মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি

মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা হবে না জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়। এমন সময় ঘোষণা দিলেন যখন হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী আসন্ন ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য গত দুই মাস ধরে সারা দেশের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে কোচিং প্রায় শেষ করে ফেলেছে এবং ইতোমধ্যে প্রতি ছাত্রছাত্রীর পেছনে তাদের অভিভাবকদের


কোচিং ফি, হোস্টেল খরচ ও যাতায়াত বাবদ বিরাট অঙ্কের টাকা ব্যয় হয়ে গেছে এবং ইতোমধ্যে কোটি কোটি টাকার কোচিং বাণিজ্য হয়ে গেছে। আমরা জানতে পেরেছি স্বাস্থ্য অধিদফতর পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল। এক. আবেদনের যোগ্যতার শর্ত কঠিন করে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমানো। দুই. কোচিং বাণিজ্য হয়ে যাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া। অসময়ের এই সিদ্ধান্ত হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের দারুণভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। জিপিএই যদি মেধা মূল্যায়নের একমাত্র মাপকাঠি হয় তাহলে একই দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে, বুয়েটসহ সকল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে কেন? শুধুমাত্র মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত মেধার মূল্যায়ন যথাযথ হবে না বলে আমরা মনে করি।
তদুপরি এই সিদ্ধান্ত এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বেই অথবা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করলে মেডিক্যালে ভর্তিচ্ছু অর্ধলক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী এবং লক্ষাধিক অভিভাবকদের ঢাকায় যাতায়াত, কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো ও তাদের থাকা খাওয়ার হোস্টেল/মেস/বাসা ঠিক করা ইত্যাদি বাবদ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি ও চরম মানসিক হয়রানি থেকে তারা বেঁচে যেতেন।
মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ আপনাদের এই সিদ্ধান্ত যদি পরিবর্তন না করতে পারেন তাহলে সিদ্ধান্তটি আগামী বছর থেকে কার্যকরণের ঘোষণা দিয়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের মনোকষ্ট দূর করুন এবং এবারের জন্য ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করে সকলের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা লাভ করুন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার প্রধানের নামে অনাকাক্সিক্ষত সমালোচনা বন্ধের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিন।

নির্মল কুমার ম-ল
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
জয়পুরহাট জেলা শাখা, জয়পুরহাট।

No comments

Powered by Blogger.