বিশ্লেষণ- যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ঘিরে

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্রের স্থাপনার নিরাপত্তা নিয়ে গোপন আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাষ্ট্র ও সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেই এই আলোচনা চলছে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন এক কর্মকর্তা জানান, এটি খুব স্পর্শকাতর বিষয়। তাই গোপন আলোচনা চলছে। তিনি জানান, সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা ওয়াশিংটনের নেই। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে হটাতে বিদ্রোহীদের প্রাণঘাতী অস্ত্রও সরবরাহ করা হবে না। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশটিতে ‘নো ফ্লাই জোন’ কার্যকর করতে চায় পেন্টাগন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সিরিয়ায় রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্রের স্থাপনা নিরাপদ রাখতে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার সেনা প্রয়োজন হতে পারে। তবে সিরিয়ায় ইরাক স্টাইলে হামলা চালানোর ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে কয়েকটি সূত্র। এই পর্যায়ে ইরাকের মতো হামলায় কোন কোন দেশ সেনা পাঠাবে, সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ। অন্য একটি সূত্র জানায়, ইউরোপীয় কয়েকটি দেশ সিরিয়া অভিযানে সেনা পাঠাতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের গোপন এই আলোচনার ব্যাপারে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টমি ভিয়েটর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র সিরিয়ার সরকারের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। আর সরকারি বাহিনী যেভাবে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। যদিও এসব অস্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিরিয়া সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
গত মাসে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা বলেন, যদি কোনোভাবে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র লেবাননের কট্টরপন্থী দল হিজবুল্লাহর হাতে পড়ে, তা হবে বড় ধরনের বিপর্যয়। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.