সংসদীয় কমিটিতে তথ্য-মাত্র পাঁচ রুটে বিমান লাভজনক by রেজা রায়হান
বর্তমানে মাত্র পাঁচটি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা বাংলাদেশ বিমানের জন্য লাভজনক বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বর্তমানে লাভজনক না হলেও ভবিষ্যতে লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন রুটের সংখ্যা ১৪টি এবং বর্তমানে লোকসানি রুটের সংখ্যা চারটি।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির গতকাল রবিবারের সভায় গত বছরের জুলাই থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে বিমানের রুটওয়ারি আয়-ব্যয় ও লাভ-লোকসানের খতিয়ান তুলে ধরা হয়। সভায় বলা হয়, জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি ৮০টি রুটের মধ্যে শুধু ঢাকা-আবুধাবি-ঢাকা, ঢাকা-আবুধাবি-জেদ্দা-ঢাকা, ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা, ঢাকা-সিঙ্গাপুর, ঢাকা-সিঙ্গাপুর-চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটেই লোকসান এড়িয়ে সামান্য লাভ করতে পেরেছে। এর মধ্যে ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে সর্বোচ্চ প্রায় ২০ কোটি টাকা এবং ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে ১২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা আয় হয়।
সভায় লোকসানের চিত্র তুলে ধরে বলা হয় উলি্লখিত ১০ মাসে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে সর্বোচ্চ ৪০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-সিলেট-দুবাই-লন্ডন-দুবাই-সিলেট-ঢাকা রুটে ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ঢাকা-লন্ডন-ম্যানচেস্টার-ঢাকা রুটে ২৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, ঢাকা-কুয়েত-ঢাকা রুটে ২৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, ঢাকা-দুবাই-লন্ডন-দুবাই-সিলেট-ঢাকা রুটে ২২ কোটি ১১ লাখ টাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-জেদ্দা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ২২ কোটি সাত লাখ টাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-আবুধাবি-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ১৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম-দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপিত 'বিমানের লাভজনক রুট সম্পর্কে পর্যালোচনা' শীর্ষক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন সংযোজিত বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ছাড়া বিমানের বাকি সব উড়োজাহাজই পুরনো। বিশেষ করে ডিসি-১০ এবং এয়ারবাস অধিক পুরনো হওয়ায় এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় অত্যন্ত বেশি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ফ্লাইট পরিচালন ব্যয় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে বিমান খুব কম রুটেই লাভ করতে পারছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান ৮০টি রুটের মধ্যে বর্তমানে ২০টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এর মধ্যে কিছু কিছু গন্তব্যে বিমান সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা ও কিছু কিছু গন্তব্যে 'মাল্টি সেক্টর' ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। কিছু গন্তব্যে রাজস্ব আয় থেকে পরিচালন ব্যয় বাদ দেওয়ার পর প্রাপ্ত 'কন্ট্রিবিউশন মার্জিন' (পরিচালন উদ্বৃত্ত) বিবেচনায় মুনাফা অর্জন করে। তবে শুধু সীমিত সংখ্যক গন্তব্যে মোট ব্যয়ের ওপর বিমান মুনাফা অর্জন করে থাকে। সরাসরি পরিচালন ব্যয়ের ওপর লোকসান হওয়ার পরও বেশ কিছু গন্তব্যে বিমান ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে, যাতে সামগ্রিক ব্যয় বিভাজন করে মোট লোকসান কমিয়ে আনা যায়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিভিন্ন অলাভজনক গন্তব্যে সার্ভিস পরিচালনা একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। কোনো গন্তব্যে লোকসান হলেও ওই গন্তব্যে সার্ভিস পরিচালনা 'লিংকেজ অ্যাফেক্ট' হিসেবে অন্য গন্তব্যের পরিচালন পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করে।
বর্তমানে লাভজনক না হলেও ভবিষ্যতে তা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন ১৪টি রুট প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হচ্ছে ঢাকা-রোম-মিলান-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-মাস্কাট-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-মাস্কাট-দোহা-ঢাকা, ঢাকা-করাচি-মাস্কাট-করাচি-ঢাকা, ঢাকা-মাস্কাট-ঢাকা, ঢাকা-আবুধাবি-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-আবুধাবি-ঢাকা, ঢাকা-দোহা-দুবাই-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-দুবাই-ঢাকা, ঢাকা-দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-দুবাই-জেদ্দা-ঢাকা, ঢাকা-মাস্কাট-দুবাই-ঢাকা, ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা ও ঢাকা-হংকং-ঢাকা।
সভায় লোকসানের চিত্র তুলে ধরে বলা হয় উলি্লখিত ১০ মাসে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে সর্বোচ্চ ৪০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-সিলেট-দুবাই-লন্ডন-দুবাই-সিলেট-ঢাকা রুটে ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ঢাকা-লন্ডন-ম্যানচেস্টার-ঢাকা রুটে ২৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, ঢাকা-কুয়েত-ঢাকা রুটে ২৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, ঢাকা-দুবাই-লন্ডন-দুবাই-সিলেট-ঢাকা রুটে ২২ কোটি ১১ লাখ টাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-জেদ্দা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ২২ কোটি সাত লাখ টাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-আবুধাবি-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ১৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম-দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপিত 'বিমানের লাভজনক রুট সম্পর্কে পর্যালোচনা' শীর্ষক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন সংযোজিত বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ছাড়া বিমানের বাকি সব উড়োজাহাজই পুরনো। বিশেষ করে ডিসি-১০ এবং এয়ারবাস অধিক পুরনো হওয়ায় এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় অত্যন্ত বেশি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ফ্লাইট পরিচালন ব্যয় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে বিমান খুব কম রুটেই লাভ করতে পারছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান ৮০টি রুটের মধ্যে বর্তমানে ২০টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এর মধ্যে কিছু কিছু গন্তব্যে বিমান সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা ও কিছু কিছু গন্তব্যে 'মাল্টি সেক্টর' ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। কিছু গন্তব্যে রাজস্ব আয় থেকে পরিচালন ব্যয় বাদ দেওয়ার পর প্রাপ্ত 'কন্ট্রিবিউশন মার্জিন' (পরিচালন উদ্বৃত্ত) বিবেচনায় মুনাফা অর্জন করে। তবে শুধু সীমিত সংখ্যক গন্তব্যে মোট ব্যয়ের ওপর বিমান মুনাফা অর্জন করে থাকে। সরাসরি পরিচালন ব্যয়ের ওপর লোকসান হওয়ার পরও বেশ কিছু গন্তব্যে বিমান ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে, যাতে সামগ্রিক ব্যয় বিভাজন করে মোট লোকসান কমিয়ে আনা যায়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিভিন্ন অলাভজনক গন্তব্যে সার্ভিস পরিচালনা একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। কোনো গন্তব্যে লোকসান হলেও ওই গন্তব্যে সার্ভিস পরিচালনা 'লিংকেজ অ্যাফেক্ট' হিসেবে অন্য গন্তব্যের পরিচালন পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করে।
বর্তমানে লাভজনক না হলেও ভবিষ্যতে তা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন ১৪টি রুট প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হচ্ছে ঢাকা-রোম-মিলান-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-মাস্কাট-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-মাস্কাট-দোহা-ঢাকা, ঢাকা-করাচি-মাস্কাট-করাচি-ঢাকা, ঢাকা-মাস্কাট-ঢাকা, ঢাকা-আবুধাবি-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-আবুধাবি-ঢাকা, ঢাকা-দোহা-দুবাই-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-দুবাই-ঢাকা, ঢাকা-দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-দুবাই-জেদ্দা-ঢাকা, ঢাকা-মাস্কাট-দুবাই-ঢাকা, ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা ও ঢাকা-হংকং-ঢাকা।
No comments