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মাইনওয়ার্কার্স অ্যান্ড কন্সট্রাকশন ইউনিয়নকে (এএমসিইউ) দায়ী করেছে। তিনি বলেন, 'তারা এমন সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেগুলো কখনই পূরণ করা সম্ভব নয়। তারা অবৈধ ও সহিংস পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এর কারণে প্রাণহানি ঘটছে।'
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা এ ঘটনাকে ১৯৯৪ সালে শ্বেতাঙ্গ শাসনের অবসানের পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সহিংসতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, 'গত বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আমি মর্মাহত ও আতঙ্কিত। আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যেকোনো বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে মেটানো সম্ভব বলেই আমাদের বিশ্বাস। এর জন্য সহিংসতা বা আইন ভাঙার কোনো দরকার নেই।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গের প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মারিকানা অঞ্চলের একটি প্লাটিনাম খনির শ্রমিকদের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ব্রিটিশ কম্পানি লনমিনের মালিকানাধীন এই খনিতে গত ১০ আগস্ট থেকে অস্থিতিশীলতা চলছে। প্রায় তিন হাজার শ্রমিক তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট শুরু করে। কর্তৃপক্ষ এই আন্দোলনকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করে। গত শনিবার যেসব শ্রমিক কাজে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করে, তাদের ওপর ধর্মঘটী শ্রমিকরা হামলা চালায়। গত রবিবার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের হামলায় খনির দুই নিরাপত্তা রক্ষী মারা যান। পরে কয়েক দিনে সংঘর্ষের কারণে আরো চারজন মারা যান।
গত বৃহস্পতিবার দা, মুগুর ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে একদল শ্রমিক পুলিশের ওপর হামলা চালায়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩০ শ্রমিক মারা যায় বলে জানান পুলিশমন্ত্রী নাথি মথেতওয়া। তিনি বলেন, 'পুলিশ কাঁটাতার বিছিয়ে শ্রমিকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা বন্দুক ও দা নিয়ে এগোতে থাকে। সব ধরনের অস্ত্রই ছিল তাদের হাতে।' তবে বৃহস্পতিবার রাতে নতুন কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে খনি শ্রমিকদের সংগঠন ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মাইনওয়ার্কার্স (এনইউএম) নিহতের সংখ্যা ৩৬ বলে উল্লেখ করে। এনইউএমের মহাসচিব ফ্রানস বালেনি খনির সহিংসতার জন্য কট্টরপন্থী শ্রমিক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মাইনওয়ার্কার্স অ্যান্ড কন্সট্রাকশন ইউনিয়নকে (এএমসিইউ) দায়ী করেছে। তিনি বলেন, 'তারা এমন সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেগুলো কখনই পূরণ করা সম্ভব নয়। তারা অবৈধ ও সহিংস পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এর কারণে প্রাণহানি ঘটছে।'
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা এ ঘটনাকে ১৯৯৪ সালে শ্বেতাঙ্গ শাসনের অবসানের পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সহিংসতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, 'গত বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আমি মর্মাহত ও আতঙ্কিত। আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যেকোনো বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে মেটানো সম্ভব বলেই আমাদের বিশ্বাস। এর জন্য সহিংসতা বা আইন ভাঙার কোনো দরকার নেই।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments