উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য অবিলম্বে সরে যান-বুয়েটের অচলাবস্থার অবসান ঘটুক
স্বনামখ্যাত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কয়েক মাস ধরে যে অচলাবস্থা চলছে, তা এই প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে সম্ভবত নজিরবিহীন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই বিদ্যাপীঠের সামগ্রিক পরিবেশে যে স্থায়ী ক্ষতি ইতিমধ্যে হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে কত দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে, আমরা জানি না। আরও ক্ষতি এড়াতে এই অচলাবস্থার চূড়ান্ত অবসান ঘটানো প্রয়োজন।
এবং তা এখনই।
উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম ও সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমানের পদত্যাগের দাবি এখন তাঁদের অপসারণের দাবিতে পরিণত হয়েছে এবং এ দাবি পূরণের জন্য বুয়েটের শিক্ষকেরা আগামী রোববার পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। সেদিনের মধ্যে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে অপসারণ করা না হলে অধিকাংশ শিক্ষক একযোগে পদত্যাগ করবেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের প্রধান মিলিয়ে ২৪ জন শিক্ষক নিজ নিজ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম ও সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমানের পদত্যাগ বা অপসারণের দাবির যুক্তি, সেসব যুক্তির বিপরীতে তাঁদের বক্তব্য—এসব কিছুই এখন গৌণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কারণ, অধিকাংশ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বুয়েট অচল হয়ে গেছে। সম্ভবত আন্দোলনকে পাশ কাটানোর লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ ১৪ জুলাই থেকে ৪৪ দিনের জন্য বুয়েট বন্ধ ঘোষণা করেছে। এসবই চূড়ান্ত অচলাবস্থার সুস্পষ্ট লক্ষণ এবং পরিস্থিতি যে এমন ন্যক্কারজনক অবস্থায় এসে পড়েছে, সেজন্য উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের অনড় অবস্থানকেই দায়ী করতে হয়। অধিকাংশ সহকর্মীর গ্রহণযোগ্যতা হারালে কোনো পদ আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করা সম্মানজনক কাজ নয়, এবং শেষ পর্যন্ত সেটার ফল সাধারণত আরও খারাপ হয়ে থাকে।
উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম এখনো এমন এক অনড় মনোভাব প্রকাশ করে চলেছেন, যা বুয়েটের আরও ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। শিক্ষকদের গণপদত্যাগের হুমকি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, শিক্ষকেরা পদত্যাগ করলে তাঁদের পদগুলোতে বাইরে থেকে শিক্ষক আনা হবে, যেভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে। এ ধরনের কথার প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত নেতিবাচক হতে পারে, এতে বুয়েটের শিক্ষা-গবেষণাসহ সামগ্রিক পরিবেশের বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এ রকম চিন্তা এখনই পরিহার করা উচিত।
বুয়েটের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকজন সাবেক উপাচার্য ও অ্যালামনাই সমিতির নেতারা পরামর্শ দিয়েছেন, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে নিজ নিজ পদে বহাল রেখে বুয়েটের সমস্যার সমাধান হবে না। এস এম নজরুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানের উপলব্ধি করা উচিত, এখন তাঁদের চলে যাওয়াই ভালো। সে উপলব্ধি যদি তাঁদের না আসে, তাহলে সরকারের কর্তব্য, এ দুজনকে অপসারণ করে বুয়েটের অচলাবস্থার নিরসন ঘটানো।
উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম ও সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমানের পদত্যাগের দাবি এখন তাঁদের অপসারণের দাবিতে পরিণত হয়েছে এবং এ দাবি পূরণের জন্য বুয়েটের শিক্ষকেরা আগামী রোববার পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। সেদিনের মধ্যে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে অপসারণ করা না হলে অধিকাংশ শিক্ষক একযোগে পদত্যাগ করবেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের প্রধান মিলিয়ে ২৪ জন শিক্ষক নিজ নিজ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম ও সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমানের পদত্যাগ বা অপসারণের দাবির যুক্তি, সেসব যুক্তির বিপরীতে তাঁদের বক্তব্য—এসব কিছুই এখন গৌণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কারণ, অধিকাংশ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বুয়েট অচল হয়ে গেছে। সম্ভবত আন্দোলনকে পাশ কাটানোর লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ ১৪ জুলাই থেকে ৪৪ দিনের জন্য বুয়েট বন্ধ ঘোষণা করেছে। এসবই চূড়ান্ত অচলাবস্থার সুস্পষ্ট লক্ষণ এবং পরিস্থিতি যে এমন ন্যক্কারজনক অবস্থায় এসে পড়েছে, সেজন্য উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের অনড় অবস্থানকেই দায়ী করতে হয়। অধিকাংশ সহকর্মীর গ্রহণযোগ্যতা হারালে কোনো পদ আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করা সম্মানজনক কাজ নয়, এবং শেষ পর্যন্ত সেটার ফল সাধারণত আরও খারাপ হয়ে থাকে।
উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম এখনো এমন এক অনড় মনোভাব প্রকাশ করে চলেছেন, যা বুয়েটের আরও ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। শিক্ষকদের গণপদত্যাগের হুমকি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, শিক্ষকেরা পদত্যাগ করলে তাঁদের পদগুলোতে বাইরে থেকে শিক্ষক আনা হবে, যেভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে। এ ধরনের কথার প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত নেতিবাচক হতে পারে, এতে বুয়েটের শিক্ষা-গবেষণাসহ সামগ্রিক পরিবেশের বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এ রকম চিন্তা এখনই পরিহার করা উচিত।
বুয়েটের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকজন সাবেক উপাচার্য ও অ্যালামনাই সমিতির নেতারা পরামর্শ দিয়েছেন, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে নিজ নিজ পদে বহাল রেখে বুয়েটের সমস্যার সমাধান হবে না। এস এম নজরুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানের উপলব্ধি করা উচিত, এখন তাঁদের চলে যাওয়াই ভালো। সে উপলব্ধি যদি তাঁদের না আসে, তাহলে সরকারের কর্তব্য, এ দুজনকে অপসারণ করে বুয়েটের অচলাবস্থার নিরসন ঘটানো।
No comments