জুমাতুল বিদায় সব মসজিদে উপচেপড়া ভিড়
সারাদেশে পালিত হয়েছে পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমা জুমাতুল বিদা। শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দেশের বৃহত্তম জুমাতুল বিদার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দেশের সকল মসজিদে জুমাতুল বিদা নামাজের আগে ইমামগণ জুমাতুল বিদা ও পবিত্র রমজান মাসের তাৎপর্য তুলে ধরে ‘খুতবা’ পাঠ করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব প্রফেসর মাওলানা সালাহউদ্দিন জুমাতুল বিদা উপলক্ষে খুতবা পাঠ করেন। নামাজ আদায় শেষে তিনি মোনাজাত পরিচালনা করেন। দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিগণ তাদের পরলোকগত আত্মীয়-স্বজনদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। একই সঙ্গে মোনাজাতে মুসল্লিগণ দেশের, সমৃদ্ধি, শান্তি, অগ্রগতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কামনা করেন।
রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা উপলক্ষে জুমার নামাজের অনেক আগ থেকেই মুসল্লিরা মসজিদে জমায়েত হতে শুরু করেন। মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট সংলগ্ন সড়ক। শুক্রবার বেলা ১২টার পর পরই মসজিদের ভেতর কানায় কানায় পূর্র্ণ হয়ে যায়। জাতীয় মসজিদে পুরুষ মুসল্লিদের পাশাপাশি মহিলা মুসল্লিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। মসজিদের দক্ষিণ ও উত্তর গেটের পাশ দিয়ে দোতলায় নির্ধারিত স্থানে তাঁরা জুমা’তুল বিদার নামাজ আদায় করেন। জুমা’তুল বিদায় মহিলা মুসল্লির সংখ্যাও ছিল প্রচুর। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ওজুর সুবিধার্থে মসজিদের বাইরেও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। মসজিদের উত্তর গেটে রাস্তার পাশে বড় বড় ড্রাম ভর্তি করে পানি রাখা হয়। ভেতরের ওজুখানায় ভিড় কমাতে এবং বাইরে অপেক্ষমাণ মুসল্লিদের ওজুর সুবিধার্থে এ ব্যবস্থা করা হয় বলে জানা গেছে।
ইমামের আসনে বসে হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় মসজিদের খতিব বলেন, “রাসুল (সা.) বলেছেন, যে রমজান পেল অথচ নাজাত লাভ করতে পারল না, সে ধ্বংস হোক। আমরা সেই ধ্বংস থেকে মুক্ত থাকতে চাই। আর সে জন্য বেশি বেশি ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি ভাল কাজে নিজেকে আত্মনিবেদিত করতে হবে। মানুষের উপকারে এগিয়ে আসতে হবে। দেশ ও সমাজের অসঙ্গতিগুলো দূর করার প্রয়াস চালাতে হবে। তবেই না আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন করা সহজ হবে।”
জুমা’র নামাজের পর মোনাজাতে তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত। ‘আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।
No comments