জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন-ছয় বছরেও চালু হয়নি নন্দীগ্রাম হাসপাতাল by আনোয়ার পারভেজ
জনবল নিয়োগ না দিয়েই তড়িঘড়ি করে উদ্বোধন করার দীর্ঘ ছয় বছরেও চালু হয়নি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ২০ শয্যাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। ফলে সাড়ে তিন কোটির বেশি টাকায় নির্মিত হাসপাতালটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না।
জনবল ছাড়াও হাসপাতালটিতে বর্তমানে বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, নেই নৈশপ্রহরী। উপরন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় হাসপাতালের বিছানা ও আসবাবপত্রে ধুলাবালির আস্তর জমেছে। ঘুনপোকা ভবনের দরজা-জানালায় বাসা বাঁধায় খুলে পড়ছে দরজা-জানালার কপাট। স্থানীয়রা হাসপাতালটির এই বেহাল দশার জন্য আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলকেই দায়ী করছেন। তাঁদের অভিযোগ, জনবল নিয়োগ না দিয়ে শুধু রাজনৈতিক কৃতিত্ব নিতে বিএনপি সরকারের সময় তড়িঘড়ি করে হাসপাতালটির লোক দেখানো উদ্বোধন করা হয়। অন্যদিকে বিএনপি সরকার আমলের প্রকল্প হওয়ায় দলীয় সংকীর্ণতা থেকে বর্তমান সরকার হাসপাতালটি চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে না।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নন্দীগ্রামের ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থান উপজেলা সদর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে বিজরুল বাজারে। এ কারণে উপজেলা সদরে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের দাবি তোলেন স্থানীয়রা। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১-০২ অর্থবছরে উপজেলা সদরে ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় হয় তিন কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ২০০৫ সালে এর কাজ শেষ হয়। কিন্তু জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আটকে যায়। জনবল নিয়োগ ছাড়াই ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর তড়িঘড়ি করে উদ্বোধন করেন তৎকালীন সাংসদ জিয়াউল হক মোল্লা।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০ শয্যার এ হাসপাতালে চিকিৎসক, সেবিকাসহ ১৩টি পদ রয়েছে। ২০০৮ সালে চিকিৎসক ছাড়া অন্যান্য পদে ছয় কর্মচারীকে প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। অল্প দিনের মাথায় একজন ছাড়া অন্যরা অন্যত্র চলে যায়। ১২ জুলাই সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের প্রধান ফটক ও ভান্ডার ছাড়া সব কক্ষে তালা ঝুলছে। বারান্দায় চলছে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের আদলে প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যক্রম। ওই কার্যক্রমের উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা এখানকার নিয়োগপ্রাপ্ত নন। পার্শ্ববর্তী দুটি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রেষণে তাঁদের এখানে পাঠানো হয়েছে। উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা উম্মে হাসনা বানু বলেন, প্রতিদিন এখানে গড়ে ১০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া আর কোনো সেবা দেওয়া যায় না। বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সরবরাহ না থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হাসপাতালের অন্যতম দাতা সদস্য তৌহিদুর রহমান চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এত দিনেও এখানে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ বলেন, রাজনৈতিক কৃতিত্ব নিতেই জনবল নিয়োগ না দিয়ে বিগত সরকার আমলে তড়িঘড়ি করে এ হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
বগুড়ার সিভিল সার্জন মো. খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জনবল চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ মোস্তফা আলী মুকুল প্রথম আলোকে বলেন, এর জনবল কাঠামো এখনো মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন না হওয়ায় এটি চালু হচ্ছে না। হাসপাতালটি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নন্দীগ্রামের ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থান উপজেলা সদর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে বিজরুল বাজারে। এ কারণে উপজেলা সদরে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের দাবি তোলেন স্থানীয়রা। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১-০২ অর্থবছরে উপজেলা সদরে ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় হয় তিন কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ২০০৫ সালে এর কাজ শেষ হয়। কিন্তু জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আটকে যায়। জনবল নিয়োগ ছাড়াই ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর তড়িঘড়ি করে উদ্বোধন করেন তৎকালীন সাংসদ জিয়াউল হক মোল্লা।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০ শয্যার এ হাসপাতালে চিকিৎসক, সেবিকাসহ ১৩টি পদ রয়েছে। ২০০৮ সালে চিকিৎসক ছাড়া অন্যান্য পদে ছয় কর্মচারীকে প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। অল্প দিনের মাথায় একজন ছাড়া অন্যরা অন্যত্র চলে যায়। ১২ জুলাই সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের প্রধান ফটক ও ভান্ডার ছাড়া সব কক্ষে তালা ঝুলছে। বারান্দায় চলছে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের আদলে প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যক্রম। ওই কার্যক্রমের উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা এখানকার নিয়োগপ্রাপ্ত নন। পার্শ্ববর্তী দুটি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রেষণে তাঁদের এখানে পাঠানো হয়েছে। উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা উম্মে হাসনা বানু বলেন, প্রতিদিন এখানে গড়ে ১০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া আর কোনো সেবা দেওয়া যায় না। বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সরবরাহ না থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হাসপাতালের অন্যতম দাতা সদস্য তৌহিদুর রহমান চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এত দিনেও এখানে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ বলেন, রাজনৈতিক কৃতিত্ব নিতেই জনবল নিয়োগ না দিয়ে বিগত সরকার আমলে তড়িঘড়ি করে এ হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
বগুড়ার সিভিল সার্জন মো. খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জনবল চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ মোস্তফা আলী মুকুল প্রথম আলোকে বলেন, এর জনবল কাঠামো এখনো মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন না হওয়ায় এটি চালু হচ্ছে না। হাসপাতালটি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে।
No comments