এলো খুশির ঈদ- রমজানের ঐ রোজার শেষে by শাহীন রহমান
শেষ হচ্ছে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা। চন্দ্র মাসের হিসাব অনুযায়ী আজ শনিবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে কাল উদ্যাপিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল- ফিতর। আর চাঁদ দেখা না গেলে আগামী সোমবার পালিত হবে ঈদ।
চাঁদ দেখা ও ঈদ-উল-ফিতরের তারিখ নির্ধারণের জন্য আজ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। জাতীয় সমজিদ বায়তুল মোকাররমে সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক। এ কমিটি চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ঈদ-উল-ফিতর উদ্যাপনের চূড়ান্ত ঘোষণা দেবেন। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
সারাদেশে এখন বইছে ঈদের হাওয়া। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর এখন মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈদ উদ্যাপনের জন্য। এক মাস রোজা পালনের পর মুসলমানদের ঘরে আবার হাজির হয়েছে খুশির ঈদ। যার যার সাধ্যমতো শেষ করেছে ঈদের কেনাকাটা। ঢাকাসহ সারাদেশে ঈদের জামাতের আয়োজনের পুরো প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে ঈদ পালন করতে ঢাকা উদ্দেশে রওনা হোন। তিনি বলেন, চাঁদ রাত মানে সবার আনন্দ, সবার খুশি।
গত কয়েক বছরের কেনাবেচার হিসেব করলে দেখা যায় চাঁদ রাতে সবচেয়ে বেশি ক্রেতা কেনাকাটা করে থাকেন। ওই রাতে ক্রেতা বাড়ায় ব্যবসায়ীরাও বেজায় খুশি থাকেন। মজার বিষয় হলো চাঁদ রাত কেন্দ্রিক ব্যবসায় জমিয়ে তুলতে এখন ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতিও বাড়ছে। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে সর্বশেষ কালেকশন দোকানে তোলা হয়। নগরীর অভিজাত ক্রেতারা ওই রাতে কেনাকাটা করে থাকেন। পছন্দ হলে অনেক সময় ক্রেতারা দরদামের ধার ধারেন না। কারণ ঈদে সবচেয়ে লেটেস্ট ও পছন্দের পোশাকটিই তার চাই।
এদিকে চাঁদ রাত সামনে রেখে দেশী তৈরি পোশাকের জন্য নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা ছুটছে মালিবাগ সুপার মার্কেটে। এই মার্কেটে গার্মেন্ট কর্মী, খেটে খাওয়া মানুষ, চাকরিজীবী সব শ্রেণীর ক্রেতার জন্য পোশাক ওঠানো হয়েছে। দোতলা মার্কেটের প্রায় ৩শ’ দোকানি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেক পুরনো এই মার্কেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পাঞ্জাবি ছাড়া সব পোশাক দেশীয়। ফলে ক্রেতারা খুব সাশ্রয়ী মূল্যে তাদের পছন্দের পোশাক পাচ্ছেন। মালিবাগ সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এফবিসিসিআই’র সদস্য রেজাউল ইসলাম মন্টু জনকণ্ঠকে জানান, রোজার শুরুতে মার্কেট জমে উঠেছে। পুরনো হিসাবে মার্কেটটি এখনও ঐতিহ্য ধরে রাখতে পেরেছে। তিনি আরও বলেন, মার্কেটে প্রবেশের পর কেউ খালি হাতে বের হয় না। কারণ পছন্দ ও বাজেটের মধ্যে মিল পেয়ে যায় ক্রেতারা।
তিনি আরও বলেন, এই মার্কেটের পাঞ্জাবির সুনাম রয়েছে। বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের অনেক পাঞ্জাবি প্রদর্শন করা হয়েছে। পাঞ্জাবি তৈরির জন্য আলাদা একটি টেইলারিংয়ের পয়েন্ট রয়েছে। তবে রেজাউল ইসলাম মন্টু বলেন, আজ শনিবার চাঁদ দেখা গেলে মার্কেটে ভোর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা চলবে। ক্রেতাদের জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
এদিকে চাঁদ রাত সামনে রেখে রাজধানীর ফুটপাথের ঈদ বাজারও জমজমাট হয়ে উঠেছে। গুলিস্তান, পল্টন, ফার্মগেট ও যাত্রাবাড়ির ফুটপাথের মার্কেটে সারারাত ধরে চলছে বেচাকেনা। এছাড়া পাড়া-মহল্লা ও অলি-গলির শপিংমল, ফ্যাশন হাউস এবং বুটিক হাউসগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলছে। ঈদের চাঁদ রাত ঘিরে তাঁদের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রতিটি মার্কেট, বিপণিবিতান, শপিংমল ও ফ্যাশন হাউসগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুম নেই। কোন কোন প্রতিষ্ঠান রোজার শুরুতে বাড়তি লোকবল নিয়োগ করেছে। চাঁদ রাত ঘিরে ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান অপেশাদার লোক নিয়োগ করেছে। যাতে ওই রাতে ক্রেতাদের ভিড় সামলিয়ে বেচাকেনা করা যায়।
এছাড়া চাঁদ রাত ঘিরে নগরীর বিউটি পার্লার ও সেলুনগুলো নতুন সাজে সেজেছে। রূপ সচেতন ও সৌন্দর্য পিপাসু তরুণী ও মহিলারা ছুটে যাচ্ছেন বিউটি পার্লারগুলোতে। স্পা, ফেসিয়াল, চুলের কাট, চুলের রং ও ভুরু প্লাক করতে ব্যস্ত বিউটিশিয়ানরা। বিউটিশিয়ানরা বলছেন, ঈদের চাঁদ রাতেই তাদের কাজ সবচেয়ে বেশি হয়। বিশেষ করে ফেসিয়াল, স্পা ও ভুরু প্লাক করতে মহিলারা চাঁদ রাতেই বিউটি পার্লারে আসেন। এজন্য চাঁদ রাতে সারারাত কাজ করার প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
সারাদেশে এখন বইছে ঈদের হাওয়া। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর এখন মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈদ উদ্যাপনের জন্য। এক মাস রোজা পালনের পর মুসলমানদের ঘরে আবার হাজির হয়েছে খুশির ঈদ। যার যার সাধ্যমতো শেষ করেছে ঈদের কেনাকাটা। ঢাকাসহ সারাদেশে ঈদের জামাতের আয়োজনের পুরো প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে ঈদ পালন করতে ঢাকা উদ্দেশে রওনা হোন। তিনি বলেন, চাঁদ রাত মানে সবার আনন্দ, সবার খুশি।
গত কয়েক বছরের কেনাবেচার হিসেব করলে দেখা যায় চাঁদ রাতে সবচেয়ে বেশি ক্রেতা কেনাকাটা করে থাকেন। ওই রাতে ক্রেতা বাড়ায় ব্যবসায়ীরাও বেজায় খুশি থাকেন। মজার বিষয় হলো চাঁদ রাত কেন্দ্রিক ব্যবসায় জমিয়ে তুলতে এখন ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতিও বাড়ছে। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে সর্বশেষ কালেকশন দোকানে তোলা হয়। নগরীর অভিজাত ক্রেতারা ওই রাতে কেনাকাটা করে থাকেন। পছন্দ হলে অনেক সময় ক্রেতারা দরদামের ধার ধারেন না। কারণ ঈদে সবচেয়ে লেটেস্ট ও পছন্দের পোশাকটিই তার চাই।
এদিকে চাঁদ রাত সামনে রেখে দেশী তৈরি পোশাকের জন্য নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা ছুটছে মালিবাগ সুপার মার্কেটে। এই মার্কেটে গার্মেন্ট কর্মী, খেটে খাওয়া মানুষ, চাকরিজীবী সব শ্রেণীর ক্রেতার জন্য পোশাক ওঠানো হয়েছে। দোতলা মার্কেটের প্রায় ৩শ’ দোকানি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেক পুরনো এই মার্কেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পাঞ্জাবি ছাড়া সব পোশাক দেশীয়। ফলে ক্রেতারা খুব সাশ্রয়ী মূল্যে তাদের পছন্দের পোশাক পাচ্ছেন। মালিবাগ সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এফবিসিসিআই’র সদস্য রেজাউল ইসলাম মন্টু জনকণ্ঠকে জানান, রোজার শুরুতে মার্কেট জমে উঠেছে। পুরনো হিসাবে মার্কেটটি এখনও ঐতিহ্য ধরে রাখতে পেরেছে। তিনি আরও বলেন, মার্কেটে প্রবেশের পর কেউ খালি হাতে বের হয় না। কারণ পছন্দ ও বাজেটের মধ্যে মিল পেয়ে যায় ক্রেতারা।
তিনি আরও বলেন, এই মার্কেটের পাঞ্জাবির সুনাম রয়েছে। বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের অনেক পাঞ্জাবি প্রদর্শন করা হয়েছে। পাঞ্জাবি তৈরির জন্য আলাদা একটি টেইলারিংয়ের পয়েন্ট রয়েছে। তবে রেজাউল ইসলাম মন্টু বলেন, আজ শনিবার চাঁদ দেখা গেলে মার্কেটে ভোর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা চলবে। ক্রেতাদের জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
এদিকে চাঁদ রাত সামনে রেখে রাজধানীর ফুটপাথের ঈদ বাজারও জমজমাট হয়ে উঠেছে। গুলিস্তান, পল্টন, ফার্মগেট ও যাত্রাবাড়ির ফুটপাথের মার্কেটে সারারাত ধরে চলছে বেচাকেনা। এছাড়া পাড়া-মহল্লা ও অলি-গলির শপিংমল, ফ্যাশন হাউস এবং বুটিক হাউসগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলছে। ঈদের চাঁদ রাত ঘিরে তাঁদের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রতিটি মার্কেট, বিপণিবিতান, শপিংমল ও ফ্যাশন হাউসগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুম নেই। কোন কোন প্রতিষ্ঠান রোজার শুরুতে বাড়তি লোকবল নিয়োগ করেছে। চাঁদ রাত ঘিরে ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান অপেশাদার লোক নিয়োগ করেছে। যাতে ওই রাতে ক্রেতাদের ভিড় সামলিয়ে বেচাকেনা করা যায়।
এছাড়া চাঁদ রাত ঘিরে নগরীর বিউটি পার্লার ও সেলুনগুলো নতুন সাজে সেজেছে। রূপ সচেতন ও সৌন্দর্য পিপাসু তরুণী ও মহিলারা ছুটে যাচ্ছেন বিউটি পার্লারগুলোতে। স্পা, ফেসিয়াল, চুলের কাট, চুলের রং ও ভুরু প্লাক করতে ব্যস্ত বিউটিশিয়ানরা। বিউটিশিয়ানরা বলছেন, ঈদের চাঁদ রাতেই তাদের কাজ সবচেয়ে বেশি হয়। বিশেষ করে ফেসিয়াল, স্পা ও ভুরু প্লাক করতে মহিলারা চাঁদ রাতেই বিউটি পার্লারে আসেন। এজন্য চাঁদ রাতে সারারাত কাজ করার প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
No comments