পদত্যাগ করেও আবুল হোসেন এখনো মন্ত্রী!
সৈয়দ আবুল হোসেন কি এখনো মন্ত্রী? নাকি তিনি পদত্যাগ করেছেন। এ নিয়ে ধূম্রজাল এখনো কাটেনি। গত প্রায় এক মাসেও এ বিষয়টি পরিষ্কার হয়নি। যদিও তিনি অফিস করছেন না, কোনো ফাইলেও সই করছেন না। আবার সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগ সম্পর্কে সরকারি কোনো প্রজ্ঞাপনও জারি হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে মন্ত্রীদের তালিকায় এখনো তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন।
সরকারি উচ্চপর্যায়ের বিশ্বস্ত সূত্রমতে, পদ্মা সেতুর ঋণ পাওয়া নিয়ে বিশ্বব্যাংকের শর্তানুযায়ী সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করার সময় তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন। অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুল হোসেনের পদত্যাগের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। একইভাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও বিশ্বব্যাংকের সব শর্ত পূরণের কথা উল্লেখ করে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রীর পদত্যাগ করার কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আরেক দফা লন্ডন সফর করে দেশে ফিরলেও এখন পর্যন্ত তিনি আবুল হোসেনের পদত্যাগ কার্যকর করার কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। ফলে আবুল হোসেনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি না সে বিষয়টি এখনো সরকারিভাবে জানানো হয়নি। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে পরে বলবেন বলে তাঁকে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি আগের মতোই আছে। এখন পর্যন্ত পদত্যাগসংক্রান্ত কোনো গেজেট হয়নি।
সূত্র জানায়, ২৩ জুলাইয়ের পর থেকে সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছেন না। তাঁর বাসায়ও কোনো ফাইল পাঠানো হচ্ছে না। বরং যেসব ফাইলে মন্ত্রীর সই প্রয়োজন, সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো ফাইল এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসেনি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
পদত্যাগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ আবুল হোসেন গতকাল প্রথম আলোর কাছে সরাসরি কিছু বলতে চাননি। তবে আকার-ইঙ্গিতে পদত্যাগ করার বিষয়টিই বুঝিয়ে দেন। তিনি এ-ও বলেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকারি কাজ করব না, ফাইলে স্বাক্ষর করব না।’ তিনি বলেন, ‘আমি যা বলার খোলা চিঠিতে বলেই দিয়েছি। এখন যা বোঝার বুঝে নিন।’ পদত্যাগ করেছেন কি না তা এককথায় বলার অনুরোধ করা হলে আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি যদি কিছু করে থাকি তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী...’ এটুকু বলেই তিনি থেমে যান। আর কিছু তিনি বলতে চাননি।
এদিকে সরকারি একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের শর্ত মেনে সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেও সরকার কৌশলের কারণেই তাঁর পদত্যাগ কার্যকর করছে না। বিশ্বব্যাংকের ঋণ পাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় কি না তা দেখার জন্য সরকার অপেক্ষা করার কৌশল নিয়েছে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেছেন। তাঁর আর ফিরে আসার সুযোগ নেই।
সরকারি উচ্চপর্যায়ের বিশ্বস্ত সূত্রমতে, পদ্মা সেতুর ঋণ পাওয়া নিয়ে বিশ্বব্যাংকের শর্তানুযায়ী সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করার সময় তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন। অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুল হোসেনের পদত্যাগের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। একইভাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও বিশ্বব্যাংকের সব শর্ত পূরণের কথা উল্লেখ করে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রীর পদত্যাগ করার কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আরেক দফা লন্ডন সফর করে দেশে ফিরলেও এখন পর্যন্ত তিনি আবুল হোসেনের পদত্যাগ কার্যকর করার কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। ফলে আবুল হোসেনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি না সে বিষয়টি এখনো সরকারিভাবে জানানো হয়নি। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে পরে বলবেন বলে তাঁকে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি আগের মতোই আছে। এখন পর্যন্ত পদত্যাগসংক্রান্ত কোনো গেজেট হয়নি।
সূত্র জানায়, ২৩ জুলাইয়ের পর থেকে সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছেন না। তাঁর বাসায়ও কোনো ফাইল পাঠানো হচ্ছে না। বরং যেসব ফাইলে মন্ত্রীর সই প্রয়োজন, সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো ফাইল এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসেনি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
পদত্যাগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ আবুল হোসেন গতকাল প্রথম আলোর কাছে সরাসরি কিছু বলতে চাননি। তবে আকার-ইঙ্গিতে পদত্যাগ করার বিষয়টিই বুঝিয়ে দেন। তিনি এ-ও বলেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকারি কাজ করব না, ফাইলে স্বাক্ষর করব না।’ তিনি বলেন, ‘আমি যা বলার খোলা চিঠিতে বলেই দিয়েছি। এখন যা বোঝার বুঝে নিন।’ পদত্যাগ করেছেন কি না তা এককথায় বলার অনুরোধ করা হলে আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি যদি কিছু করে থাকি তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী...’ এটুকু বলেই তিনি থেমে যান। আর কিছু তিনি বলতে চাননি।
এদিকে সরকারি একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের শর্ত মেনে সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেও সরকার কৌশলের কারণেই তাঁর পদত্যাগ কার্যকর করছে না। বিশ্বব্যাংকের ঋণ পাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় কি না তা দেখার জন্য সরকার অপেক্ষা করার কৌশল নিয়েছে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেছেন। তাঁর আর ফিরে আসার সুযোগ নেই।
No comments