হাট থেকে কোটি টাকার রাজস্ব, উন্নয়ন নেই by রহিদুল মিয়া
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার তারাগঞ্জ হাট-বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভোগান্তির শেষ নেই। কারণ, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই হাটের অলিগলিতে পানি জমে থাকে। তা ছাড়া পণ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক শেড (ঘর) নেই।
অথচ এই হাট থেকে সরকার প্রতিবছর এক কোটিরও বেশি টাকার রাজস্ব আদায় করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোম ও শুক্রবার এখানে হাট বসে। আর সপ্তাহে প্রতিদিনই বাজার বসে। রাজস্ব আদায়ের হিসেব অনুযায়ী এটি এখন রংপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট। এ বছর এক কোটি ১৭ লাখ টাকায় এটি ইজারা দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটটিতে পানিনিষ্কাশনের কোনো নালা নেই। বিভিন্ন গলিতে কাদা জমে থাকায় হাঁটার উপায় নেই। এখানে মাছ ও মাংস বিক্রির জন্য সরকারিভাবে দুটি শেড নির্মাণ করা হয়েছে। তবে মাংস বিক্রির জন্য নির্ধারিত শেডটি ঝুঁকিপূর্ণ। শাকসবজি ও চাল বিক্রির জন্য কোনো শেড নির্মাণ করা হয়নি। শেড না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা রোদ-বৃষ্টির মধ্যেই কাজ সারছেন। হাটে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী পণ্য নিয়ে হাটের পাশের কিশোরগঞ্জ-তারাগঞ্জ সড়কের পাশে গিয়ে বসেন। এখানে মাছ ও মাংসের বাজারের আশপাশে ময়লা-আবর্জনা জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করে। এ হাটে একটি মাত্র গণশৌচাগার থাকলেও তা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না।
এ হাটে কেনাকাটা করতে আসা জর্দ্দিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নশরতুল্লা বলেন, বাজারে সারা বছরে কাদা থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলে পুরো বাজারের অলিগলিতে হাঁটুপানি জমে।
কাপড় ব্যবসায়ী দেলওয়ার হোসেন বলেন, আট-নয় বছর ধরে এ বাজারের কোনো উন্নয়ন নেই। হাটের ময়লা-আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধে ব্যবসা করা যায় না।
অনন্তপুর গ্রামের বেগুন বিক্রেতা মহসিন বলেন, ‘ভাইজান, সরকার খালি হামারটে টাকায় নেয়। কিন্তু হামার দুঃখ-কষ্ট দেখে না। হাটোত জায়গা না থাকায় হামরা কষ্টের ফসল বসি বেচবার পারি না। আস্তাত (রাস্তা) দারে কম দরে বেচবার নাগে।’
মেনানগর গ্রামের গরু বিক্রেতা ছাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এমতোন কষ্ট করি কি এটে আসি গরু বেচা যায়? এমনিতে দুর্গন্ধ, তার ওপর সারাটা দিন কাদার মাঝোত দারে (দাঁড়িয়ে) থাকিবার নাগে।’
তারাগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান মিলন বলেন, কিশোরগঞ্জ-তারাগঞ্জ সড়কের ওপর হাট বসায় প্রতি হাটবারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফরহাদ হোসেন বলেন, হাটটিতে নালা, গণশৌচাগার নির্মাণসহ নানা উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে উন্নয়নের কাজ শুরু করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোম ও শুক্রবার এখানে হাট বসে। আর সপ্তাহে প্রতিদিনই বাজার বসে। রাজস্ব আদায়ের হিসেব অনুযায়ী এটি এখন রংপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট। এ বছর এক কোটি ১৭ লাখ টাকায় এটি ইজারা দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটটিতে পানিনিষ্কাশনের কোনো নালা নেই। বিভিন্ন গলিতে কাদা জমে থাকায় হাঁটার উপায় নেই। এখানে মাছ ও মাংস বিক্রির জন্য সরকারিভাবে দুটি শেড নির্মাণ করা হয়েছে। তবে মাংস বিক্রির জন্য নির্ধারিত শেডটি ঝুঁকিপূর্ণ। শাকসবজি ও চাল বিক্রির জন্য কোনো শেড নির্মাণ করা হয়নি। শেড না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা রোদ-বৃষ্টির মধ্যেই কাজ সারছেন। হাটে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী পণ্য নিয়ে হাটের পাশের কিশোরগঞ্জ-তারাগঞ্জ সড়কের পাশে গিয়ে বসেন। এখানে মাছ ও মাংসের বাজারের আশপাশে ময়লা-আবর্জনা জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করে। এ হাটে একটি মাত্র গণশৌচাগার থাকলেও তা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না।
এ হাটে কেনাকাটা করতে আসা জর্দ্দিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নশরতুল্লা বলেন, বাজারে সারা বছরে কাদা থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলে পুরো বাজারের অলিগলিতে হাঁটুপানি জমে।
কাপড় ব্যবসায়ী দেলওয়ার হোসেন বলেন, আট-নয় বছর ধরে এ বাজারের কোনো উন্নয়ন নেই। হাটের ময়লা-আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধে ব্যবসা করা যায় না।
অনন্তপুর গ্রামের বেগুন বিক্রেতা মহসিন বলেন, ‘ভাইজান, সরকার খালি হামারটে টাকায় নেয়। কিন্তু হামার দুঃখ-কষ্ট দেখে না। হাটোত জায়গা না থাকায় হামরা কষ্টের ফসল বসি বেচবার পারি না। আস্তাত (রাস্তা) দারে কম দরে বেচবার নাগে।’
মেনানগর গ্রামের গরু বিক্রেতা ছাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এমতোন কষ্ট করি কি এটে আসি গরু বেচা যায়? এমনিতে দুর্গন্ধ, তার ওপর সারাটা দিন কাদার মাঝোত দারে (দাঁড়িয়ে) থাকিবার নাগে।’
তারাগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান মিলন বলেন, কিশোরগঞ্জ-তারাগঞ্জ সড়কের ওপর হাট বসায় প্রতি হাটবারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফরহাদ হোসেন বলেন, হাটটিতে নালা, গণশৌচাগার নির্মাণসহ নানা উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে উন্নয়নের কাজ শুরু করা হবে।
No comments