লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি ও নৌযান-দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার
লক্কড় শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো কাঠের কুদা বা লোহার টুকরা জাতীয় বস্তু। আর ঝক্কড় শব্দটি হলো তারু দ্বিত্ব। এই মিলিয়ে যে লক্কড়-ঝক্কড় শব্দটি বাংলায় প্রচলিত, এখন এর অর্থটা পুরোপুরি চলে গেছে ফিটনেসবিহীন পুরনো যানবাহনের দখলে।
দেশে দীর্ঘকাল ধরে এত বেশি ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও নৌযান চলাচল করছে যে লক্কড়-ঝক্কড় শব্দটি উচ্চারিত হলেই সবাই বুঝে ফেলে এটা ফিটনেসবিহীন, পুরনো যানবাহন চলাচলসংক্রান্ত বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে একাধিক পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাস্তায় দেদারসে চলছে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি। আর এসব ফিটনেসবিহীন, রাস্তায় চলাচলের অনুপযুক্ত গাড়ির কারণে ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা। এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, প্রায় ৭০ হাজার লক্কড়-ঝক্কড় বিভিন্ন আকারের গাড়ি চলছে শুধু দেশের ব্যস্ত রাজধানী ঢাকা শহরে। এর মধ্যে ৩০ বছরের পুরনো বাসও রয়েছে। মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, উপার্জনের প্রতি অধিক মনোযোগ ও আইন অমান্য করার প্রবণতার কারণে নিরীহ যাত্রী সাধারণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব গাড়িতে চড়তে বাধ্য হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, উৎকোচের বিনিময়ে এসব গাড়ি রাস্তায় চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে।
ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশে শুধু সড়কপথের যানবাহনই নয়, অসংখ্য ফিটনেসবিহীন নৌযান চলছে নৌপথগুলোতে, যা ভয়াবহ সব দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দেখা দেয়। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী সারা দেশে ফিটনেস আছে- এমন লঞ্চের সংখ্যা মাত্র ২০০টি। অথচ শুধু দক্ষিণাঞ্চলের ৩৮টি ছোট-বড় নৌবন্দর থেকে রাজধানী ঢাকার সদরঘাটে যাতায়াত করে চার শতাধিক লঞ্চ। এসব নৌযান আবার চলছে অদক্ষ চালক ও অনভিজ্ঞ সুপারভাইজারদের দ্বারা।
জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে এ প্রবণতা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুরনো বাস ও লঞ্চ রং করে রাস্তায় ও নদীতে নামানো হচ্ছে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে। আপাতদৃষ্টিতে এসব রং করা যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রী সাধারণের বোঝার উপায় নেই যে সেটি চলাচলের অনুপযুক্ত। তাই দেশের মানুষও প্রতারিত হয়ে এসবে চড়তে বাধ্য হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এসব দেখভাল করার জন্য রয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এসব যানবাহন চলাচলের কারণে যদি একটি মূল্যবান জীবন চলে যায় তাহলে খেসারত দেবে কে? সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী এসব বিষয় নিয়ে ঈদের পর বৈঠক করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন। তিনি ঈদের আগে যানবাহনের ব্যাপক সংকটের কথা মাথায় রেখেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কিন্তু কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তা হবে অপূরণীয়। তাই শিগগিরই এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ যৌক্তিক। এ বিষয়গুলো চিন্তায় রেখে এখনই একদিকে নতুন করে লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন রাস্তা ও নৌপথে নামা বন্ধ করতে হবে, অন্যদিকে বহুকাল ধরে চলতে থাকা যানগুলোকেও ফিটনেস প্রদর্শনে বাধ্য করতে হবে। দেশে এমনিতেই রাস্তাঘাটের অবস্থা সঙ্গীন এবং প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। নদীপথও নির্বিঘ্ন নয়। এমন অবস্থায় এসব যানবাহনকে কোনো সময়ক্ষেপণ করতে দেওয়া কোনোক্রমেই উচিত হবে না।
ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশে শুধু সড়কপথের যানবাহনই নয়, অসংখ্য ফিটনেসবিহীন নৌযান চলছে নৌপথগুলোতে, যা ভয়াবহ সব দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দেখা দেয়। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী সারা দেশে ফিটনেস আছে- এমন লঞ্চের সংখ্যা মাত্র ২০০টি। অথচ শুধু দক্ষিণাঞ্চলের ৩৮টি ছোট-বড় নৌবন্দর থেকে রাজধানী ঢাকার সদরঘাটে যাতায়াত করে চার শতাধিক লঞ্চ। এসব নৌযান আবার চলছে অদক্ষ চালক ও অনভিজ্ঞ সুপারভাইজারদের দ্বারা।
জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে এ প্রবণতা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুরনো বাস ও লঞ্চ রং করে রাস্তায় ও নদীতে নামানো হচ্ছে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে। আপাতদৃষ্টিতে এসব রং করা যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রী সাধারণের বোঝার উপায় নেই যে সেটি চলাচলের অনুপযুক্ত। তাই দেশের মানুষও প্রতারিত হয়ে এসবে চড়তে বাধ্য হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এসব দেখভাল করার জন্য রয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এসব যানবাহন চলাচলের কারণে যদি একটি মূল্যবান জীবন চলে যায় তাহলে খেসারত দেবে কে? সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী এসব বিষয় নিয়ে ঈদের পর বৈঠক করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন। তিনি ঈদের আগে যানবাহনের ব্যাপক সংকটের কথা মাথায় রেখেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কিন্তু কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তা হবে অপূরণীয়। তাই শিগগিরই এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ যৌক্তিক। এ বিষয়গুলো চিন্তায় রেখে এখনই একদিকে নতুন করে লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন রাস্তা ও নৌপথে নামা বন্ধ করতে হবে, অন্যদিকে বহুকাল ধরে চলতে থাকা যানগুলোকেও ফিটনেস প্রদর্শনে বাধ্য করতে হবে। দেশে এমনিতেই রাস্তাঘাটের অবস্থা সঙ্গীন এবং প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। নদীপথও নির্বিঘ্ন নয়। এমন অবস্থায় এসব যানবাহনকে কোনো সময়ক্ষেপণ করতে দেওয়া কোনোক্রমেই উচিত হবে না।
No comments