বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য হয়ে পড়ার দায় কার?- ঢাকার ‘শীর্ষস্থান’
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা গত বছর যখন বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য শহরের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল, তখন প্রত্যাশিত ছিল যে এই দুর্নাম দূর করার চেষ্টা হবে। কিন্তু এর উল্টোটাই হয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বসবাস-অযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে এখন ‘শীর্ষস্থান’ দখল করছে ঢাকা।
যুক্তরাজ্যের সাপ্তাহিক ইকোনমিস্ট পত্রিকার ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) বিশ্বের শহরগুলোর ওপর নিয়মিত জরিপ করে এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। বিশ্বের ১৪০টি শহর বিবেচনায় নিয়ে করা হয়েছে এই জরিপ। রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসুবিধা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো—এই মূল পাঁচটি বিষয়ের ৩০টি দিক বিবেচনায় নেওয়া হয় জরিপে। এই সবগুলো ক্ষেত্র মিলিয়ে সবচেয়ে কম নম্বর পেয়ে ১৪০টি শহরের মধ্যে সর্বশেষ স্থানটি দখল করেছে ঢাকা। গতবারের সবচেয়ে বসবাস-অনুপযুক্ত শহর জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে এখন তিন ধাপ এগিয়েছে। বোঝা যায়, এই কলঙ্ক দূর করতে তারা সচেষ্ট ছিল। অন্যদিকে, আমরা যা করেছি বা করে চলেছি, তার ফল হচ্ছে আরও নিচে নেমে যাওয়া।
গণপরিবহন বলতে যা বোঝায়, তা ঢাকায় নেই। এ অবস্থায় বেশি ভাড়া গুনেও যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা-স্কুটার পাওয়া যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই; পাওয়া গেলেও মিটারে যাবে না। চাইলে ট্যাক্সিক্যাব পাওয়া যায় না—ঢাকা ছাড়া এমন কোনো রাজধানী শহর দুনিয়াতে বিরল। পথচারীদের চলাচলের জন্য সামান্যতম যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা উচিত, তার কিছুই নেই এই শহরে। এখানে জীবনযাপনের নানা ক্ষেত্রে আছে পদে পদে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থা। উচ্চ খরচে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা মিললেও এর মান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন, আর সরকারি চিকিৎসাসেবার দশা কোন পর্যায়ে, তা সবারই জানা। বিদ্যুৎ ও পানির সংকটেও বিপর্যস্ত এই শহর।
ইআইইউ এই তালিকা করে মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কথা বিবেচনায় নিয়ে। ফলে এখন যদি কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের কোনো কর্মীকে ঢাকা শহরে পোস্টিং দিতে চায়, তবে তাঁকে নির্ধারিত বেতনের বাইরে সবচেয়ে বেশি হার্ডশিপ ভাতা দিতে হবে। মানে, এই শহরে থেকে তিনি যে ‘শাস্তি’ ভোগ করবেন, তা পুষিয়ে দেওয়া হবে অতিরিক্ত ভাতা দিয়ে।
দুনিয়ার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এরই মধ্যে এই তথ্য প্রকাশ পেয়ে গেছে যে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে বসবাস-অযোগ্য শহর। আমাদের সরকার ও কর্তৃপক্ষ কি এখনো নির্বিকারই থাকবে?
গণপরিবহন বলতে যা বোঝায়, তা ঢাকায় নেই। এ অবস্থায় বেশি ভাড়া গুনেও যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা-স্কুটার পাওয়া যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই; পাওয়া গেলেও মিটারে যাবে না। চাইলে ট্যাক্সিক্যাব পাওয়া যায় না—ঢাকা ছাড়া এমন কোনো রাজধানী শহর দুনিয়াতে বিরল। পথচারীদের চলাচলের জন্য সামান্যতম যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা উচিত, তার কিছুই নেই এই শহরে। এখানে জীবনযাপনের নানা ক্ষেত্রে আছে পদে পদে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থা। উচ্চ খরচে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা মিললেও এর মান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন, আর সরকারি চিকিৎসাসেবার দশা কোন পর্যায়ে, তা সবারই জানা। বিদ্যুৎ ও পানির সংকটেও বিপর্যস্ত এই শহর।
ইআইইউ এই তালিকা করে মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কথা বিবেচনায় নিয়ে। ফলে এখন যদি কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের কোনো কর্মীকে ঢাকা শহরে পোস্টিং দিতে চায়, তবে তাঁকে নির্ধারিত বেতনের বাইরে সবচেয়ে বেশি হার্ডশিপ ভাতা দিতে হবে। মানে, এই শহরে থেকে তিনি যে ‘শাস্তি’ ভোগ করবেন, তা পুষিয়ে দেওয়া হবে অতিরিক্ত ভাতা দিয়ে।
দুনিয়ার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এরই মধ্যে এই তথ্য প্রকাশ পেয়ে গেছে যে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে বসবাস-অযোগ্য শহর। আমাদের সরকার ও কর্তৃপক্ষ কি এখনো নির্বিকারই থাকবে?
No comments