ঈদ মোবারক- সম্প্রীতির আনন্দধারায় সিক্ত হয়ে উন্নত জীবন লাভ করুকÑ ঈদ-উল-ফিতর মানুষকে এই শিক্ষা দেয়
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে ঈদ-উল-ফিতর। ঘরে ঘরে, জনে জনে আনন্দ ও খুশির বার্তা বয়ে এনেছে ঈদ-উল-ফিতর। এটি মুসলিম বিশ্বে বড় ধর্মীয় উৎসব। মুসলমানদের দিনটি কল্যাণের পথে ত্যাগ ও তিতিক্ষার মূলমন্ত্রে দীক্ষিত করে। ঈদের আগে রমজান সংযম ও প্রশিক্ষণের মাস।
ফিতরা প্রদান, যাকাত আদায় ও ঈদের নামাজের ভেতর দিয়ে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করা হয়। নতুন পোশাক পরে সকালে ঈদগাহে নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। ধনী-দরিদ্র সবাই এইদিন আনন্দে মেতে ওঠে।
ঈদ-উল-ফিতরের মূল তাৎপর্য বিভেদমুক্ত জীবনের উপলব্ধি। ভুল-ভ্রান্তি,পাপ-পঙ্কিলতা মানুষের জীবনে কমবেশি আসে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়। কিন্তু পরম করুণাময় চান মানুষ পাপ ও বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হয়ে সৎপথে ফিরে আসুক। সম্প্রীতির আনন্দধারায় সিক্ত হয়ে উন্নত জীবন লাভ করুক। ঈদ-উল-ফিতর মানুষকে এই শিক্ষা দেয়।
দিবসটির উৎসব তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে সমাজের সকল ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বিরোধের অবসানের মধ্য দিয়ে। শ্রেণী বৈষম্য বিসর্জনের মধ্য দিয়েই আনন্দ সার্থক হয়ে ওঠে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। মানুষ ঈদের কেনাকাটা করেছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ঈদের বাজারে লেনদেন হয়েছে অনেক বেশি। রাজধানীর সুসজ্জিত বিপণিবিতান থেকে ফুটপাথের পসরা সব জায়গাতেই বিক্রি হয়েছে প্রচুর। শহরের মানুষ গ্রামমুখী হওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠছে। সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে। দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন না হলে হতদরিদ্র মানুষের আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। দুঃখজনক হলেও সত্য সমাজে শ্রেণীবৈষম্য এখনও বিরাজমান। এই শ্রেণীবৈষম্য আনন্দের সময়েও দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে এক সঙ্গে আনতে যেন খানিকটা বাধার সৃষ্টি করে। তাছাড়া ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ এবারও খুব একটা কমেনি। এ সময় অর্থাৎ ঈদের ছুটিতে রাজধানী শহর থেকে লাখ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়িতে যায় পরিবার পরিজন আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে। অনেক যাত্রীকে বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে ঘরে ফিরতে হয়। ঈদের উৎসব শেষে আবার অগণিত মানুষ ফিরে আসবে শহরে, কর্মস্থলে। যাওয়া-আসার সময় বহু মানুষকে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। ঈদ উপলক্ষে ঘরে ফেরার যে আনন্দ হওয়ার কথা এসব বিড়ম্বনার কারণে বহু জনের সে আনন্দ অনেকখানি কমে যায়। যেসব মানুষ ঘরে ফিরে গেছেন তাঁরা সবাই যদি পুনরায় নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেন তবেই তাঁদের ছুটিতে ঘরে ফেরার আনন্দ পূর্ণতা পাবে। তারপরও ঈদ আমাদের উৎসব। এই উৎসবের দিনে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে হবে আনন্দ। রমজান আমাদের চিত্তশুদ্ধির যে শিক্ষা দিয়েছে, ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব সকল প্রকার হিংসা, হানাহানি মুক্ত হোক। সন্ত্রাসের বিভীষিকা দূর হোক। বিশ্বের সকল শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধন সুদৃঢ় হোক। আনন্দে ভরে উঠুক প্রতিটি দিনÑএই প্রত্যাশায় ঈদ মোবারক, ঈদের শুভেচ্ছা।
ঈদ-উল-ফিতরের মূল তাৎপর্য বিভেদমুক্ত জীবনের উপলব্ধি। ভুল-ভ্রান্তি,পাপ-পঙ্কিলতা মানুষের জীবনে কমবেশি আসে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়। কিন্তু পরম করুণাময় চান মানুষ পাপ ও বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হয়ে সৎপথে ফিরে আসুক। সম্প্রীতির আনন্দধারায় সিক্ত হয়ে উন্নত জীবন লাভ করুক। ঈদ-উল-ফিতর মানুষকে এই শিক্ষা দেয়।
দিবসটির উৎসব তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে সমাজের সকল ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বিরোধের অবসানের মধ্য দিয়ে। শ্রেণী বৈষম্য বিসর্জনের মধ্য দিয়েই আনন্দ সার্থক হয়ে ওঠে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। মানুষ ঈদের কেনাকাটা করেছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ঈদের বাজারে লেনদেন হয়েছে অনেক বেশি। রাজধানীর সুসজ্জিত বিপণিবিতান থেকে ফুটপাথের পসরা সব জায়গাতেই বিক্রি হয়েছে প্রচুর। শহরের মানুষ গ্রামমুখী হওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠছে। সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে। দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন না হলে হতদরিদ্র মানুষের আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। দুঃখজনক হলেও সত্য সমাজে শ্রেণীবৈষম্য এখনও বিরাজমান। এই শ্রেণীবৈষম্য আনন্দের সময়েও দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে এক সঙ্গে আনতে যেন খানিকটা বাধার সৃষ্টি করে। তাছাড়া ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ এবারও খুব একটা কমেনি। এ সময় অর্থাৎ ঈদের ছুটিতে রাজধানী শহর থেকে লাখ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়িতে যায় পরিবার পরিজন আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে। অনেক যাত্রীকে বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে ঘরে ফিরতে হয়। ঈদের উৎসব শেষে আবার অগণিত মানুষ ফিরে আসবে শহরে, কর্মস্থলে। যাওয়া-আসার সময় বহু মানুষকে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। ঈদ উপলক্ষে ঘরে ফেরার যে আনন্দ হওয়ার কথা এসব বিড়ম্বনার কারণে বহু জনের সে আনন্দ অনেকখানি কমে যায়। যেসব মানুষ ঘরে ফিরে গেছেন তাঁরা সবাই যদি পুনরায় নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেন তবেই তাঁদের ছুটিতে ঘরে ফেরার আনন্দ পূর্ণতা পাবে। তারপরও ঈদ আমাদের উৎসব। এই উৎসবের দিনে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে হবে আনন্দ। রমজান আমাদের চিত্তশুদ্ধির যে শিক্ষা দিয়েছে, ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব সকল প্রকার হিংসা, হানাহানি মুক্ত হোক। সন্ত্রাসের বিভীষিকা দূর হোক। বিশ্বের সকল শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধন সুদৃঢ় হোক। আনন্দে ভরে উঠুক প্রতিটি দিনÑএই প্রত্যাশায় ঈদ মোবারক, ঈদের শুভেচ্ছা।
No comments