দোষ তোমাদের বিকৃত মানসিকতার

ঘটনা: গত ৮ জুন ফেসবুকে আমাকে একটা ছবি ট্যাগ করা হয়েছিল, যাতে লেখা ছিল, ‘ইভ টিজিং প্রতিরোধে নারীর পর্দা করা অবশ্যই করণীয়।’ প্রতিবাদে আমি মন্তব্য দিয়েছিলাম, ‘ইভ টিজিং প্রতিরোধে পুরুষদের মানসিকতা বদলাতে হবে, অন্য কিছু নয়।’


আমার এই মন্তব্যর বিরুদ্ধে প্রায় ২৪টি মন্তব্য এসেছিল, যার কতকগুলো লিখে দিলাম।
১. ইভ টিজিং প্রতিরোধ হবে কী করে? মেয়েরা তো এটাতে মজা পায়। ২. নারীরা যদি তাদের শরীর দেখিয়ে বেড়ায়, আমরা তবে ইভ টিজিং করব না কেন? এক শ বার করব। ৩. পর্দার কোনো বিকল্প নেই। তোমরা পর্দা করলে করবা, না হলে আমরা আমাদের কাজ করতে থাকব।

আমার কথা
এরা সবাই আমার ব্যাচমেট। এইচএসসি ২০১১-এর শিক্ষার্থী। কয়েক দিন পর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে পড়তে যাবে। মেধাবী ছাত্র হিসেবে নাম কুড়াবে। স্মার্ট বালক হিসেবে দৃষ্টি কাড়বে। কী তাদের মানসিকতা!
পর্দা যার যার ব্যাপার। আমি কর্মক্ষেত্রে কোন পোশাক পরে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব, তা আমার ব্যাপার। কলেজে যাওয়ার পথে মেয়েরা কলেজের ড্রেস পরে থাকে, তা অবশ্যই অশালীন নয়। তবুও তারা ইভ টিজিংয়ের শিকার হয় কেন? বাসে আমার নিজের চোখে দেখা, বাসে সালোয়ার-কামিজ পরা এক নারী দাঁড়িয়ে থাকাকালে বিকৃত মানসিকতার শিকার হয়েছিলেন। ওই নারী সেদিন প্রতিবাদ করেছিলেন বলে রক্ষে। এ রকম ঘটনা অধিকাংশ মেয়ে নীরবেই সয়ে যায়। দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়া এক ছোট্ট মেয়ে তার মামাতো ভাই দ্বারা ধর্ষিত হয়। তাকে কী পর্দা তোমরা করতে বলো? দোষ তোমাদের বিকৃত মানসিকতার। মেয়েদের পোশাক নয়।
মারজিয়া প্রভা, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.